Better Life With Steem | | The Diary Game | | 19 May, 2024

in Incredible India5 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:

The Diary Game_ _ 13 May,2024_20240520_162726_0000.png

Edit by canva

আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি, তিনি আমাকে আরো একদিন সকালের সূর্য দেখার তৌফিক দান করেছেন। প্রতিদিনের মতোই খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাবাকে ইনজেকশন দিয়েছি। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে পরিবারের সবাই অনেক টেনশনে রয়েছি।

আমার বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। ইনজেকশন দিয়ে আবারো ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি ল্যাবে যাওয়ার সময় হয়েছে। গতকালকে আমাদের বাসায় ধান কাটার জন্য লোক নিয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপের জন্য আর ধান কাটা হয়নি।

IMG_20240519_084823.jpg

যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করেছি। এদিকে মা সাকলের নাস্তা খাওয়ার জন্য নাস্তা বানিয়েছে। রাতেই মা'কে বলে রেখেছিলাম ছোলা রান্না করার জন্য। ছোলা দিয়ে মুড়ি খেতে আমার খুব ভালো লাগে।

আলহামদুলিল্লাহ সকালের নাস্তা খেয়েই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি। গতকালকে সকালবেলা কাজের কোন চাপ ছিল না। কিন্তু একটু পরে একজন ইনজেকশন দেওয়ার জন্য এসেছিল। Oxyfer (IV) Injection ছিল।

IMG_20240519_113950.jpg

সচারাচর আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমি সবাইকে ইনজেকশন বা স্যালাইন দিয়ে থাকি। গতকালকেও আমি নিজেই ইনজেকশন দিয়েছিলাম। আমার কাছে মনে হয়, ল্যাবের কাজের পাশাপাশি হাতের কাজগুলোও শিখে রাখা ভালো। ইনজেকশন দেওয়ার পর আর তেমন কোন কাজ ছিল না। এজন্য অবসর সময়ে আগামী দিনের জন্য পোস্ট সাজিয়েছি।

IMG_20240519_135533.jpg

দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে গেলে ভাত খেয়েছিলাম। গতকালকের আবহাওয়া একটু ঠান্ডা ছিল। এজন্য বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। এর মাঝে একজন রোগী এসেছিল ফার্মেসিতে ওষুধ দেওয়ার জন্য। বিকেলের দিকে প্রতিষ্ঠানে তেমন কেউ থাকে না, আমি একাই থাকি। এজন্য আমি নিজেই ফার্মেসিতে ওষুধ দিয়েছিলাম।

পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত তেমন কোন কাজ ছিল না, বাইরে হাটাহাটি করেছি। সামনের বাজারে গিয়ে চা- নাস্তা খেয়েছিলাম। গ্রামের বাজার গুলোতে সব সময় টাটকা সবজি এবং ফলমূল কিনতে পাওয়া যায়। পর এক জায়গায় দেখতে পেলাম, বেশ বড় বড় কলা উঠেছে। পরে বাড়ির জন্য এক ঝুকি কলা কিনেছিলাম।

IMG_20240519_202904.jpg

বিগত পোস্টে আমি সবাইকে অবগত করেছি, আমার বাবার টাইফয়েড ধরা পড়েছে। ডাক্তার সাত দিন এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিতে বলেছে। এর আগে ওষুধ কোম্পানি থেকে পাঁচদিনের ইনজেকশন নিয়েছিলাম। ইনজেকশন শেষের দিকে এজন্য আবারও কোম্পানিতে অর্ডার দিয়েছি। মোটামুটি রাত ৭:০০টার দিকে কোম্পানির লোক ইনজেকশন দিয়ে গেছে।

IMG_20240519_195823.jpg

পরে ল্যাব বন্ধ করে দিয়ে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। গতকালকে বাসায় যাওয়ার সময় আবহাওয়া অনেক খারাপ ছিল। বাসায় পৌঁছে সাথে সাথে বৃষ্টি এসেছিল। আলহামদুলিল্লাহ ভালোভাবে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছি। আর একটু দেরি করলেই রাস্তায় ভিজে যেতাম। পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়েছিলাম।

ধন্যবাদ

Sort:  

আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনার বাবা যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমার আবার ছোলা দিয়ে মুড়ি খেতে সেরকম একটা ভালো লাগে না তবে আমার স্ত্রী খুব ভালোবাসে। ইঞ্জেকশন দেওয়া এবং নেওয়া দুটোই বড় শক্ত কাজ। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমার বাবাকে ইনজেকশন দিতে বলেছে। এজন্য সকাল এবং সন্ধ্যা দুই বেলা সময় করে ইনফেকশন দিতে হয়

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Loading...
 5 months ago 
  • পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে সবাই টেনশনে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। অসুস্থ মানুষটি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সকলের খাওয়া ঘুম বলতে গেলে উঠে যায়।

  • কাজ শিখে রাখলে তাতে দোষের কিছু নেই বরং কারো প্রয়োজনে পাশে দাড়াতে পারবেন। বাজার থেকে চা খেলেন এবং বাড়ির জন্য ফল কিনলেন।

  • ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 5 months ago 

জি ভাই একদম সঠিক কথা বলেছেন, পরিবারে কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে সবারই মন-মানসিকতা খারাপ হয়ে যায়।
সেদিন মূলত বাবার জন্যই কলা কিনেছিল।

সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 5 months ago 

কেউ অসুস্থ থাকলে যে পরিবারের সবার কেমন অবস্থা হয় সেই অভিজ্ঞতা আমার আছে। কলা নিয়ে একদম ঠিক করেছেন এসময় আপনার বাবার বেশি বেশি ফলমূল খাওয়া উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য।

 5 months ago (edited)

আপনার বাবার টাইফয়েড হয়েছে এটা আপনার বিগত লেখাগুলোর মাধ্যমে জানা ছিলো আমার এবং এটাও জানি যে, তাকে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিতে হচ্ছে। আপনি ল্যাবেও নিয়মিত ইনজেকশন দেয়ার কাজটা করে থাকেন বলে বাবাকে দিতে সমস্যা হয় না।

আপনি ঘুম উঠে প্রতিদিন এর মতোই আপনার বাবাকে ইঞ্জেকশন দিয়েছেন। এরপর নাস্তা খেয়ে ল্যাবে চলে গিয়েছিলেন।
তেমন কাজ না থাকার কারনে বিকেলে বাজারে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে বাড়ির জন্য কলা নিয়েছেন।
আপনার বাবার ইনজেকশন এর ওষুধ কোম্পানিতে অর্ডার দিয়েছিলেন, তারা এসে সন্ধ্যার দিকে ইনজেকশন দিয়ে গেছে।
এরপর ল্যাব বন্ধ করে বাসায় গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছেন।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়ই।

 5 months ago 

আমি বাসায় থাকার কারণে বাবাকে নিজেই ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছি। আমি না থাকলে অন্য কাউকে দিয়ে ইনজেকশন দেওয়াটা কষ্টকর হয়ে যেত।

আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 5 months ago 

প্রথমে দোয়া করি আপনার আব্বু যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে আর আমাদের সকলের উচিত ডাক্তারের পরামর্শে রোগীকে সুস্থ করে তোলা।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।

 5 months ago 

বিগত পোস্টে আমি সবাইকে অবগত করেছি আমার বাবার টাইফয়েড ধরা পড়েছে।
হ্যাঁ ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করা উচিত।
আমার আপু একজন ডাক্তার। আমার আপুর পাশাপাশি আরো একজন বড় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাবার চিকিৎসা করতেছি।
আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।

আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।