Better Life With Steem | | The Diary Game | | 31 March, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
গতকালকে রাতে আমি রংপুরে এক বড় ভাইয়ের বাসায় ছিলাম। সেহরি খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে আমাকে আবার রংপুর থেকে পার্বতীপুর যেতে হবে। কারণ সকালবেলা আমার ল্যাবে ডিউটি আছে। সকাল ৭:০০টার মধ্যেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিয়েছি।
পরে আমার যাবতীয় জিনিসপত্র সাথে নিয়ে ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রংপুর বাস স্ট্যান্ডের দিকে এসেছিলাম। বাসে'র জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এর মাঝে রংপুরের টার্মিনাল ফুটওভার ব্রিজের উপর উঠে একটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম। ফুটওভার ব্রিজের উপর উঠলেই মোটামুটি রংপুর শহরের ব্যস্ত নগরীটা একটু হলেও দেখা যায়।পরে বাস আসার পর গাড়িতে উঠে পার্বতীপুরে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
বাসে উঠে আমার মূলত সরাসরি পার্বতীপুর বাস টার্মিনালে যাওয়ার কথা ছিল। মানে বাসায় না গিয়ে সরাসরি এদিক দিয়েই ল্যাবে ডিউটি করার জন্য যেতে চেয়েছিলাম। এর মাঝে চিন্তা করলাম বাসায় গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে গেলে ভালো হবে। এজন্য খোলাহাটি বাস টার্মিনালে নেমে বাসায় গিয়েছি। বাসায় গিয়ে সব জিনিসপত্র রেখে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছিলাম।
এদিকে মা ঈদে পিঠা খাওয়ার জন্য রাইস মিল থেকে চাল ভেঙ্গে নিয়ে এসেছিলো। আগের দিনের মানুষেরা ঢেঁকিতে চাল ভাঙ্গাতো কিন্তু সেগুলো আর নেই। এসব স্মৃতি কই যেন হারিয়ে গেছে এখন সবাই রাইস মিল থেকেই চাল ভেঙে নিয়ে আসে। সেগুলো রোদে শুকানোর জন্য মা'কে সাহায্য করেছিলাম।পরে খেয়াল করলাম ল্যাবে যাওয়ার যে সময় ছিল সেটা পার হয়ে গিয়েছে। এজন্য ভাইকে কল দিয়ে বলেছিলাম আমার যেতে একটু দেরি হবে। পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করার পর আমার যে সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে শেষ করেছিলাম। গতকালকে সকালবেলায় ডাক্তার না থাকলেও তবুও অনেকগুলো কাজ হয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবেই সবগুলো কাজ সম্পন্ন করেছিলাম।
পরে মোটামুটি দুপুর হয়ে গেলে একটু অবসর সময়ে আগামী দিনের জন্য পোস্ট সাজিয়েছিলাম এবং স্টিমিটেতে ঢুকে কয়েকজন বন্ধুর পোস্টে কমেন্টও করেছিলাম। এসব কাজ শেষ করতে যোহরের আযান দিয়েছিল। যোহরের নামাজ পড়ে প্রতিদিনের মতোই বিকেলবেলা শুয়ে রেস্ট করেছি। প্রতিদিন বিকেলবেলা যে, শুয়ে রেস্ট করি এটা হল আমাদের দুপুরের খাবারের সময়। কিন্তু রমজান মাস এজন্য শুয়ে রেস্ট করি।
গতকালকে সন্ধ্যার দিকে ইফতার বানানোর জন্য কোন টেনশন ছিল না। কারণ প্রতিষ্ঠানের মালিক ভাইয়েরা বাসায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিল। এজন্য তাদের বাসায় আমাদের সবার দাওয়াত ছিল। সেখানে গিয়ে সবাই মিলে ইফতার করেছিলাম। ইফতার করে মাগরিবের নামাজ পড়েছি।
নামাজের পর আবহাওয়া কেন জানি একটু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল, অনেক জোরে বাতাস উঠছিল। তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। যাওয়ার সময় গাড়িতে তেল শেষ হয়ে গিয়েছিল এজন্য পেট্রোল পাম্প থেকে তেল নিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছে সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়েছি। পরে বেশি রাত জাগিনি তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।
বলা যায় আপনার আজকের দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কাটাতে হয়েছে। কেননা রংপুর থেকে বাড়িতে গিয়েছেন। ওখান থেকে আবার ল্যাবের মধ্যে নিজের কাজ করার জন্য উপস্থিত হয়েছেন। তবে ইফতারের সময়টা খুব সুন্দর ভাবেই পার করেছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
জ্বী আপু! আপনি একদম ঠিক বলছেন। সারাদিন অনেক ব্যস্থতার মাঝে দিন পার করেছি। আমার পোস্টে চমৎকার মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
এটা একদম সত্য যে আগের সেই দিন গুলি এখন নাই। আগে ঈদ মানেই দেখতাম রাত জেগে ঢেকিতে আটা কুটা হতো, এখন আর ঢেকি খুজেই পাওয়া যায় না। সব কিছু যান্ত্রিক হয়ে গিয়েছে।
আপনার ল্যাব মালিকের বাসায় ইফতার আয়োজন হওয়ায় আজকে আপনাদের সুবিধে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো একোতা দিন পার করেছেন।
বর্তমানে ভাই গ্রামের অনেক কিছু স্মৃতি একদম হারিয়ে যাওয়ার মত হয়ে গেছে। আপনি একদম ঠিক বলেছেন আগে ছোটবেলায় ঢেঁকিতে চাল ভাঙ্গানো দেখতাম কিন্তু এখন আর এসব নেই। পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকে বেশ ব্যস্ততার সাথেই দিন পার করেছেন। আর হ্যাঁ আমার মা ও এভাবে চাউলের গুড়া শুকাতে দেয়।। আচ্ছা খিচুড়িটা দেখতে বেশি লোভনীয় লাগছে।।
জ্বি ভাই কিছু খিচুড়িটা খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। চাউলের গুড়া এভাবে শুকাতে দিলে বেশি দিন আঠা ভালো থাকে। চমৎকার মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।