Better Life With Steem | | The Diary Game | | 24 June, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এখনো সুস্থ রেখেছেন এজন্য সবাই শুকরিয়া আদায় করব। আলহামদুলিল্লাহ। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গতদিনের কার্যক্রম নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের থেকে গতকালকে একটু আগেই ঘুম ভেঙে গেছিল। ঘুম ভেঙে যাওয়ার অবশ্য একটা কারণ রয়েছে। বর্তমানে গরমের যে তাপমাত্রা যা বলার মত নয়। আর গরমের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে, বিদ্যুতের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। বিদ্যুতের জ্বালায় সারারাত ঠিকভাবে ঘুমাতে পারি না। সকালবেলা যে, একটু ঘুমাবো সেই সুযোগও নাই।
সকালবেলা বিদ্যুৎ ছিল না, এজন্য তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম আকাশটা মেঘলা হয়ে আছে। পরে বাইরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করেছি। এদিকে মা সকালবেলা রান্নাবান্নার কাজে বেশ ব্যস্ত ছিল।
ঈদের দুই দিন পরে আমার নানা হঠাৎ অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে গেছিল। মা, নানাকে দেখতে যাবে এজন্য অনেক কিছু রান্না করেছিল। পরে আমি তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। মা নানার জন্য সেমাই রান্না করেছিল, সেখান থেকে আমি একটু সেমাই খেয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ নাস্তা খাওয়া শেষ করেই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। প্রচন্ড গরমের কারণে আমি হাইওয়ে রোড দিয়ে যাতায়াত করি না। গ্রামের রাস্তা দিয়ে যেতেই আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি।
ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছিলাম। কিছুক্ষণ পরে কয়েকজন রোগী এসেছিল টেস্ট করানোর জন্য। পরে সবগুলো টেস্ট ভালো ভাবে সম্পূর্ণ করে রিপোর্ট দিয়েছি। এর মাঝে হঠাৎ করে একজন রোগী এসেছে স্যালাইন দেওয়ার জন্য। বর্তমানে গরমের কারণে অনেক মানুষই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই অনেক রোগী স্যালাইন দেওয়ার জন্য আসে।
আমি এর আগেও বলেছি, আমাদের প্রতিষ্ঠানের সব রোগীকে স্যালাইন বা ইনজেকশন আমি দিয়ে থাকি। গতকালকেও আমি রোগীকে স্যালাইন লাগিয়ে দিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়, ল্যাবের কাজের পাশাপাশি এসব হাতের কাজ ও জেনে রাখা ভালো।
স্যালাইন লাগানোর পরে ল্যাবে কোন কাজ ছিল না। এজন্য বাকি সময় ফার্মেসিতেই ছিলাম। ল্যাবে কাজ না থাকলেও ফার্মেসিতে সব সময় লোকজন ঔষধ নেওয়ার জন্য আসে। যাইহোক, মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত ফার্মেসিতে ছিলাম।
দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে গেলে খেয়ে নিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ গতকালকের খাবারটা আমার অনেক পছন্দের ছিল। যদিও আমি মাছ খাই না, কিন্তু শিং মাছ আমার অনেক পছন্দের। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই শুয়ে রেস্ট করেছি।
বিকেলের দিকে হঠাৎ করে দেখলাম, খালা সবার জন্য জামা মাখা বানিয়েছে। সত্যিই জামা মাখা খেতে একদম অন্যরকম স্বাদ হয়েছিল। জাম মাখা খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ঔষধ কোম্পানি লোক এসেছিল।
পরে তাদের কাছ থেকে ঔষধ ভালোভাবে বুঝে নিয়ে বিল পরিশোধ করেছি। গতকালকে কোন ডাক্তার ছিল না, এজন্য সন্ধ্যার দিকেও ল্যাবে কোন কাজ হয়নি। তাই আমিও দেরি না করে, তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ ল্যাব বন্ধ করে সুস্থ ভাবে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসায় যাওয়ার পথে আমাদের স্কুলের মাঠে বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়েছি। মোটামুটি রাত ৯ টা পর্যন্ত সবার সাথে ছিলাম।
হোটেলে গিয়ে সব বন্ধু মিলে একসাথে চা খেয়েছি। সবারই কম-বেশি ঈদের ছুটি শেষ। দুই-একদিনের মধ্যে সবাই চলে যাবে। তবে যে কয়েকদিন সবাই আছে, এভাবে আমাদের আড্ডা চলবেই। পরে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে গিয়েছি।
আসলে প্রচণ্ড গরমে মানুষের শরীর অনেক খারাপ হয়ে যাচ্ছে এর কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের হাসপাতালে যেতে হচ্ছে এবং তাদেরকে স্যালাইন দিতে হচ্ছে। যাইহোক প্রচন্ড রোগের চাপে হয়তো আপনাদেরও অনেক চাপ বেড়ে যাচ্ছে। আজকে আপনি আপনার সারাদিনের যে বিষয়টা শেয়ার করেছেন সেটা আসলে অসাধারণ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
আসলে প্রচন্ড গরমের কারণে অনেকেরই শরীর দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে শরীর ঘেমে যাওয়ার কারণে শরীরের লবণের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বর্তমানে কমবেশি প্রতিদিনই আমাদের প্রতিষ্ঠানের রোগী স্যালাইন দেওয়ার জন্য আসে। আর সবাইকে আমি স্যালাইন বা ইনজেকশন দিয়ে থাকি।
আসলেই গরমে কাজ করাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
বর্তমানে বিদ্যুতের কি যে জ্বালা যে জ্বালা কিছু দিয়ে নিভানো সম্ভব নয়। 🤣 আপনার নানা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।তার জন্য রইল অনেক অনেক দোয়া খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক।
আপনার নানা এখনো বেঁচে আছে শুনে ভালো লাগলো আর আমার নানা সৌভাগ্য আমার হয়নি।
জাম ভর্তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো আর এই জাম ভর্তা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি।আর এটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছিলো।
বর্তমানে গরমের যে তাপমাত্রা যা বলার মত নয়। যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন বিদ্যুতের সমস্যা বাড়তেছে। হ্যাঁ আপু! আলহামদুলিল্লাহ আমার নানা-নানি এখনো সবাই বেঁচে আছে। ঈদের দুইদিন পরে নানা হঠাৎ করে অসুস্থ বেশি হয়েছিল। আমার নানার জন্য দোয়া করবেন।
আসলেই সেদিনের জামাটা খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি আধ্যাত্মিক পরিমাণ গরম পড়ে আর এই গরমে বিদ্যুতের একটা সমস্যা লেগেই আছে যেটা একদম অসহ্য লাগে।। জেনে খারাপ লাগলো আপনার নানা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়েছে আর এজন্য আপনার আম্মু গেছে।। দোয়া রইল আপনার নানার জন্য সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে সুস্থ করে।
বর্তমানে ভাই গরমের যে তাপমাত্রা যা বলার মত নয়। আর গরমের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে যেন বিদ্যুতের সমস্যা আরো বাড়তে থাকে। এটাই হলো বাংলাদেশের একমাত্র বড় সমস্যা।
আমার নানার সব সময় প্রেসার অনেক বেশি থাকে। সেদিন হঠাৎ করে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল।
দোয়া করবেন আমার নানা যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় সব জাগায় একই অবস্থা গরমের কারণে বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে চলে যায় আর এটা সবচাইতে বড় বিরক্ত কর।। প্রেসার রোগীদের অনেক সমস্যা হয় হঠাৎ করেই প্রেসার বেড়ে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।।।
বিদ্যুৎ এর ঝামেলার কথা আর বলবেন না। আর বিশেষ করে সকালে বিদুৎ না থাকলে সত্যিই খারাপ লাগে, ঘুমের বারো টা বেজে যায়। গরমের সময় গ্রামের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করে খুব ভালো করেছেন কারন গাছের ছায়া দিয়ে গেলে রোদের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তাই গরমও কম লাগে। লবন দিয়ে জাম মাখা কার না ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ ভাই বর্তমানে চারদিকে বিদ্যুতের যে সমস্যা হয়েছে তা বলার মত নয়। রাতের থেকে সকালবেলা বিদ্যুৎ না থাকলে বেশি মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে অনেক বেশি রোদ উঠলে আমি হাইওয়ে রোড দিয়ে যাতায়াত না করে গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি।
আসলেই ভাই জাম মাখা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ।
যেহেতু আপনার নানা অসুস্থ তাই আপনার মা তাকে দেখতে যাবে। তাই আপনাদের জন্য বেশ কিছু রান্না করে দিয়ে গেছে। একদমই ঠিক বলেছেন ল্যাবের কাজের পাশাপাশি এই কাজগুলো অবশ্যই শিখে রাখা ভালো। কারণ জীবনের কোন মুহূর্ত কোন দিকে ঘুরে সেটা আমরা কেউই বলতে পারি না। সব কাজ যদি শেখা থাকে। তাহলে জীবনে অন্ততপক্ষে কিছু করে খাওয়ার পথ অবলম্বন করা যায়।
আপনার জাম বানানো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আমাদের এখানে এখনো পাওয়া যায় না। যদি পাওয়া যায় অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করব। অতিরিক্ত ঝাল দিয়ে খেতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। বন্ধুর সাথে আবার সময় কাটিয়েছেন চা খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ আপু! ঈদের দুদিন পরে আমার নানা অনেক বেশি অসুস্থ হয়েছিল। এজন্য মা নানা'কে দেখতে যাওয়ার জন্য অনেক কিছু রান্না করেছিল। আমারও ঠিক তাই মনে হয়, ল্যাবের কাজের পাশাপাশি এভাবে হাতের কাজগুলো শিখে রাখা ভালো। কারণ কোন মুহূর্তে কি হবে আমরা কেউ তা জানিনা।
আসলে আপু সেদিনের জাম মাখাটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।
আমার পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।