Better Life With Steem | | The Diary Game | | 16 May, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও খুব সকালে উঠেছি। যদিও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না, কিন্তু কিছুই করার নেই। কারণ সকালবেলা বাবাকে এখন সময়মতো ইনজেকশন দিতে হয়। আর এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন সময়মতো দেওয়া উচিত।
তাই এই ৭দিন সকালবেলা আমাকে ঘুম থেকে কষ্ট করে উঠতেই হবে। ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম বাবা কে ইনজেকশন দিয়েছিলাম। পরে বাবা কাজের জন্য বাইরে বের হয়ে গেলে, আমি বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছি। সকালবেলায় রোদের তাপমাত্রা দেখে মনের ভেতর ভয় লাগে।
কিন্তু একদিক দিয়ে সুবিধা হয়েছে কারণ বর্তমানে আমাদের গ্রাম এলাকায় ধান শুকানোর কাজ চলতেছে। যদি আবহাওয়া খারাপ থাকে বা বৃষ্টি আসে তাহলে সবাই ধান নিয়ে অনেক বিপদে পড়ে যাবে।
যাইহোক, বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর ফ্রেশ হয়ে নিয়েছিলাম। পরে সকালের নাস্তা খেয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। গতকালকে ল্যাবে যাওয়ার সময় অনেক বড় একটি সড়ক দুর্ঘটনা দেখেছি। সেখানে দাঁড়িয়ে শুনতে পেলাম এক্সিডেন্ট ভোর বেলায় হয়েছে।
সত্যিই রাস্তায় এরকম দুর্ঘটনা দেখলে একদম শরীর শিউরে উঠে। ট্রাকটিতে অনেকগুলো ধানের বস্তা ছিল। সবগুলো নিচে খাদে পড়ে গিয়েছে। পরে সেখান থেকে আবারো ল্যাবে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থভাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ আগে সেগুলো সেরেছি।
গতকালকেও সকালবেলা কোন ডাক্তার ছিল না, এজন্য অবসর সময়ে আগামী দিনের জন্য পোস্ট সাজিয়েছি। বাকি সময় দুপুর পর্যন্ত ফার্মেসিতেই ছিলাম। তবে গতকালকে ফার্মাসিতেও লোকজন খুব কম ছিল। বর্তমানে এরকম হওয়ার কারণ হলো, গ্রামের সবাই কাজকর্ম নিয়ে অনেক ব্যস্ত।
দুপুরের খাবার সময় হলে খেয়ে নিয়েছিলাম। পরে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। কিন্তু মনে হয় শুয়ে থেকেও যেন শান্তি নেই, গরমের তাপমাত্রা একদম অত্যাধিক পরিমাণ ছিল। এই গরমে যারা রোদের মধ্যে কাজ করতেছে তারাই জানে কি অবস্থা। মোটামুটি সন্ধ্যা পর্যন্ত অবসর সময় কাটিয়েছি।
এর মাঝে বাইরে হাঁটাহাঁটি করার সময় প্রতিষ্ঠানের পিছনের ধান ক্ষেতের ছবি তুলেছিলাম। সবগুলো ধান একবারে মনে হয় পেকে গেছে। সত্যিই এরকম দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে খালা আমাকে চা খেতে দিয়েছিল। চা খাওয়া আমার এক প্রকার নেশা। যদিও চা খাওয়ার জন্য মা অনেক রাগ করে কিন্তু চা না খেয়ে থাকতে পারিনা।
আমাদের প্রতিষ্ঠানের মালিক ইন্ডিয়া গেছিলো কিছু কাজের জন্য। গতকালকে দুপুরের দিকে ইন্ডিয়া থেকে আবারো এসেছে। আমাদের সবার জন্য একটি করে সাবান এবং কিছু চকলেট নিয়ে এসেছে। পরে সেগুলো আমাদেরকে সবাইকে দিয়েছে।
যাক, আমাদের জন্য একটা ছোট্ট জিনিস হলেও নিয়ে এসেছে খুব ভালো লেগেছিল। পরে আর বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করিয়ে দিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি। বাসায় পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে ছিলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না তারপর সকালে উঠে বাবাকে ইনজেকশন দিয়েছিলেন এবং বিগত কয়েকদিন এভাবে দিতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা এখন আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। কখন যে কার সাথে কি ঘটে যায় সেটা বলাই যায় না। সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত আমাদের সকলের। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাই! যদিও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু এই কয়েকদিন একটু কষ্ট করে বাবাকে ইঞ্জেকশন দিতে হবে এজন্য ঘুম থেকে উঠতেই হবে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন, বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার বাবার টাইফয়েড ধরা পড়েছে সেটা আগের পোস্টগুলো থেকে জানতে পেরেছিলাম। যার কারণে তাকে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিতে হয়। আর ইনজেকশন দেওয়ার জন্য আপনাকেও সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে হয়। এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন টাইমলি দিতে হয়। না দিলে সমস্যা হতে পারে।
রাস্তাঘাট অনেক সময় এক্সিডেন্ট চোখে পড়ে। আর এসব দেখলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। আপনারা এমনটাই হয়েছে।
আমি কয়েকদিন আগে গাজপুর গিয়েছিলাম তখন দেখেছি যে কৃষকদের ধান কাটা লেগে গেছে। বেশ কিছু ছবি তুলে এনেছি। আসলেই এই সময়টা ক্ষেতের দিকে তাকালে খুব সুন্দর লাগে।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পরে।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন সময় মত দিতে হয়।
পরিবারে একজন সদস্য অসুস্থ হয়ে গেলে সবাই অনেক টেনশনে পড়ে যায়। আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রাস্তায় বের হলে এরকম অনেক দুর্ঘটনায় দেখা যায় যেখানে মানুষের প্রাণ হারিয়ে যায়।। আ হ্যাঁ দেখে ভালো লাগলো আপনাদের মালিক ইন্ডিয়া গিয়েছিল আর সেখান থেকে আপনাদের জন্য কিছু পণ্য নিয়ে এসেছে।।
ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে আর হ্যাঁ অবশ্যই সতর্ক হয়ে ল্যাবে যাবেন।।
সত্যি ভাই! রাস্তায় এরকম সড়ক দুর্ঘটনা দেখলে একদম গা শিউরে ওঠে।
মালিক ইন্ডিয়া থেকে আমাদের জন্য কিছু নিয়ে এসেছিল। যাক, আমাদের জন্য একটা ছোট জিনিস হলেও নিয়ে এসেছে খুব ভালো লেগেছিল।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধানগুলো বস্তার ভিতর ছিল বলে অনেকটাই ক্ষতি কম হয়েছে। তবে যে ধানের গাড়িটা উল্টে গেছে গাড়িটা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত সেই সাথে অনেক ধানও বস্তার মুখ ছেড়ে বের হতে পারে।
আসলে গ্রামে ছিল রাস্তায় গুলো মেরা মতের দরকার আছে তাহলে এমন ব্যাপার থেকে কোনদিনও মুক্ত পাওয়ার সম্ভাবনা নাই।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিন লিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।
বর্তমানে সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। এখন রাস্তাঘাটে এরকম হাজারো সড়ক দুর্ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এই দুর্ঘটনার পিছনে আমরা নিজেরাই দায়ী। কারণ আমরা যদি সচেতন ভাবে গাড়ি চালাই এবং ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে গাড়ি চলাচল করি। তাহলে অবশ্যই দুর্ঘটনার হার কমে যাবে।
বাংলাদেশের রাস্তা এর থেকে উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা বর্তমানে খুবই কম।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।