Better Life with Steem|| The Diary Game||10 June 2024||
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
প্রতিদিনের মতো অনেক তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠে আমি ফ্রেশ হয়ে নেই। তারপর বই নিয়ে অল্প একটু পড়তে বসি।তারপর হালকা কিছু নাস্তা করি। নাস্তা করে বাসা থেকে তৈরি হয়ে বের হয়ে যায় কোচিং এর উদ্দেশ্যে। তো একটু তাড়াতাড়ি কোচিংয়ে যাওয়ায় দেখি কেউ আসেনি কোচিংয়ে। তাই আমি কোচিং থেকে বের হয়ে একটা দোকানে বসে একটু খাবার খাই।
তো সে দোকানে বসে বেশ কিছুক্ষণ ফোন দেখতে থাকি আর খাবার খেতে থাকি। বেশ অনেকক্ষণ পরে আমার মাথায় খেয়াল আসে যে আমার কোচিংয়ে যাওয়া লাগবে। তো সেখান থেকে বের হয়ে তাড়াতাড়ি করে কোচিং এর দিকে হাটা দেই। তো আমি তাড়াতাড়ি করে কোচিংয়ে ঢুকে যাই ঢুকে দেখি আমার একটু লেট করায় সবাই এসে সুন্দরভাবে লেখাপড়া শুরু করে দিয়েছে। তো আমিও তাড়াতাড়ি করে তাদের সাথে বসে যাই। লেখাপড়া শুরু করে দেয় আমিও।
তো বেশ অনেকটা সময় আমাদের লেখাপড়া চলতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ পরে আমাদের কোচিং ছুটি হয়। আমরা কোচিং থেকে বের হয়ে কলেজের মধ্যে গিয়ে বসি। সেখানে বসে আমরা সবাই মিলে বেশ অনেকটা সময়ই গল্প করি আড্ডা দেই সবাই মিলে। তারপর একে একে করে যে যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
তো আমিও কলেজ থেকে বের হয়ে চলে যাই। একটু বাজারের দিকে আজকে আমার বাজারে একটু কাজ ছিল। তাই আমি বাজারে চলে যাই। তো বাজারে গিয়ে সেই কাজটা করে আমি একটু আমার কাকার দোকানে এসে বসি। সেখানে অল্প কিছুক্ষণ সময় কাটাই সবার সাথে কথা বলি। তারপর সেখান থেকে চলে আসি আমি বাড়িতে।
তো আমি বাড়িতে এসে অল্প একটু সময় পাখা চালিয়ে বসে থাকি প্রচন্ড গরম লাগতেছিল তাই। তো হঠাৎ করে চোখ পরে আমার কিছু নোংরা কাপড়ের দিকে। আমার সেই কাপড় গুলো ধৌত করা লাগবে। তাই আমি কাপড়গুলো নিয়ে ঘাটপাড়ে চলে যাই। সেখানে গিয়ে ডিটারজেন দিয়ে কাপড় গুলো বালতিতে ভিজিয়ে রাখি বেশ কিছুক্ষণের জন্য।বেশ অনেকটা সময় পরে কাপড়গুলো সুন্দরভাবে ধৌত করে নেই আমি। কাপড় গুলো ধৌত করে রোদে শুকাতে দিয়ে আসি।
এসে দেখি আমার এক ছোট ভাই। ওকে ওর আব্বু সাঁতার শেখাতে নিয়ে এসেছে। সে পানিকে বেশ ভয় পায়। তাই সাঁতার শিখতে চাই ছিল না। তো আমি আর ওর আব্বু মিলে বেশ অনেকটা সময় ওকে সাঁতার শেখানোর জন্য চেষ্টা করি। সেতো শিখতে চাইছিল না একটুও। ওর কথাগুলো শুনে হাসতে হাসতে আমি পুরো বেহাল অবস্থা। সে সাতাশ শিখবে না তাই কতই না বাহানা করছিল তার আব্বুর সাথে। দেখতে বেশ ভালো লাগছিল আর হাসিও পাচ্ছিল।
তো অনেকটা সময় পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো সাঁতার শিখাতে পারলাম না দুজনার কেউ। আর মূলত একদিনে তো আর সাঁতার শিখানো সম্ভব না। আজকে একটু কালকে আরেকটু এভাবে করে করেই সাঁতার শিখাতে হবে। তো গোসল করা শেষ করে। আমি ঘরে এসে খাওয়া-দাওয়া করে একটু বিশ্রাম নেই।
বেশ অনেকটা সময় বিশ্রাম নেওয়ার পরে একটু হাঁটতে বের হই। তো হাঁটাহাঁটি করার পর আমি একটা টুলে গিয়ে বসি । এলাকার মধ্যেই ছিলাম আজ বাহিরে কোথাও গেলাম না। তো সেখানে বসে বেশ কিছুক্ষণ ফোন দেখতে থাকি। ভালই লাগছিল টুল টায় বসে। হালকা হালকা বাতাস বই ছিল। তো সেখানে বসেই সন্ধ্যা পার করে দেই প্রায়।
তো বাড়িতে আসতে আসতে আমার প্রায় সন্ধ্যা গড়িয়ে আসে। বাড়িতে এসে আমি আবার একটু হাটিতে হাঁটিতে চলে যাই নানু ঘরের দরজার সামনে। সেখানে একটু কাজ ছিল সেই কাজটা করে তাড়াতাড়ি করে ঘরে চলে আসি।
ঘরে এসে সুন্দর ভাবে পড়তে বসতে চাই। তো যখনই পড়তে বসবো দেখি আমার টেবিলটা পুরো অগোছালো। তো আমি আমার টেবিল গুছানো জন্য বিছানার উপরে সব বই গুলো নিয়ে রাখি ছড়িয়ে ছিটিয়ে। তারপরে খুব সুন্দর করে টেবিলটাকে বুঝিয়ে নেই।
তো আমার এক আত্মীয় এসেছিল বাসায়। সে ইন্ডিয়া গেছিল সেখান থেকে আমাদের জন্য বেশ কিছু চকলেট উপহার হিসেবে নিয়ে এসেছে। তো আমাদের তিন ভাই বোনকে চকলেট ভাগ করে দেয় আম্মু। ছোটবেলায় এরকমের অনেক চকলেট পেতাম। আজকে এমন ভাবে চকলেট পে অনেক আনন্দ হচ্ছিল আমার। বড় হয়ে যাওয়ার পর যেমন আর কেউ একটা এভাবে চকলেট এনে দেয় না। ছোটবেলায় সবাই খুব আদর করত। বড় হয়ে গেছি তাই বলে সব আদর কেমন জানি উড়ে যাচ্ছে। তো এসব চিন্তা ভাবনা করতে করতে চকলেট গুলো খেলাম।
তারপর সুন্দরভাবে পড়তে বসে গেলাম। আজকে ভেবেছি যে অংকুর এক চ্যাপ্টার শেষ করে। তারপর টেবিল থেকে উঠবো তার আগে টেবিল থেকে উঠবো না। তো বেশ কিছু অংক করার পর। ফোনটাকে হাতে নিয়ে একটু ফেসবুকে ঢোকায়। মনে পড়ে যায় সময় তো অনেক হয়ে গেছে । তো পোস্ট টা লিখে ফেলি। তাই আমি পোস্ট লিখতে বসে যাই।
আপনার পোস্ট খুলতেই চোখ গেলো প্রিয় চকলেটের দিকে। কিটকেট চকলেট আমার সব থেকে প্রিয় চকলেটগুলোর মধ্যে একটা। ছোটবেলায় সাতার শিখতে সবারই খুব ভয় করে। আমিতো জলে নামতেই ভীষণ ভয় পেতাম তবে বাবা ধরে ধরে সাতার শিখিয়েছিলো। আমি মনে করি সবারই সাতার শিখে রাখা উচিত, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সকালে কোচিং এ সবার আগে উপস্থিত হয়েছিলেন কিন্তু পরের দোকানে যাওয়ার কারণে আপনার আসতে দেরি হয়ে গেল। আমার মাঝে মাঝে এমন হয়। অন্য কাজে ঢুকলে গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা ভুলে যাই। আপনার প্রশ্নের সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল বাচ্চার সাঁতার শেখানোটা। ছোট মানুষ বলে অনেক বেশি ভয় পাচ্ছিল বোধহয়। আস্তে আস্তে ভয়টা কেটে যাবে এবং একসময় সে সাঁতার শিখে যাবে আশা করি। ছোটবেলায় আমারও চকলেট এর প্রতি প্রচুর লোভ ছিল। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এখন আর চকলেট তেমন খাওয়া হয়ে উঠে না। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনি একটি ব্যাস্ততম দিন কাটিয়েছেন। প্রথমে কোচিংয়ে গেছিলেন।এরপফাকে নাস্তা করে নিয়েছিলেন।তারপর বাজারে একটা কাজ থাকায় সেখানে গিয়েছিলেন।এরপর সেখানে কাজ শেষ করে বাসায় চলে গেছেন।এরপর আপনি আপনার কাপড় পরিষ্কার করেছেন।একটা বাচ্চাকে সাতার শিখতে সাহায্য করেছেন।সব মিলিয়ে অনেক ব্যাস্ততম দিন অতিবাহিত করেছেন
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পরার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা উঠে কোচিংয়ে গিয়েছেন। তবে আজকে কোচিংয়ে যাওয়ার কথা মনে ছিল না পরে তাড়াহুড়ো করেই গেছেন। আপনি মনে হয় বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিতে বেশ পছন্দ করেন।
আসলে ছোট বাচ্চাদের সাঁতার শেখানো উচিত। কেননা কখন কোন সময় বিপদ চলে আসে তা বলা মুশকিল।
বাহ! আপনারা এক আত্মীয় আপনার জন্য অনেকগুলো চকলেট নিয়ে এসেছে।
সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। নিজের বাসার কাজ সম্পন্ন করে বাজার থেকে ফিরে এসেছেন। আসলে ছোট বাচ্চাদের সাঁতার কাটার জন্য এত পরিমানে কষ্ট করতে হয়, যেটা বলার বাহিরে। আমার বড় ছেলে তো পানিতে নামতে চায় না। ও এত পরিমাণে বাহানা ধরে যার কাছে আমি অনেকবার ফেল হয়েছি। এখন ওকে সাঁতার শেখানো থেকে বিরত আছি আবার চেষ্টা করব। ইন্ডিয়া থেকে আপনার আত্মীয় বাসায় ফিরে এসেছে। তাই আপনাদের জন্য চকলেট নিয়ে এসেছে, এখান থেকে বিশেষ করে কিটক্যাট চকলেট আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটা পড়ার জন্য এত সুন্দর একটা মন্তব্য দেওয়ার জন্য ও ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।