Better Life With Steem | | The Diary Game | | 27 January, 2025

in Incredible India25 days ago

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক:

The Diary Game_20250128_111900_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে ঘুম ভেঙেছিল সকাল ৯টা নাগাদ। ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম কিছু কাপড় ভিজিয়ে রেখেছি। ব্যাচেলর জীবনে নিজের কাজ সবসময় নিজেকেই করতে হয়। এখানে তো আর মা নেই আমার কাপড় পরিষ্কার করে দিবে। পরে কিছুক্ষণ ফোন চালিয়েছিলাম।

তখন মোটামুটি এগারোটা পার হয়ে গিয়েছে। পরে বাইরে নাস্তা খাওয়ার জন্য গিয়েছি। আমাদের বাসার সামনে একটি ছোট্ট দোকানে সিঙ্গারা পাওয়া যায়। সিঙ্গারা গুলো গরম গরম খেতে বেশ ভালোই লাগে।

IMG_20250127_123427.jpg

IMG_20250127_123415.jpg

নাস্তা খেয়ে আবারো বাসায় এসে কাপড় পরিষ্কার করেছি। এরপর ছাদে গিয়ে কাপড় শুকাতে দিয়েছিলাম। গতকাল সকালবেলা রোদের তেমন একটা তাপ ছিল না। আমাদের ছাদের উপর থেকে মোটামুটি চাঁদপুর শহর অনেকটাই দেখা যায়।

রুমে এসে প্রতিদিনের মতো আবারো রান্না কাজ করেছি৷ চাকরি বাদেও নিজের রুম পরিষ্কার করা, কাপড় পরিষ্কার করা, রান্না করা সব মিলিয়ে ভালোই ব্যস্ততার মাঝে দিন পার করতে হয়। তারপরেও আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি।

IMG_20250127_152600.jpg

গতকালকে আমার ডিউটি ছিল বিকেল ৩টার সময়। রান্না শেষ হওয়ার পর গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ খাওয়া শেষ করে অফিসে উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। গতকালকে স্যাম্পল কালেকশন এবং ল্যাব দুটোতেই আমার ডিউটি ছিল। কারণ ল্যাবের এক ভাই গতকালকে ছুটিতে ছিল।

Screenshot_20250127_165844.jpg

খেলা দেখার সময় স্ক্রিনশট নেওয়া

আর গতদিনে কাজের চাপও বেশ ভালই ছিল। কাজের ফাঁকে কোন দিক দিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে বুঝতেই পারেনি। তবে সন্ধ্যার দিকে অবসর সময়ে একটু বিপিএল খেলা দেখেছিলাম। খুলনা টাইগার্স ১৮৭ রান টার্গেট দিয়েও বরিশালের সাথে জিততে পারেনি।

আর হ্যা! গতকালকে একটা ঝামেলায় পড়েছিলাম। একটা ছোট বাচ্চার ব্লাড গ্রুপ "ও" নেগেটিভ পেয়েছি। আমরা সচরাচর নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপ দুই থেকে তিন বার চেক করে তারপর রিপোর্ট দিয়ে থাকি। আমি চেক করার পরেও আমার ইনচার্জ ভাই আবারো চেক করেছে। আমার কাছে সব থেকে কঠিন টেস্ট মনে হয় ব্লাড গ্রুপিং।

IMG_20250127_211634.jpg

গতকালকে শুক্রবার না হওয়ার পরেও বেশ ভালোই কাজ হয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা সাতটার পর আমাদের ল্যাবের কাজ, সেই সাথে ঢাকার স্যাম্পল রেডি করে পাঠানো বেশ চাপে ছিলাম। সত্যি কথা বলতে, গতকালকে বিকেল তিনটা থেকে রাত দশটা বেজে গিয়েছে কিভাবে বুঝতেই পারিনি। এভাবে একটানা ডিউটি করতে আমার অবশ্য ভালই লাগে। সময় কোন দিক দিয়ে চলে যায় টেরও পাওয়া যায় না।

IMG_20250127_222200.jpg

মোটামুটি সব কাজ শেষ করে রাত দশটার দিকে ল্যাব বন্ধ করেছি। এরপর সবাই মিলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসায় আসার পথে একটা মুদি দোকান থেকে রান্নার জন্য কিছু বাজার করেছি। ঐ যে শুরুতেই বলেছি না, রান্না করে খাওয়া আসলেই অনেক কষ্টকর। তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ।

ধন্যবাদ

Sort:  
 25 days ago 
DescriptionInformation
Verified UserYes
Burnsteem 25No
#steemexlusiveYes
Plagiarism FreeYes
Bot FreeYes
AI/Gpt FreeYes
350+ WordsYes
Club5050Yes
Community beneficiaryYes
Voting CSI12.2
Quality7.8/10
Feedback / Observation
  • আমার মনে হয় মেডিকেল লাইনের যেকোনো কাজই অনেক কষ্টকর, হয়ত সেটা আমার জ্ঞানের পরিধির বাইরে বলেই এমনটা মনে হয়। তবে বাইরে থেকে আমরা যেমন রক্ত সবই সমান দেখি, তবে যারা আপনারা সেটার গ্রুপ ভাগ করেন তাদের কাছে বিষয়টা আসলেই অনেকটা কঠিন। আর আপনাদের দু-তিনবার চেক করাটা আমাদের জন্য অনেকটা স্বস্তির, কারণ আপনাদের রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা আমাদের জীবনের পরবর্তী পদক্ষেপ গুলো নিয়ে থাকি, সেটা রক্তদান করা হোক কিংবা প্রয়োজনে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে হোক। তাই এই দিকে আপনি বা আপনারা বেশি সতর্ক থাকেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। এমন ভাবে যদি প্রত্যেককে কাজ করে তাহলে রোগীদের পক্ষে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করাটা সহজ হয়।

  • সত্যি বলতে অনেকেই মনে করেন মহিলাদের সারাদিনে কাজ আর কি, সেই জামা কাপড় কাঁচা সেই রান্না করা, সেই সংসার গোছানো। তবে আপনারা যারা হোস্টেলে কিংবা ভাড়া বাড়িতে দিনযাপন করেন এবং নিজেদের কাজ নিজেরা গুছিয়ে করেন, আমার মনে হয় তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই বদলে যায় এবং তারা বুঝতে পারেন বাইরের অফিসে বা কোম্পানিতে কাজ করার মতোই সংসার সামলানোটাও যথেষ্ট কষ্টেরই একটি কাজ, সেটা নেহাতেই খুব সহজ ও সাধারন নয়।

  • আমার মনে হয় বর্তমানে আপনি যে সময় পার করছেন, তাতে করে জীবন সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে আপনি ততখানি সাবলম্বী হবেন যেখানে, আপনার অন্যের উপরে নির্ভর করার খুব বেশি প্রয়োজনীয়তা হবে না। এমন ভাবেই স্বাবলম্বী জীবন যাপন করুন আগামীতেও, দিদি হিসেবে এই কামনাই করবো। ভালো থাকুন।

  • We would like to appreciate your presence and activities towards the community. Our community also likes to inspire you to participate in the engagement by visiting others' posts and making insightful comments.


Regards
@sampabiswas(Co-Admin)
Incredible India
Date:-28/01/2025

Discord Twitter Telegram Instagram

4IJbBnRVy9Iq78L7aK.gif

 25 days ago 

সত্যি কথা বলতে দিদি, আপনার মন্তব্যগুলো পড়লে মনের ভিতরে একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। কেন জানি, নিজের ভিতর কাজের প্রতি একটা অন্যরকম অনুপ্রেরণা তৈরি হয়।

দিদি আমরা খুব ভালো করে জানি, আমাদের এই ল্যাবরেটরি ডিপার্টমেন্ট এবং মেডিকেল সেক্টরের সব কাজই অনেক ক্রিটিকাল। তবে বিশেষ করে এই ব্লাড গ্রুপিং জন্ম থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একই থাকে। কেউ চাইলেও এই ব্লাড গ্রুপিং কখনো পরিবর্তন করতে পারবে না। এজন্য আমরা সব সময় সর্বদার সহিত টেস্ট করে রিপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করি। বিশেষ করে নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপগুলো দুই থেকে তিনবার চেক করে তারপর রিপোর্ট দেই।

জি দিদি আমি আমার নিজের মা'কে দেখেই বুঝতে পারি। সংসারে কত রকমের কাজ থাকে যার কোন হিসাব নেই। এটা আমি খুব ভালো করে উপলব্ধি করতে পারি। তাই নিজেও সব সময় গুছিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। আমার জন্য দোয়া করবেন দিদি।

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 25 days ago 

আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে আপনি খুবই ব্যস্ত একজন মানুষ। ল্যাবের কাজ, স্যাম্পল রেডি করা, এবং রান্না করার মতো সব দায়িত্ব একসাথে সামলানো সত্যিই চ্যালেঞ্জিং, তবে আপনি সেটা এত ভালোভাবে করেছেন, সেটা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার পরিশ্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। আল্লাহর রহমতে আপনার পরিশ্রমের ফল নিশ্চয়ই ভালো হবে। ভালো থাকবেন।

 19 days ago 

সত্যি কথা বলতে যখন পড়াশোনা করতাম তখন এত কিছু বুঝতামই না। কিন্তু চাকরি জীবনে এসে সময় মত ডিউটি করা, রান্না করে খাওয়া, রুম পরিস্কার করা সব মিলিয়ে একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। যেটার প্রতিদিনেই এখন আমি সম্মুখীন হচ্ছি। তারপরও সবকিছু গুছিয়ে করার চেষ্টা করি।

আমার জন্য দোয়া করবেন যেন সবকিছু ঠিকঠাকভাবে পালন করতে পারি।

 23 days ago 

ছোটবেলায় আমাদের কাপড়-চোপড় মা ধরিয়ে দিল বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজের কাপড়-চোপড় নিজেরই ধুইতে হয়।। যেহেতু এখন বাইরে আছেন তাই সবকিছু নিজেকেই করতে হয় বাসায় থাকলে যদিও কিছু কাজ মা করে দেয়।। শীতের মধ্যে গরম গরম সিঙ্গারা খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে।।। বিকালে ডিউটি থাকায় সকালে উঠতেও সমস্যা ছিল না শুনে ভালো লাগলো।।

 19 days ago 

ছোটবেলা নিজের ইচ্ছামত সব কিছুই করেছিলাম। কিন্তু বাইরে থাকার কারণে বিশেষ করে ব্যাচেলর জীবনে বাইরে থাকা অনেক কষ্টকর। সবকিছু নিজের কাজ নিজেই করতে হয়।
এখন বুঝি সেই ছোটবেলার কাটানোর সময় এবং অতীতগুলো।
গরম গরম শিকার আমার শুধু শীতের সময় নয়, সব সময়ই ভালো লাগে।

সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

 22 days ago 

যারা এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করে তাদের জন্য কখন কি কাজ অপেক্ষা করে সেটা কেউই জানে না তবে আপনার বিকেল বেলার দিকে ডিউটি থাকার কারণে আপনি সকালবেলায় নিজের কাজগুলো গুছিয়ে নিতে পেরেছেন শুক্রবার না হওয়ার সাথেও আপনাকে অনেক কাজ বাড়তি করতে হয়েছে যেটা আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে বুঝতে পারলাম অসংখ্য ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার দৈনন্দিন কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।

New to Steemit?

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96627.07
ETH 2769.68
SBD 0.65