Better Life With Steem | | The Diary Game | | 27 June, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ অন্যান্য দিনের থেকে গতকালকে একটু ভোরেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে ওঠার কারণ হলো মা অনেকগুলো ধান সিদ্ধ করেছে। মূলত মা'কে ধান সিদ্ধ করার কাজে সাহায্য করার জন্য তাড়াতাড়ি উঠেছিলাম।
যদিও ফজরের দিকে আবহাওয়া ভালোই ছিল। কিন্তু সকাল হওয়া মাত্রই আকাশ চারদিক থেকে অন্ধকার হয়ে এসেছিল। মুহূর্তেই মনটা খারাপ হয়ে গেছিল। কারণ ধান সিদ্ধ করার পর যদি একটুও রোদ না পায়। তাহলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা বৃষ্টি দিলে আমাদের এখানে কিছুই করার নেই।
যাইহোক, পরে বৃষ্টি দেখে আর সবগুলো ধান সিদ্ধ করি নি। অর্ধেকের মত ধান সিদ্ধ করেছিলাম। তাতেই, এগুলো নিয়ে যে টেনশনে পরেছিলাম জানিনা কি হবে। পরে বৃষ্টি শুরু হলে, পলিথিন দিয়ে ধানগুলো ঢেকে দিয়েছি। এদিকে আমারও ডিউটিতে যাওয়ার সময় হয়ে গেছিল।
সকালবেলা শুধু আম খেয়েই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। ল্যাবে যাওয়ার সময় বৃষ্টি ছিল না। কিন্তু সকালবেলায় বৃষ্টি হয়েছিল, যার কারণে বাড়ির উঠান ভেজা ছিল। বাড়ির উঠান ভেজা থাকলে তো আর ধান শুকাতে দেওয়া যাবে না। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি।
ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছিলাম। পরে কিছু সময় পর অনেক ক্ষুধা লেগেছিল। কারণ বাসা থেকে শুধু আম খেয়ে এসেছিলাম। তাই সামনের হোটেলে গিয়ে ছোলা মুড়ি খেয়েছি। যে ভাই আমাদের ফার্মেসিতে থাকে, উনি কিছু ঔষধ নিয়ে আসার জন্য রংপুরে গিয়েছিল। এজন্য দুপুর পর্যন্ত বাকি সময় ফার্মেসিতেই ছিলাম।
দুপুর ২:০০টার দিকে দুপুরের খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। এর মাঝে ফার্মেসীর ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। সবগুলো ওষুধ ভালোভাবে কিনতে পেরেছি কিনা। তিনি বলেছিল সব ওষুধ কেনা হয়েছে।
বিকেলের দিকে বাইরে একটু হাঁটাহাঁটি করেছি। মোটামুটি বিকেল ৫:০০টা নাগাদ ফার্মেসির ভাই ওষুধ নিয়ে চলে এসেছিল। তিনি ওষুধগুলো ফার্মেসিতে রেখেই বাসায় গিয়েছিল ফ্রেশ হওয়ার জন্য। আমি ঔষুধের প্যাকেটগুলো খুলে সব ওষুধ ভালোভাবে চেক করেছিলাম।
এরপরে আবারও ফার্মেসি ভাই চলে এসেছিল। পরে এক এক করে ওষুধ বের করে কম্পিউটারে নতুন করে এন্ট্রি দিয়েছি। আমাদের ফার্মেসিতে যেকোন ঔষধ নিয়ে আসলে, সেটা আগে কম্পিউটারে এন্ট্রি দিতে হয়। অনেকগুলো ওষুধ ছিল এন্ট্রি দিতে বেশ ভালই সময় লেগেছে।
সব কাজ শেষ করে মোটামুটি রাত আটটা নাগাদ ল্যাব বন্ধ করেছি। ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। বাসায় যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলের সার্ভিসিং দোকানে গিয়েছি।
আমার গাড়ির ব্রেকটা একটু লুজ হয়ে গেছিল। পরে সেটা সার্ভিসিং করে নিয়েছি। গাড়ি সার্ভিসিং করে বাসায় চলে গিয়েছিলাম। বাসায় গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে মা এবং আমি রাতের খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে আর বেশি রাত জাগিনি। তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
ধান সিদ্ধ করতে গিয়ে ভীষণ ঝামেলায় পড়ছিলেন কারন বৃষ্টি আসার সম্ভবনা ছিলো। তবে বৃষ্টি আসলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে ফেলেছিলেন। আমার বাড়িতে ধান সিদ্ধ করা হয় না তবে ধান শুকাতে দিলে যদি বৃষ্টি আসে তাহলে আমরাও পলিথিন দিয়ে ঢেকে ফেলি। সকাল বেলা শুধু আম খেয়েই ল্যাবে গিয়েছিলেন। গাড়িতে ভালো ব্রেক থাকা অন্তত জরুরি কারন এটার উপর আমাদের জীবন নির্ভর করে। ভালো থাকবেন।
ভাই বর্তমান বর্ষাকাল সময়। কিন্তু কয়েকদিন আগে যে পরিমাণে রোদ ছিল। সেই আশা করে, আমরা দান সিদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে আবার আকাশ খারাপ হওয়ার পরে, ধান শুকানো নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছিলাম। কিন্তু সবকিছুই আমাদের সৃষ্টিকর্তার হাতে। ধান সিদ্ধ করার পর বৃষ্টি এসেছিল, তাই তাড়াতাড়ি করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
হ্যাঁ ভাই! একদম ঠিকই বলেছেন, গাড়িতে ব্রেক থাকাটা খুবই জরুরী। কারণ ব্রেক না থাকলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
আসলে আপনি প্রতিদিন যে ল্যাবের বিষয়ে আমাদের মাঝে এত সুন্দর কিছু জিনিস শেয়ার করেন সেটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এবং আপনার সারাদিনের কাজকর্ম অনেক ভালো ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি আপনার সারাদিনের কাজকর্ম বিষয়গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আমি প্রতিদিন ল্যাবে ডিউটি করি। কারণ আমি এই মেডিকেল ল্যাব ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করেছিলাম। আর প্রতিদিন ডিউটিতে যাওয়া আমার একটা দৈনিক রুটিন। ল্যাবে কাজ করার পাশাপাশি আমি সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আপনাদের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমার কার্যক্রম গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ভালো থাকবেন।
এই বৃষ্টির সময় ধান সিদ্ধ করা একেবারেই উচিত নয়।কেননা যদি রোদের দেখা না পাওয়া যায় তাহলে ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমি ঠিক জানি না আপনাদের ধানের বর্তমান অবস্থা কেমন। তবে আশা করি শুকিয়ে গেছে। যেহেতু একটা চাকরি করছেন ওখানেও যেতে হবে। তাই তাড়াতাড়ি করে সবকিছু গুছিয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে নিজের কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ফার্মেসিতে কিছুক্ষণ বসে ছিলেন এরপরে আপনি আবার নিজের কাজে যোগ দিয়েছেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে এসেছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন বর্তমানে বর্ষাকাল সময়। এই বর্ষাকাল সময়ে ধান সিদ্ধ করা একেবারে উচিত নয়। কিন্তু যে সময়ে ধান সিদ্ধ করেছিলাম। তার আগে বেশ কয়েকদিন ভালোই রোদ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে একটানা বৃষ্টি শুরু হবে সেটা আশা করিনি।
হ্যাঁ আপু! যেহেতু একটা চাকরি করি সেখানে তো সময় মত যেতে হবেই।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।