Better Life With Steem | | The Diary Game | | 24 May, 2024

in Incredible India5 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:

20240525_142036_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ অন্যান্য দিনের থেকে গতকালকে খুব ভোরেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। বলতে গেলে, বাসায় যতদিন ধানের কাজ শেষ হয় নাই, ততদিন এভাবেই ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে হবে। ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। এদিকে আমার আগেই মা ঘুম থেকে উঠেছে।

আলহামদুলিল্লাহ আমার দাদা এখনো বেঁচে আছে। আমার দাদাকে আল্লাহ তায়ালা এখনো সুস্থ রেখেছেন। আমার দাদা বাসার মোটামুটি সব কাজ করতে পারে। আমাদের বাসায় অনেকগুলো ধান কাটা হয়েছে।

IMG_20240524_060403.jpg

যদিও ধান শুকানোর শেষ হয়েছে কিন্তু খড় শুকানো হয়নি। তাই ঘুম থেকে উঠে দাদা, আমি এবং মা তিনজনে মিলে খড় শুকাতে দিয়েছি। আমার মতো যারা গ্রামে বসবাস করে তারা হয়তো সবাই জানে, সকালবেলা কিভাবে খড় শুকাতে দেওয়া হয়। মোটামুটি সকাল ৮ ঘটিকার মধ্যে খড় শুকানোর কাজ শেষ করি।

এদিকে বাসায় আরো কিছু ছোটখাটো কাজ ছিল সেগুলোও শেষ করেছি। গতকালকে আমার ফোনের মেগাবাইট শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী দোকানে গিয়ে মোবাইলে রিচার্জ দিয়েছি। মোবাইলে রিচার্জ দিতে গিয়ে দেখলাম ধান কাটার জন্য মেশিন নিয়ে এসেছে। গ্রাম এলাকায় বেশিরভাগ কৃষক নিজ হাতেই ধান কাটে।

IMG_20240524_072423.jpg

কিন্তু বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ অনেক উন্নত হওয়ার কারণে ধান কাটার মেশিন নিয়ে এসেছে। মেশিন দিয়ে খুব অল্প সময়ে অনেক ধান কাটা যায়। পরে আবারো বাসায় এসে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছি। এদিকে ততক্ষণে মা আমার জন্য সকালের নাস্তা রেডি করেছে। আলহামদুলিল্লাহ সকালের নাস্তা খেয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।

গতকালকে ছিল শুক্রবারের দিন। ইতিমধ্যে বিগত পোস্টেই আমি সবাইকে অবগত করেছি, শুক্রবার দিনে আমার ল্যাবে অনেক কাজ হয়। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ ছিল সেগুলো আগে সেরে নিয়েছি।

গতকালকে সকালবেলায়ও ডাক্তার ছিল। ডাক্তার আসার পর রোগী দেখা শুরু হয়ে গেলে আমারও ল্যাবের কাজ শুরু হয়। মোটামুটি একটানা জোহরের নামাজের আগ পর্যন্ত কাজ করেছিলাম।পরে আযান দেওয়ার সাথে সাথে ডাক্তার চলে গিয়েছে।

IMG_20240524_130817.jpg

আমিও যত দ্রুত সম্ভব ওযু করে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে গিয়েছি। শুক্রবারের দিন আমাদের মুসলমানদের জন্য জুমার নামাজের দিন। গতকালকে গরমের তাপমাত্রা ছিল একদম অত্যাধিক। আসলেই কিছু বুঝি না আমি, কয়েকদিন একটানা বৃষ্টি হলে বিরক্ত লাগে। আবার যদি কয়েকদিন একটানা রোদ হয় সেটাও বিরক্ত লাগে।

IMG_20240524_140404.jpg

নামাজ আদায় করে আবারো ল্যাবে এসে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতো বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। গতকালকেও বিকেলবেলা ডাক্তার ছিল। ডাক্তার আসার কথা ছিল বিকেল ৫:০০টার দিকে। বিকেলের দিকে আবারো ক্ষুদা লেগেছিল, পরে সামনের হোটেলে গিয়ে চা এবং রুটি খেয়েছিলাম।

IMG_20240524_184845.jpg

এদিকে ততক্ষণে ডাক্তার চলে এসেছিল। পরে ডাক্তার রোগী দেখা শুরু করলে আমারও ল্যাবের কাজ শুরু হয়ে যায়। মোটামুটি সন্ধ্যার দিকে ল্যাবে ঢুকছিলাম। কাজের চাপে কোন দিক দিয়ে রাত ১১:০০ টা বেজে গেছিল বুঝতেই পারিনি। পরে আলহামদুলিল্লাহ ল্যাবের সবগুলো কাজ সম্পূর্ণ করে ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছি।

IMG_20240524_234738.jpg

গতকালকে অনেক সুন্দর চাঁদ উঠেছিল। রাতের বেলা চাঁদের ছবি তুলতে আমার খুব ভালো লাগে। তাই চাঁদের একটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি। বাসায় গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়েছিলাম। পরে আর বেশি দেরি করিনি, তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।

ধন্যবাদ

Sort:  
Loading...
 5 months ago 

আমার কাছে ধানের কাজ অনেক বিরক্তিকর আর এই গরমের মধ্যে ধানের কাজ করতে গেলে অনেক বেশি ক্লান্ত হতে হয়।। আপনাদের ধানের কাজ শেষ হলেও খর শুকানোর কাজ এখনো শেষ হয়নি।। গতকাল শুক্রবার ছিল তারপরও ল্যাবে যেয়ে কাজ করেছে।। আজকের দিনটি অনেক ব্যস্ততার সাথে পার করেছেন

 5 months ago 

হ্যাঁ! ভাই একদম ঠিক বলেছেন, সত্যিই এই গরমে কাজ করা একদম দুষ্কর। কিন্তু আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি আমাদেরকে ধানের কাজ করতেই হবে। তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খড়ের কাজ গুলো শেষ করেছিলাম।
শুক্রবারে ল্যাবে অনেক কাজ হয়। এজন্য সারাদিন অনেক ব্যস্ততার মাঝেই দিন পার করেছি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 5 months ago 

ধানের কাজ ছাড়া কখনো হয় না ভাই।। আর ধানের কাজ করার সময় বৃষ্টি আসলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি ধান ও খড়ের কাজ শেষ হবে।।

 5 months ago 

আপনার দাদা এখনও বেঁচে আছে দেখে ভালো লাগলো। তবে দুঃখের বিষয় আমি আমার দাদাকে কয়েকবছর আগেই হারিয়েছি। অনেক মিস করি আমি আমার দাদাকে, কিন্তু একদিন তো সবাইকেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যেতে হয়।

আপনি আপনার প্রতিদিনের ল্যাবের কাজের বাইরেও বাড়ির কাজে হাত লাগান দেখে ভালো লাগলো। প্রযুক্তির কল্যানে এখন কৃষকের কষ্ট অনেকটাই লাঘব করে দিয়েছেন। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন অল্প সময়ে সব কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।

 5 months ago 

জ্বী ভাই! আমার দাদা এখনো বেঁচে আছে এবং অনেক সুস্থ আছে। আপনার দাদা যেমন অনেক আগেই মারা গেছে। ঠিক তেমনি আমার দাদী ও আমার জন্মের আগেই মারা গিয়েছে।
হ্যাঁ ভাই যদিও আমি চাকরি করি কিন্তু সব সময় বাড়ির কাজ করার চেষ্টা করি।
বর্তমান সময়ে এই ধান কাটার প্রযুক্তির মেশিন বের হওয়ার কারণে কৃষকদের অনেকটাই সুবিধা হয়েছে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 5 months ago 

গ্রামে যে ধানে কাটা শুরু হয়েছে এটা আমি কিছু দিন আগে কালিয়াকৈরে আর গাজীপুর এর দিকে গিয়ে দেখেছিলাম। কোথাও কৃষকরা ধান কাটছে আবার কোথাও কাটা হয়ে গেছে আবার কোথাও ধান শুকাচ্ছে।
আপনার দাদা এখনো সুস্থ শরীরে ধানের কাজ করতেছেন দেখে ভালো লাগলো। তিনি সুস্থ থাকুন এই দোয়া করি।
আগেতো ধান হাত দিয়েই কাটা হতো কিন্তু এখন মেশিন এর ব্যাবহার করার কারনে কম সময়ে ও কম পরিশ্রমে অনেক ধান কাটা সম্ভব হয় যদিও এখনও অনেক জায়গাতে ধান হাতে কাটা হয় কিন্তু তার পরিমান কমে এসেছে।
ধানের কাজ শেষ করে আপনি ল্যাবে চলে যান। সেখানে ডাকৃতার দুইবেলা থাকেন। যদিও ছুটির দিন ছিল তারপরও আপনার ডিউটি ছিলো। ল্যাবের কাজ শেষ করতে করতে রাত ১১ টা বেজে যায়। আপনার তোলা চাদের ছবিটা অনেক সুন্দর হয়েছে।
আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।

 5 months ago 

হ্যাঁ! আপনি একদম ঠিক বলেছেন অনেক জায়গায় ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। আবার কিছু জায়গায় এখনো ধান কাটার কাজ চলছে।
আলহামদুলিল্লাহ আমার দাদা এখনো বেঁচে আছে এবং সুস্থ আছে।
বর্তমানে এই ধান কাটার মেশিন বের হওয়ার পর কৃষকদের কষ্ট অনেকটাই কমে গেছে।
শুক্রবার ছুটির দিন তবুও আমার ডিউটি করতে হয়। রাত ১১ টা পর্যন্ত কাজ করেই বাড়ি চলে গিয়েছিলাম।

আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।

 5 months ago 

বর্তমানে সব জায়গাতে ধান কাটার কাজ শুরু হলেও কিছু কিছু জায়গায় শেষের দিকে আমাদের এখানে ধান কাটা পুরোপুরি শেষ বললেই চলে,
তবে আপনাদের ওখানে এখনও রয়েছে দেখে ভালো লাগলো দাদুর সাথে আপনিও কাজের সঙ্গ দিয়েছেন।
অবশ্য এমন কাজ করা উচিত পরিবারের কাজে যদি আমরা সাহায্য না করি তাহলে বাবা-মা এবং পরিবারের অন্য সদস্য গুলো অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যায়।
প্রতিদিনের মতো আজও ল্যাবে এসেছিলেন দুপুরের খাবার
খেয়েছেন, তবে বিকালের আগে আবার ক্ষুধা লেগেছে এমনটা আমারও হয় মাঝে মাঝে।।।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।।

 5 months ago 

সর্বপ্রথম কথা হলো আমরা গ্রামে বসবাস করি।ছোটবেলা থেকেই আমার যে কোন কাজ করার অভ্যাস হয়েছে। যদিও আমি চাকরি করি কিন্তু বাড়ির সব রকমের কাজ করে থাকি।
বর্তমানে আমাদের বাসায় অনেক ধানের কাজ হচ্ছে। তাই আমিও অবসর সময় পেলেই কাজ করি।
প্রতিদিন বিকেল বেলা ক্ষুধা লাগে এটা আমার রুটিন হয়ে গেছে।

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর অভিমত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 5 months ago 

শুক্রবার মানে সবার ছুটি কিন্তু যারা ল্যাব কিংবা হসপিটালে চাকরি করে। তাদের কাজের পরিমাণটা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। যেমনটা আজকে আপনার ক্ষেত্রে হয়েছে। আসলে ধান নেয়া হয়ে গেলেও খড় শুকানোর জন্য অনেকটা সময় লাগে। আর বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে। ধান নেয়ার জন্য এখন আগের মত মেশিন ব্যবহার করা হয় না। বর্তমান সময়ে এমন এক মেশিন বের হয়েছে। যেটা দুই দিনের কাজ ২ ঘন্টায় সম্পন্ন করতে সক্ষম। অসংখ্য ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 5 months ago (edited)

সর্বপ্রথম কথা হলো আমি যে পেশার সঙ্গে যুক্ত আছি। এই পেশায় ছুটি বলতে কিছুই নেই। মানুষের সেবার কাজে আমাদেরকে দিনরাত সবসময় কাজ করতে হয়। অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবারের দিনে আমার একটু বেশি কাজ করতে হয়।
বর্তমানে সবকিছু আধুনিক হওয়ার কারণে ধান কাটার মেশিন দিয়ে দুই দিনের কাজ দুই ঘন্টায় সম্পন্ন করা যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।

 5 months ago 

আপনারা আছেন বলেই হয়তোবা দেশের মানুষ সুচিকিৎসা নিয়ে, এই পৃথিবীতে এখনো ভালোভাবে বেঁচে আছে। আসলে আপনার এই পেশা আমাদের দেশের মানুষের জন্য এবং মানুষের সেবা করার জন্যই হয়তো বা নিয়েছেন ।এখানে কোন ছুটি নেই কিন্তু তারপরেও নিজের পরিবারের কোনো সমস্যা হলে। তার জন্য তো ছুটি নিতে হয়। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তাই এখন অনেক কষ্টের কাজ অনেক সহজ ভাবে করা সম্ভব হয়েছে। ভালো থাকবেন।