Better Life With Steem | | The Diary Game | | 15 May, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
প্রতিদিনের থেকে গতকালকে একটু সকালেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। যদিও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু গরমের জ্বালায় আর বিছানায় থাকা হয় না। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠেই বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছি। আমাদের গরুর বাচ্চার সাথে কিছুক্ষণ মজা করেছিলাম। যেকোনো প্রাণীর ছোট বাচ্চার সাথে খেলতে খুব ভালোই লাগে।
এদিকে মা ঘুম থেকে উঠে সকালের কাজকর্ম করেছিল। প্রতিদিন সকালবেলা নাস্তা খেতে খেতে একদম অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এজন্য গতকালকে মা'কে পরোটা বানিয়ে দিতে বলেছিলাম। পরে আমি আর বেশি দেরি না করে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। এদিকে ল্যাবে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছিল।এজন্য মা তাড়াহুড়ো করেই পরোটা বানিয়ে দিয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ বাড়ি থেকে সুস্থ ভাবে বের হয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি। গতকালকেও সকালবেলা ডাক্তার না থাকায়, কাজের কোন প্রেসার ছিল না।
এজন্য অবসর সময়ে আগামী দিনের জন্য পোস্ট সাজিয়েছি এবং বন্ধুদের পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম। গতকালকে বাড়ি থেকে আসার সময় বাবা'র ব্লাড কালেকশন করে ল্যাবে এনেছিলাম। আমি বিগত পোস্টে বলেছিলাম বাবা'র অনেক দিন আগে থেকে জ্বর।
পরে ব্লাড টেস্ট করে টাইফয়েড ধরা পড়েছিল। পরে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়ার পর অনেকটা সুস্থ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আবারো কয়েকদিন থেকে ভিতরে ভিতরে জ্বর যাচ্ছে। এজন্য গতকালকে আবারও ব্লাড টেস্ট করেছি। দুঃখের বিষয় গতকালকে আবারও টাইফয়েড ধরা পড়েছে।
পরে আমার আপুর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আপু বলেছিল ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে এখন ইনজেকশন দিতে হবে। গতকালকে কোন ডাক্তার ছিল না, এজন্য স্যারকে ফোন দিয়েই সব কিছু বলেছিলাম।
পরে স্যার আমাকে ইনজেকশন দিতে বলে। বাইরের ফার্মেসি থেকে ইনজেকশন কিনলে দাম বেশি পড়বে। এজন্য আমি সরাসরি ওষুধ কোম্পানি থেকে ইনজেকশন অর্ডার দিয়েছি। এসব কাজ শেষ করতেই মোটামুটি দুপুর হয়ে গিয়েছিল।
দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে গেলে খেয়ে নিয়েছিলাম। পরে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। কিন্তু গরমের জ্বালায় কোন কিছুই ভালো লাগেনা। পরে বিকেলে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম। বর্তমানে মনে হয়, বদ্ধ রুমের থেকে বাইরেই একটু আবহাওয়া ঠান্ডা। যাইহোক, পরে ফার্মেসীর ভাইসহ সামনের বাজারে গিয়ে ভাজাপোড়া খেয়েছিলাম।
মোটামুটি সন্ধ্যা হয়ে গেলে, ইনসেপ্টা ওষুধ কোম্পানির লোক আমার ইনজেকশন গুলো নিয়ে এসেছিল। পরে তাদের কাছ থেকে ইনজেকশন গুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে নিয়েছি। তখন মোটামুটি রাত ৮:০০ টা বেজে গিয়েছিল। তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
বাসায় পৌঁছে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। গতকালকে আমাদের কমিউনিটির হ্যাংআউট ছিল। এদিকে আবার বাবা'র ইনজেকশন দেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। তাই হ্যাংআউটে জয়েন করে ইনজেকশন দেওয়ার কাথা বলে ১০ মিনিট সময় নিয়েছিলাম।
পরে বাবা'কে ভালোভাবে ইনজেকশন দিয়েছি। ইনজেকশন দিয়ে আবারো হ্যাংআউটে জয়েন করেছি। কিছুক্ষণ হ্যাংআউটে ছিলাম, এর মাঝে আমাদের বাড়ির পাশে হঠাৎ করে এক বাড়িতে আগুন লেগেছিল।
বর্তমানে রোদের যে তাপমাত্রা যা বলার মত নয়। কোন কিছুতে আগুন লাগলে খুব দ্রুতই চারদিকে ছড়িয়ে যায়। আগুন লেগেছিল মূলত খরের পোয়ালে,(বিঃদ্র:আমাদের গ্রামের ভাষায় পোয়াল বলে)। পরে আমাদের এডমিন ম্যামের কাছে বিষয়টা বলে গ্রুপ থেকে বের হয়েছিলাম।
পরে সেখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পৌঁছে সবাই মিলে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি। যদিও খরের পুরো পোয়াল পুড়ে গেছিল, কিন্তু তার পাশে আরও একটি বড় খড়ের পোয়াল ছিল। সেটাতে যেন আগুন না লাগে, এজন্য তাড়াতাড়ি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি।
তবে আগুন দেখে মনে হয়েছিল কেউ ইচ্ছে করে, শত্রুতা করেই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। যাইহোক, আলহামদুলিল্লাহ পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।
আসলেই এমন গরম পড়েছে যে বিছানায় শুয়ে থাকাটা খুবই কষ্টকর। গরুর বাচচাকিন্তু দেখতে খুব সুন্দর হয়। মনে আছে ছোট বেলায় আমিও বাছুরের সাথে খেলতাম।এদের বড় বড় চোখ গুলো এত মায়াবী হয়। দেখতাম সারাক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করতো।
আপনার বাবার টাইফয়েড হয়েছে শুনে খারাপ লাগলো। যতটা সম্ভব লিকুইড জাতীয় খাবার খাওয়াবেন। আমি দেখেছিলাম যে আপনি গত কালকে ইনজেকশনের কথা বলে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
গতকালকে হ্যাংআউট চলাকালীন সময় আপনি খরের গাদায় আগুন লাগার কথা বলে ফেললেন। মানুষ কতটা খারাপ হলে এরকম কাজ করতে পারে, কোথাও আগুন লাগাতে পারে। যাক শেষ পর্যন্ত যে আগুন আরো ছড়িয়ে পড়ে নাই এটাই শান্তনা।
ভালো এবং সুস্থ থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
লিকুইড জাতীয় খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কারণ টাইফয়েডের রোগীকে সব সময় লিকুইড খাবার খাওয়াতে হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট শুরু করেছি।
আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেন।
আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
কয়েকদিন খুব আরামে কাটানোর পরে আবারও গরমটা বেড়ে গেছে। ৪৮ ঘন্টার হিট এলার্ট জারি হয়েছে। জানিনা এই গরম আবার আমাদেরকে কোন অবস্থায় পৌঁছায়। এসব কিছুর মাঝে আপনার বাবার আবারও টাইফয়েড ধরা পড়েছে। ব্যাপারটি সত্যি খুবই দুঃখজনক।
টাইফয়েড এমন একটা রোগ যা কোনো না কোনো ক্ষতি করেই যায়। তবে কোম্পানি থেকে ঔষধ নিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন। এটা অনেকটা সাশ্রয়ী। খড়ের গাদায় কেউ শত্রুতা বশত আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এটি সত্যিই অনেক খারাপ একটি কাজ। যাক তারপরে ও আপনারা জলদি আগুন নেভাতে পেরেছেন।
একটা সময় গ্রামের মানুষকে সহজ-সরল বলা হতো আর বর্তমানে দেখি যত কুটিলতা ও শত্রুতা সব গ্রামেই বসবাস করে। সত্যি খুব দুঃখজনক একটি ব্যাপার।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।
বর্তমানে গরমের যে তাপমাত্রা যা বলার মত নয়।
এর আগে ও বাবার টাইফয়েড ধরা পড়েছিল কিন্তু ঔষধ খাওয়ার পর অনেকটা সুস্থ ছিল।
কিন্তু আবারো গত কয়েকদিন থেকে অনেক জ্বরের জন্য আবারো টেস্ট করেছি। দুঃখের বিষয় আবারো টাইফয়েড ধরা পড়েছে।
আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
আসলে গ্রামে এরকম হঠাৎ করে আগুন লাগা খুব খারাপ একটি বিষয়। আর যে এরকম কাজটা করেছে সে একদম নিম্ন মন মানসিকতার।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রাণীরা খুব সরল প্রকৃতির ওরা চায় শুধু ভালোবাসা। ওদের যেমন ভালোবাসবেন ওরাও আপনাকে তেমন ভালোবাসবে।
কাল হ্যাংআউটে থাকা কালীন সময়ে খড়ে আগুন লেগে গেছিলো সেটা তখনই শুনেছিলাম। ঠিকই বলেছেন অতিরিক্ত গরমের কারনে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সবাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিলো তবে তাতে কোনো লাভ হয় নি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ছোট প্রাণী গুলার সাথে খেলতে খুব ভালো লাগে। জ্বী ভাই! হ্যাংআউটে উপস্থিত থাকাকালীন এরকম হঠাৎ করেই পাশের বাড়িতে ঘরের গাদায় আগুন লেগেছিল।
বর্তমানে গরমের পরিমাণ অনেক বেশি এজন্য অল্প সময়ের মধ্যেই চারদিকে আগুন ছড়িয়ে গিয়েছিল।
সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অতিরিক্ত গরম থাকায় শুয়ে থেকেও শান্তি পাওয়া যায় না।। আর হ্যাঁ ছোট থাকতে যে কোন প্রাণী দেখতে অনেক ভালো লাগে।। আগুন আর পানি সব কিছু একদম ধ্বংস করে দেয়।।
কয়েকদিন আগে গরমের যে তাপমাত্রা ছিল যা বলার মত নয়। সকালবেলা যদিও একটু ঘুমোতে ইচ্ছে করে কিন্তু কারেন্টের জ্বালায় আর ঘুমানো হয় না।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।