The Diary Game | | A Beautiful Day | | 06-01-2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
প্রতিদিনের ন্যায় আমি গতকালকেও একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠার পিছনে আমার একটা বিশেষ কারণ রয়েছে। কারণ আমি আজকে আমার নানা ও খালা বাসায় যাব। আমার এক জায়গায় চাকরি হয়েছে তাই আমি আমার সব গুরুজনদের কাছে দেখা করার জন্য ও দোয়া নেওয়ার জন্য তাদের বাসায় যাব। আমি ঘুম থেকে উঠে আমার নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখি। তারপর ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি মা আমাকে সকালের নাস্তা খেতে দিয়েছিল। নাস্তা খেয়ে আমি আবারও রেডি হয়ে আমার নানা ও খালা বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা হই।
আমার দুইটি বড় খালা আছে তার মধ্যে একটি খালার বাসা আমার নানা বাসার কাছেই। আমি রেডি হয়ে সোজা প্রথমে আমাদের পার্বতীপুর শহরে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমার নানার জন্য ফল ও মিষ্টি নিয়েছিলাম, আর আমার খালার যেহেতু ডায়াবেটিস ছিল সেই ক্ষেত্রে মিষ্টি না নিয়ে আমি মাছ কিনেছিলাম। কারন আমার বড় খালার মাছ অনেক পছন্দ। তাই আমি সবকিছু কিনে ওই দিক দিয়ে আমার নানা বাসায় চলে যাই। অনেকদিন পর নানা বাসায় যাওয়াতে নানা অনেক খুশি হয়েছিল। তারপর নানার সঙ্গে আমার দীর্ঘক্ষণ চাকরির বিষয় নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়। পরে আবারো আমি সেখান থেকে আমার খালা বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে খালার জন্য যে মাছ কিনেছিলাম আমি খালাকে দিয়ে দেই। অনেকদিন পর যাওয়াতে খালাও অনেক খুশি হয়েছিল। তারপর খালা আমার জন্য অনেক নাস্তা রেডি করেছিল, আমি খালাকে বলেছিলাম যে নাস্তা না খেয়ে আমি একটু পর ভাত খাব।
অনেকদিন পর গিয়েছিলাম তাই আমি আমার নানা বাসাও খালা বাসার আশেপাশে একটু ঘুরে বেরিয়েছিলাম। তারপর মোটামুটি দুপুর হয়ে গেছিলো, পরে আমাকে খালা খেতে দিয়েছিল। পরে খাওয়া শেষ করে খালার সঙ্গে চাকরি এসব বিষয় নিয়ে একটু গল্প করে আমি সেখান থেকে আমাদের বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে মোটামুটি দুপুর তিনটা বেজেছিল তারপর আমি গোসল করে নেই। গোসল করে আমি আবারো রেডি হয়ে আমার মেজো খালার বাসায় যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছিলাম। আমাদের বাসা থেকে আমার মেজো খালার বাসা একটু দূরেই ছিল। তাই আমি গাড়িতে আমার খালা বাসায় পৌঁছে যাই। এর মাঝে আমি একটি বাজার থেকে মুরগি ও মিষ্টি কিনে নিয়ে গেছিলাম। আসলে অনেক দিন পর কোন আত্মীয়-স্বজনের বাসায় গেলে তারা অনেক খুশি হয়।
সেখানে গিয়ে আমার খালা ও খালু এবং আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে অনেক কথাবার্তা হয়। খালা বাসায় গিয়ে আমার মোটামুটি সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল তবে আমার চিন্তা ছিল রাতের মধ্যেই ফিরে আসা তবে খালা ও খালু আমাকে আসতে দেয় নাই। রাত হয়েছিল এবং অনেকদিন পর গিয়েছি খালা আমার জন্য অনেক রান্নাবান্না করেছিল। পরে রাতে খালা ও খালু এবং বড় ভাই সবাই মিলে আমরা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করি। তারপর ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নেই। তারপর ঘুমিয়ে যাই।
দিনশেষে আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে উপস্থাপনা করছেন আপনার খালা ডায়াবেটিস এই জন্য মিষ্টি না নিয়ে খেলার জন্য মাছ কিনেছেন। এটাও একটা বুদ্ধিমানের কাজ। মাছ বাঙালিশর প্রায় সবার কাছে পছন্দ তবে আপনার খালা একটু বেশি পছন্দ করে হয়তোবা।
ভাই আপনি যে মাছ কিনছেন যদি এর দামটা উল্লেখ করে দিতেন তাহলে আমরা জানতে পারতাম বাংলাদেশ এখন ওই মাছের দাম কত চলছে।
ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কিছু শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে। এতো সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
যেহেতু পড়াশোনা শেষ করে নতুন চাকরিতে জয়েন করতে যাচ্ছেন। তাই আপনি আপনার আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ঘুরতে বের হয়েছেন। আসলে খালার বাড়ি নানুর বাড়ি ঘুরে বেড়ানোর মজাটাই অন্যরকম। সবার সাথে দেখা করে। খাবার-দাবার খেয়ে নানুর বাড়ি থেকে, আপনি যখন আবার আপনার খালার বাড়িতে রওনা দিয়েছেন
তখন আপনি যাওয়ার সময় মুরগি এবং মিষ্টি কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। কেননা আপনি নতুন চাকরি পেয়েছেন তাই সবার জন্য মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে গল্প করতে করতে আপনার রাত হয়ে গেল। এরপর আপনার খালু আর আপনাকে বাড়িতে আসতে দিল না। সবাই মিলে রাতে রান্না করে রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আবার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে গুরুজনদের সাথে দেখা করা এবং তাদের আশীর্বাদ নেওয়া খুবই ভালো একটা কাজ। এই ব্যাপার গুলো আজকাল আমাদের সমাজ থেকে উঠে যেতে বসেছে। আপনাকে এগুলো করতে দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। খালার ডায়াবেটিস থাকার দরুণ মিষ্টি না কিনে তার বদলে মাছ কিনে খুবই ভালো কাজ করেছেন।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে এতো সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।