The Diary Game | | A Beautiful Day | | 14-02-2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
প্রতিদিনের ন্যায় গতকালকেও সঠিক সময়ের মধ্যেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। তবে এখন আর আগের মতো দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা হয় না কারণ প্রতিদিন সঠিক সময়ের মধ্যে ল্যাবে যেতে হয়। আমি ঘুম থেকে উঠেই আমার নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রেখেছিলাম। তারপর বাড়ির বাইরে বের হয়ে দেখি তেমন একটা রোদ উঠে নাই হালকা শীত শীত ভাব ছিল। আকাশের দিকে দেখলাম সূর্য আর মেঘ একসঙ্গে লুকোচুরি খেলতেছে। মনে হচ্ছে যে আজকে রোদ উঠতেও পারে আবার নাও পারে।
তারপর আমি তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিয়েছিলাম। এদিকে আমার আগেই মা ঘুম থেকে উঠে আমার নাস্তার জন্য সব কিছু রেডি করে রেখেছিল। আমিও তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি নাস্তা করে নিয়েছিলাম। নাস্তা খাওয়া শেষ করে রেডি হয়ে বাসা থেকে ল্যাবে আসার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম।
আমি প্রতিদিন ভ্যান গাড়ি করে ল্যাবে যাতায়াত করি। সেই ক্ষেত্রে সকালবেলা একটু ভ্যান গাড়ি কম পাওয়া যায় যার কারণে একটু অপেক্ষা করতে হয়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমি গাড়ি পেয়েছিলাম তারপর ল্যাবে চলে আসি। ল্যাবে আসার সময় একটা বিষয় খেয়াল করলাম এবং আপনাদের মাঝে বিষয়টা তুলে ধরলাম। আমাদের পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশন সবাই জানে যে বাংলাদেশের তৃতীয়তম রেল স্টেশন। এই স্টেশন অনেক বৃহৎতম স্টেশন। আবার এখানে এত বড় স্টেশন ছাড়াও আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রয়েছে।
যেটি আমাদের উত্তরবঙ্গের মধ্যে শুধু এই একটাই রয়েছে। কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ রেলওয়ে কারখানা। আমরা মূলত সবাই জানি এই কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় ট্রেনের ইঞ্জিন রিপেয়ারিং করা হয়। এখানে বিভিন্ন রকমের ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা রয়েছেন। এখানে খুব সহজেই ট্রেনের ইঞ্জিন মেরামত করা হয়ে থাকে।
এই কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা আমাদের উত্তরবঙ্গের মধ্যে শুধু এই এক জায়গাতেই রয়েছে যেটি আমাদের পার্বতীপুর থানার ভিতরের মধ্যে পড়ে। আমাদের পার্বতীপুর থানা এই রেলওয়ে স্টেশন এবং এই লোকোমোটিভ কারখানার দিক দিয়ে অনেক উন্নত। এরপর আমি ল্যাবে এসে আমার দৈনন্দিন যে কাজ সেগুলো করেছিলাম।
কাজ করার মাঝে কালকে একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল কারণ আমার রিপোর্টের প্রিন্টার মেশিন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ভাই এবং আমি দুজনে মিলে আমাদের যে পার্শ্ববর্তী সৈয়দপুর সেখানে গিয়েছিলাম। কারণ মেশিনটার ওয়ারেন্টি ছিল বিধায় সেখানে গিয়ে রিপেয়ার করার জন্য গেছিলাম। সেখানে কাজ শেষ করে আবারো চলে আসি।
তারপর বিকেলবেলা মোটামুটি কাজ শেষ করি। এরপরে বিকেলে ল্যাবে চা খেয়েছিলাম। মোটামুটি কালকে ৭টা পর্যন্ত ডিউটি করেছিলাম। তারপর সব কাজকর্ম শেষ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। মোটামুটি ৫০ মিনিটের মধ্যেই বাসায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। বাসায় গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে মা এবং আমি দুজনে মিলে রাতের ভাত খেয়েছিলাম। প্রতিদিন অনেক ক্লান্ত থাকার কারণে আর বেশি রাত জাগেনি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
ধন্যবাদ
আসলে প্রিন্ট করার জিনিস যদি নষ্ট হয়ে যায় কাজ করা অনেকটা বেশি ঝামেলা হয়ে যায়। যাই হোক মেশিনটার ওয়ারেন্টি কার্ড থাকার কারণে, তাড়াতাড়ি গিয়ে ঠিক করতে পেরেছেন। তা না হলে আরো বেশি ঝামেলায় পড়তেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর অভিমত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরা যখন কোন চাকরি বা যে কোন কাজে যুক্ত হয়ে যায় তখন আমাদের সময় মত ঘুম থেকে উঠতে হয়।। আর যথা সময় আমাদের কাজে যেতে হয় আর আপনিও এর বিপরীত নয়।। আজ কাজে যেয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। আপনার প্রিন্টার মেশিন সমস্যা হয়েছিল আসলে কাজের ক্ষেত্রে আমাদের এরকম অনেক সমস্যা হয়ে থাকে।
আমার পোস্টে চমৎকার মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
কর্মজীবনে প্রবেশ করলে তখন আর নিজের খেয়াল খুশি মতো ঘোরাঘুরি করা যায় না, সবসময়ই কাজের চাপে থাকতে হয়। ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের খেয়াল রাখবেন,সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য ও শুভ কামনা রইল।
আপনার আরামের দিন শেষ, এখন চাইলেও ইচ্ছেমত ঘুমানোর সুযোগ নেই। এর জন্যে ছুটির দিন গুলো শুধু পাবেন।
প্রিন্টার এর সমস্যার কারণে সাময়িক বিপদে পড়েছিলেন, আশা করি সমাধান হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় লোকমেটিভ কারখানার সামনে দিয়ে আমাকে অনেক বার যেতে হয়েছে, তাই ছবি দেখেই চিনে ফেলেছি।
আপনার আমাদের পার্বতীপুর থানা সম্পর্কে ধারণা আছে এবং এই লোকোমোটিভ কারখানার সামনে রাস্তা দিয়ে আপনি যাতায়াত করেছেন।