Better Life with Steem|| The Diary Game||12 December 2024||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠি দশটার দিকে। আমি জানি আজকে আমাদের ঘরে কাজ করতে আসবে তারপরও দেরি করে ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ নিয়ে ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়াই। তাদের বালু সিমেন্ট গোলানো দেখতে থাকি। অল্প কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে সেখান থেকে ঘরে চলে আসি।
ঘরে এসে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নেই। তারপর এক কাপ কফি তৈরি করি সাথে কিছু বিস্কিট নেই। সকালের নাস্তার জন্য আমার এটুকুই যথেষ্ট। তারপর খুব সুন্দরভাবে টেবিলে বসে সকল নাস্তা সেরে নেই। নাস্তা খেয়ে সেখানে বসে কিছুক্ষণ ফোন দেখি তারপর বাইরে চলে আসে।
বাহিরে এসে অন্য আরেকটা ঘরের ছাদে উঠে আমাদের ঘরের ছাদ তৈরি করা দেখতে থাকি। বেশ অনেকটা সময় সেখানে বসে বসে তাদের কাজ দেখতে থাকি আমি। তারপর তাদের টুকটাক কিছু জিনিস এনে দেয়। যেমন তাদের পানি প্রয়োজন হলে পানি এনে দেয় তারপর চা এনে দেই তাদের। এরকম আর বিভিন্ন কিছু তাদেরকে এনে এনে দেই আমি। যখন যেটা প্রয়োজন হয় সেটা আমার কাছে চায় তারা তারপর আমি তাদের এনে দেই।
তাদের সাথে এভাবে কাজ দেখতে দেখতে দুপুর হয়ে যায়। তারপর আমি গোসল করতে চলে যাই গোসল করে ঘরে রেখে কিছুক্ষণ বসেই। বেশ অনেকটা সময় ঘরে বসে ফোন দেখতে থাকি আমি। তারপর খাওয়া দাওয়া করতে চলে আসি খাওয়া-দাওয়া করে আবারও কিছুক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকি।
তারপর যারা আমাদের ছাদের কাজ করতে এসেছে তাদের খাওয়া দাওয়া করার জন্য একটা জায়গায় ঠিক করে দেই। তারপর সেখানে আমিও আমার ছোট ভাই মিলে আব্বুকে সাহায্য করি খাবার পরিবেশন করতে। আমার কাকাও আসছিল আজকে বাড়িতে বাড়ির কাজ করছে সেটা দেখতে। কাকা ও আব্বু মিলে তাদের খাবার বেড়ে বেড়ে দেয়। আমি ও আমার ছোট ভাই যে সময় যেটা শেষ হয়ে যায় ওইটা এনে দেই।
তো এভাবে তাদের খাবার খাওয়ানোর পরে আমি কিছুক্ষণ রুমের মধ্যে গিয়ে ফোন দেখতে থাকি। তারপর আমার এক বন্ধু আমাকে এসে বাড়ি থেকে ডেকে বাইরে বের করে। দুজনে মিলে বেশ অনেকটা দূর হাঁটাহাঁটি করলাম। আজকে আমরা ছোটবেলার মতো ধান ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে হাঁটাহাঁটি করেছি। ধান ক্ষেতের মধ্যে একটু একটু ফাঁকা জায়গা দিয়ে আমরা হাঁটাহাঁটি করেছি ধানের ক্ষতি না করে। বেশ অনেকটা দূর হাঁটাহাঁটি ও ঘোরাঘুরি করছি আমিও আমার বন্ধু।
আমার খালাতো ভাই একটু অসুস্থ তার আমার খালাতো ভাই ডাব খাওয়া লাগবে। তো আমাদের কল দেয় আমার সেই বন্ধু ডাব গাছে উঠতে পারে। তো আমি ওকে নিয়ে বাড়ি আসতে আসতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে যায়। তারপরও আমার সেই বন্ধু ডাব গাছে উঠে এক ছাড়া ডাব পেরে দেয় । তার জন্য আমি আমার বন্ধুকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। কারণ এমনিতে মানুষ দিনের বেলায়ও গাছে উঠতে চায় না আর সে রাত হয়ে গেছে তারপরও ডাব পেড়ে দিল।
তারপর দুজনে মিলে সেখানে বসে দুটো ডাব পান করি। ডাবের পানি বেশ মিষ্টি ছিল খেতে পানি খেতে বেশ ভালো লাগলো। তারপর দুজনে মিলে রাস্তার দিকে চলে আসি। কিছুক্ষণ রাস্তায় হাটাহাটি করার পর দুজনে মিলে চলে যাই পিঠা খেতে। পিঠা খেতে গিয়ে আমাদের বেশ অনেকটা সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কারণ আজকে অনেক মানুষের ভিড় সেখানে। ঠান্ডার ভিতরে গরম গরম পিঠা ভর্তা দিয়ে খেতে বেশ ভালো লাগে। তাই অনেক মানুষ এসেছে খেতে।
বেশ অনেকটা সময় দাঁড়িয়ে থাকার পরে আমরা দুজনে পিঠা পাই খাওয়ার জন্য। দুজনে বেশ মজা করে পিঠা খেয়ে তাদের পিঠার বিল পরিশোধ করে চলে আসি। সেখান থেকে সোজা আমি বাড়িতে চলে আসি বাড়িতে এসে ব্যাডমিন্টনের ব্যাট নিয়ে ব্যাডমিন্টন মাঠে চলে যায়। ব্যাডমিন্টন মাঠে গিয়ে বেশ অনেকটা সময় ব্যাডমিন্টন খেলি। তারপর অনেক তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ ঘরের মধ্যে বসে থেকে খাওয়া-দাওয়া করতে চলে যাই। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিছানায় বসিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ি।
আপনার সারাদিনের কাজ গুলো, আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।প্রথমে জানাই ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার পোস্টটি আমি যখনই পড়ি, তখন আমার ছোটবেলার কথা বেশ মনে পড়ে যায়। আপনাদের এই বয়সটা কোন বাধা মানে না,কোন নিয়ম মানে না, মন যায় চায় তাই করে যান। আমার কাছে মনে হয়, এটা হল অবুঝ মনের পাগলামি। আমি অনুরোধ করব আপনাকে, প্রতিটা সময় প্রতিটা দিন, উপলব্ধি করার চেষ্টা করবেন।সব সময় হাসি খুশি থাকবেন।কারণ জীবন একটাই;
আপনাকে ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।