Better Life With Steem | | The Diary Game | | 23 April, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো গতকালকেও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করেছি। বিগত পোস্টে বলেছি আমি কিছু ঝামেলার মাঝে দিন পার করতেছি। গত কালকের দিনটি এতটাই খারাপ কাটবে কখনো আশা করিনি। যাই হোক তবুও আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা রেখেছি সব একদিন ঠিক হয়ে যাবে। মানসিক টেনশনের উপর আর কোন বড় টেনশন হতেই পারে না।
মানসিক টেনশন একটা মানুষকে নিঃস্ব করে ফেলে।কিন্তু এই খারাপ সময় থেকেই জীবনে একদিন সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিয়েছি। সকালের নাস্তা না খেয়ে বের হয়েছিলাম। এমনকি দুপুরের খাবার ও সাথে নেই নি। বাসা থেকে বের হয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ ভালোভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করার পর আমার সকালের যে, দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরে নিয়েছিলাম। গতকালকে সকালবেলা তেমন কাজ ছিল না এজন্য অবসর সময় আগামী দিনের জন্য পোস্ট সাজিয়েছি। গতকালকে এত পরিমান রোদের তাপমাত্রা ছিল যা বলার মত নয়।
আর হঠাৎ এরকম রোদের কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। ল্যাবে কোন কাজ ছিল না বিধায় দুপুর পর্যন্ত ফার্মেসিতে ছিলাম। সকালবেলা ফার্মেসিতে বেশ ভালই ভিড় ছিল। রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ট্রিটমেন্ট নেওয়ার জন্য আসে। এত রোদের তাপমাত্রায় মানুষের শরীর একদম নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে।
মোটামুটি দুপুর হয়ে গেলে আমাদের ল্যাবের সামনের বাজার গিয়ে নাস্তা খেয়েছিলাম। আগেই বলেছি আমি বাসা থেকে কোন খাবার নিয়ে আসেনি এ জন্য বাইরে নাস্তা খেয়েছি। নাস্তা খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি।
গতকালকেও বিকেলবেলা ডাক্তার আসার কথা ছিল। কিন্তু এরকম রোদের তাপমাত্রার কারণে তিনি এত দূর থেকে আসতে পারেননি। তাই যেসব রোগীর সিরিয়াল ছিল তাদেরকে ফোন দিয়ে আসতে মানা করা হয়েছিল।
পরে বিকেল হয়ে গেলে গরমে একদম শেষ হয়ে গেছিলাম। তাই ঠান্ডা পানিতে স্যালাইন গুলিয়ে খেয়েছি। এই গরমে আমাদের প্রত্যেককে স্যালাইন পানি খাওয়া উচিত। কারণ গরমের পরিমাণ এতই বেড়ে গেছে আমাদের শরীর ঘেমে লবণের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই সময় মতো স্যালাইন পানি খাওয়া উচিত।
গতকালকে আমি রাতে বাসায় যাইনি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে থাকার জন্য নিয়ত করেছিলাম। কিন্তু আমি যেখানে থাকি, সামনের বাজারে খাওয়ার মত তেমন কোনো কিছু ছিলনা। আর আমার সাথে তেমন কোন টাকাও ছিল না এজন্য বাজারে গিয়ে বিকাশ থেকে টাকা তুলেছিলাম।
টাকা তুলে পার্বতীপুর বাস টার্মিনালে গিয়ে হোটেলে থেকে ভাত খেয়ে এসেছি। পরে আবারো ল্যাবে এসে সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছি। পরে মোটামুটি রাত হয়ে গেলে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
আপনার সাথে একদম একমত, ঠিকই বলেছেন মানসিক টেনশন একটা মানুষকে ভিতর থেকে শেষ করে দিতে পারে। আমি মনে করি, শারীরিক অসুস্থতার থেকে মানসিক অসুস্থতা একজনকে শেষ করে দিতে পারে।
জি ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন। মানসিক টেনশন খুব খারাপ একটি জিনিস।
আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আমিও কিছুটা মানসিক চাপে আছি তাই আমার জন্যও দুয়া করবেন। আপনার দিনলিপিটি পড়ে ভালো লাগলো। যেহেতু গরমের প্রভাব অত্যাধিক তাই আপনাদের ওখানে রোগীর চাপ একটু বেশি ছিলো। এখন সবাইকে সাবধান থাকা বেশ জরুরি বলে আমি মনে করি। আমিও দুদিন আগে গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পরেছিলাম।
যাইহোক ভাই ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইলো।
হঠাৎ এরকম আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমাদের সবাইকে অবশ্যই নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।