Better Life With Steem | | The Diary Game | | 17 February, 2025
আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাদের মাঝে গতকালকের কার্যক্রম শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ গতকালকে ঘুম থেকে উঠেছিলাম সকাল ৯ঃ০০ টা নাগাদ। ঘুম থেকে উঠে বাইরে খেয়াল করলাম হালকা কুয়াশা পড়েছে। চাঁদপুরে এখন তেমন একটা শীত নেই বললেই চলে। আমি গত পরশুদিন রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে আবারও চাঁদপুরে এসেছি।
গতকাল আমার ডিউটি ছিল দুপুর ১টার সময়। সকালবেলা রান্না করার মত তেমন কিছুই ছিল না। পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বাজারে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছি। আমাদের বাসা থেকে বাজার খুব একটা বেশি দূরে নয়।
আলহামদুলিল্লাহ বাজারে গিয়ে সর্বপ্রথম মুদি দোকানে গিয়েছি। রান্না করে খাওয়ার জন্য পুরো এক মাসের চাল, ডাল থেকে শুরু করে সবকিছু কিনেছিলাম। আমরা অবশ্য সবসময় ঐ দোকান থেকেই কেনাকাটা করি। এক কথায় সব সময় কেনাকাটা করার জন্য দোকানটা অনেক পরিচিত হয়ে গেছে।
মুদি দোকানে সব কেনাকাটা করে আবারও সবজির দোকানে গিয়েছি। সবজি তেমন একটা কিনি নাই, কারণ আমাদের বাসায় ফ্রিজ নেই। বেশি সবজি কিনলে বাসায় নষ্ট হয়ে যায়। যাইহোক, মোটামুটি সব বাজার শেষ করে মুরগি কিনেছিলাম।
আপনার হয়তো অনেকেই জানেন, আমি মাছ তেমন একটা খাই না। বলতে গেলে মাংস আমার অনেক পছন্দের খাবার। আলহামদুলিল্লাহ সব বাজার শেষ করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসায় এসে প্রতিদিনের মতোই রান্নাবান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলাম।
বাজার করে এসে রান্না করা, আবার দুপুর ১টার সময় ডিউটিতে যাওয়া অনেকটা চাপ হয়ে গেছিল। আলহামদুলিল্লাহ তারপরও সব কাজ ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি। পরে গোসল করে দুপুরের খাবার খেয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ তিন দিন পর আবারো নিজ কর্মস্থলে গিয়েছি। গ্রামের বাড়ি থেকে আসার পর হঠাৎ কর্মস্থলে তেমন একটা ভালো লাগে না। সত্যি কথা বলতে, মনটা এখনো বাড়িতেই পড়ে আছে। অফিসে পৌঁছে সবার সাথে কথাবার্তা বলে নিজের কাজে ব্যস্ত ছিলাম।
বিশেষ করে সবাই জিজ্ঞেস করছিল, বাসায় আপুর এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম ঠিকঠাকভাবে হয়েছে কিনা। আলহামদুলিল্লাহ আপুর এনগেজমেন্ট প্রোগ্রাম ভালোভাবে সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলাম। গতকাল বিকেলবেলা কাজের তেমন একটা প্রেসার ছিল না। অনেকটা অবসর সময় কাটিয়েছি।
তারপরও মোটামুটি সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত একটানা কাজ করেছি। এরপর একটু কাজের জন্য চাঁদপুর কালীবাড়ি মোড়ে গিয়েছিলাম। বাইরে গিয়েছিলাম মূলত অফিসের কলিগদের মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য। পরে মিষ্টি নিয়ে এসে অফিসার সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ পড়ে মোটামুটি ১০টা পর্যন্ত কাজ শেষ করে ল্যাব বন্ধ করেছি। বাড়ি থেকে আসার পর কালকে কাজে একদম মন বসে নি। এটা অবশ্য স্বাভাবিক একটি বিষয়। দু'একদিন পর আবারও সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আলহামদুলিল্লাহ ল্যাব বন্ধ করে সবাই মিলে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
এটা ঠিক বলেছেন। বাড়ী থেকে আসার পর কাজ বা পড়াশুনা কোন টাতেই ঠিক ঠাক মন বসতে চায় না। এটা আমার ক্ষেত্রেও হয়।
আপনে যে আবারও নিজ কর্মস্থলে ফিরেছেন জেনে ভালো লাগল। নিজের কাজগুলো বেশ গুছিয়ে করেন আপনে। সুন্দরভাবে সকল বিষয়গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছন।
ধন্যবাদ পোষ্টটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।