The Diary Game | | A Beautiful Day | | 25-01-2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
প্রতিদিনের ন্যায় গতকালকেও আমি খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে উঠে নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখি। তারপর একটু বাড়ির সামনে দিয়ে হাটাহাটি করেছিলাম দেখলাম মোটামুটি ভালোই ঠান্ডা পড়েছে। আসলে শীতের দিনে শীত লাগবে না এমনটা আবার হয় নাকি। কিছুক্ষণ বাইরে থাকার পর আমি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিয়েছিলাম। এর মাঝে মা'কেও ফ্রেশ হয়ে নিতে বলেছিলাম। তারপর সকালের যে নাস্তা চা বানিয়ে সবাই মিলে একসাথে খেয়েছিলাম।
চায়ের সাথে আমি আরো একটু চানাচুর ও মুড়ি মেখে খেয়েছিলাম। চায়ের সাথে চানাচুর মুড়ি মেখে খেতে আমার বেশ ভালই লাগে। খাওয়া শেষ করার পর রান্না করার জন্য সবকিছু আমি মাকে রেডি করে দিয়েছিলাম। যদিও মা হাটতে পারে না কিন্তু বসে থেকে একটু রান্না করেছিল। সত্যি কথা বলতে বাসায় যখন মহিলা মানুষ অসুস্থ থাকে তখনই বোঝা যায় যে বাসায় কত রকমের কাজ থাকে।
আমরা শুধু পুরুষ মানুষেরা ভাবি যে বাসার মধ্যে কি এমন কাজ আসলেই অনেক কাজ থাকে। রান্নার কাজে মাকে কিছুক্ষণ সাহায্য করার পর আমি এর মাঝে একজনের বাসায় গিয়ে পাতিহাঁস কিনে নিয়ে এসেছিলাম। কারণ গতকালকে সন্ধ্যায় আমার আপু আবারও ছুটি নিয়ে আসবে একদিনের জন্য। আমি হাস কিনে নিয়ে এসে আমার দাদাকে দিয়ে জবাই করার জন্য বলেছিলাম।
আসলে দেশি পাতিহাঁস খেতে অনেক ভালো লাগে। শহরের মাঝে একটু দামও বেশি আর তেমন একটা পাওয়া যায় না কিন্তু গ্রামে মোটামুটি সব বাড়িতেই পাতিহাঁস পালন করে। আমাদের বাসায় যদি ও আমরা পাতিহাঁস পালন করি না কিন্তু অনেক দিন থেকে খাওয়া হয়নি দেখেই মা আমাকে কিনে নিয়ে আসতে বলেছিল। তারপর মোটামুটি বেলা হয়ে গেলে আমরা একসাথে ভাত খেয়েছিলাম।
কিছুক্ষণ পর আবার মামা আমাকে কল দিয়ে বলেছিল যে আমাদের বাসায় নাকি আসবে মাকে দেখার জন্য। তারাও দেখতে দেখতে দুপুর দুইটার দিকে মামা মামি সহ আমাদের বাসায় এসেছিল। তারপর তাদের জন্য আমি নাস্তা রেডি করে দিয়েছিলাম।
তারপর তারাও কিছুক্ষণ থেকে মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তারা সন্ধ্যা সময় চলে গিয়েছিল। তারপর সন্ধ্যার সময় বাসায় কিছু ছোটখাটো কাজ ছিল সেগুলো করেছিলাম। পরে সন্ধ্যার সময় বাসায় বাবা আসলে আমি একটু বাইরে গিয়েছিলাম। কারণ সারাদিন বাসায় থাকতে থাকতে একটু বোর হয়ে গিয়েছিলাম আর এর মাঝে আমার এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলল কোথায় যেন মাহফিল হবে।
পরে বন্ধুর কথা মত সেখানে মাহফিলে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে আমি তাড়াতাড়ি চলে এসেছিলাম কারণ গতকালকে একটু অত্যাধিক পরিমাণ ঠান্ডা ছিল। এর মাঝে ফোন দিয়ে আপু বলেছিল সে নাকি বাসায় চলে আসছে। বাসায় আসার পর রাতে খাওয়া দাওয়া করার পর আমাদের বাড়ির পিছনে যে গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যবাহী ভলিবল খেলা হয় সেখানে গিয়ে একটু খেলেছিলাম। তারপর বাসায় এসে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাই।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নিজে ফ্রেশ হয়ে মা কেও ফ্রেশ হতে বলেছিলেন। তারপর আপনি নাস্তা বানিয়ে সবাই মিলে নাস্তা করেছিলেন।
ঠিকই বলেছেন, বাড়িতে অনেক কাজ সেটা আমরা নিজেরা না করা পর্যন্ত বুঝতে পারি না।।
ধন্যবাদ আপনাকে। এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।।।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখেন। এই গুছিয়ে রাখার বিষয়টা আপনার প্রতিটা লেখায়ই উঠে আসে এতে বোঝা যায় যে আপনি একজন গুছানো স্বভাবের মানুষ। মায়েরা অসুস্থ হলে বোঝা যায় যে তারা কত কাজ করে ।
আসলে সাধরন ভাবে একটা ধারণা আছে যে মেয়েরা কোনো কাজ করে না কিন্তু আসলে মেয়েদের কাজের কোনো রাত দিন নেই। ছেলেরা কাজ করে বাড়িতে এসে রেস্ট নেয় কিন্তু মেয়েরা মাঝরাতে উঠেও কাজ করে কিন্তু মূল্যায়ন কম এই যা।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পরে। এতো সুন্দর করে দিনলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর অভিমত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
হুম ভাই যে পরিমাণে ঠান্ডা সকাল বেলা উঠতেই মন চায় না ৷ তারপরও উঠতে হয় আপনিও উঠেছিলেন তারপর সকালের নাস্তা সেরে ফেলেন ৷ তারপর দেখলাম হাঁস নিয়ে এসেছেন ৷ সাধারনত আমি জানি অতিরিক্ত ঠান্ডায় নাকি হাঁস তেমন টা খাওয়া যায় না ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
আমি আগে এই হাস কিনতে পারতাম না, দেশি বলে ঢাকায় এখন সব খাকি ক্যাম্বেল হাস বিক্রি হয়। এগুলোর গলা অনেক লম্বা, আর খেতেও মজা নয়। আপনার পোস্টে দেখা হাসটি একদম খাটি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি চায়ের সাথে মুড়ি, এবং চানাচুর মেখে খেয়েছেন,
এটা আমিও বেশ পছন্দ করি কারণ সকালে হালকা নাস্তা এটাই যথেষ্ট,
আপনার মা অসুস্থ তাই আপনি আপনার মাকে রান্নার কাজে অনেক হেল্প করছেন যেন ভালো লাগলো।
তাই শহরে পাতি হাঁস খুব একটা পাওয়া যায় না এবং প্রচুর দাম, গ্রামে অনার্সে পাওয়া যায়, আর এটা খেতে তো অসম্ভব মজাদার। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনার কাছে যেমন দেশি হাঁস খেতে অনেক ভালো লাগে ঠিক তেমনি আমার কাছেও দেশে আসার মাংস স্বাদ নিতে অনেক ভালো লাগে।
দেশি হাস দেশি মুরগির স্বাদ অন্যরকম সেটা যারা প্রতিনিয়ত খায় তারাই বোঝে।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।