Better Life With Steem | | The Diary Game | | 13 June, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাআলার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। তিনি আমাকে আর একদিন সকালের সূর্য দেখার তৌফিক দান করেছেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই বাইরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করেছি। কয়েকদিন থেকে মনটা অনেক খারাপ।
এদিকে মায়ের জ্বর কমছেই না। ডাক্তার দেখিয়ে ভালোভাবে ওষুধ খাওয়াচ্ছি। কিন্তু জ্বর কমে গেলে, কিছুক্ষণ পর আবার জ্বর আসতেছে। সেই সাথে মায়ের শরীর অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে বাড়ির এসব চিন্তায় বেশ টেনশন এর মধ্যে আছি।
আমরা সবাই জানি, সামনে আমাদের কুরবানীর ঈদ। যদিও আমার আপু আমার থেকে বড়। কিন্তু তারপরেও বাড়ির বড় ছেলে হিসেবে আমার কাঁধে অনেক দায়িত্ব রয়েছে। যাইহোক, তবুও আল্লাহতালার উপর ভরসা রেখে ধৈর্য ধরে আছি। আল্লাহ তায়ালা চাইলে একদিন সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি।সকালবেলা জ্বরের জন্য 'মা' বিছানা থেকে উঠতে পারেনি। কিন্তু আপনারা হয়তো বিগত পোস্টে পড়েছেন, আমি সকালে ডিউটিতে যাওয়ার সময় দুপুরের খাবার সাথে নিয়ে যাই।
কিন্তু মা অসুস্থতার জন্য রান্না করতে পারে নাই। মায়ের সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য বাইরে থেকে নাস্তা এনে দিয়েছি। পরে আমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছিলাম।
আমাদের প্রতিষ্ঠানের ডাক্তারদের লিস্টের কাগজ শেষ হয়ে গিয়েছে। পরে আমি কম্পিউটার থেকে আবারো প্রিন্ট করে বের করেছিলাম। সকালবেলা বাসায় নাস্তা করে আসিনি। এজন্য অনেক ক্ষুধা লেগেছিল। পরে সামনের বাজারে গিয়ে গরম গরম পুড়ি খেয়েছি।
আসলে মন খারাপ থাকলে কোন কাজই ভালো লাগেনা। সারাদিনই বলতে গেলে অবসর সময় কাটিয়েছি। এদিকে দুপুরের সময় মা আমাকে কল দিয়েছিল। আমি যেন বাসায় গিয়ে ভাত খেয়ে আসি। পরে ল্যাব থেকে কিছুক্ষণের জন্য ছুটি নিয়ে আবারো বাসায় গিয়েছি। বাসায় গিয়ে মা আমাকে ভাত খেতে দিয়েছিল।
আসলে প্রতিটি মায়েরা এরকম, সন্তানরা না খেয়ে থাকলে তারা কোনভাবেই সহ্য করতে পারে না। খাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ রেস্ট করার পর, আবারও ল্যাবে আসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। ল্যাবে আসার পর আবারো কিছুক্ষণ শুয়ে রেস্ট করেছি। এর মাঝে ফার্মেসিতে ঔষধ কোম্পানির লোক এসেছিল। ওষুধ ডেলিভারি দেওয়ার জন্য। পরে তাদের কাছ থেকে সব ওষুধ বুঝিয়ে নিয়েছি।
গতদিনে সন্ধ্যা পর্যন্ত ল্যাবে কোন কাজ হয়নি। যেহেতু সারাদিন কাজ হয়নি, ভেবেছিলাম সন্ধ্যার পরে আর কাজ হবে না। তাই, তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছি। আর হ্যাঁ! ঈদের ছুটিতে আমার সব বন্ধুবান্ধব বাইরে থেকে বাসায় এসেছে। আমাদের এলাকার স্কুল মাঠে সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
পরে ল্যাব থেকে বের হয়ে সোজা আমাদের স্কুল মাঠে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে সবার সাথে বেশ আড্ডা দিয়েছি। পরে বাজারে গিয়ে চা নাস্তা খেয়ে বাসায় চলে গিয়েছিলাম। বাসায় যাওয়ার পর মা এবং আমি একসাথে রাতের খাবার খেয়েছি। পরে মাকে ওষুধ খাইয়ে দিয়েছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।
আপনার মায়ের অসুস্থতার কারণে উনি সকালবেলা রান্না করতে পারেনি। কিন্তু আপনি ওনাকে বাহির থেকে নাস্তা দিয়ে গেছেন, বেশ ভালো কাজ করেছেন। আসলে দুপুরবেলা আপনি কি খাবেন সেই চিন্তায় আপনার মা হয়তো বা মগ্ন ছিল। কিন্তু আপনি বাসায় এসেছেন এবং মায়ের সাথে বসের দুপুরের খাবার খেয়েছেন। এটাই হয়তো বা আপনার মায়ের কাছে সবচাইতে বড় পাওয়া।
এইতো আর মাত্র ২ দিন বাকি এরপরেই আমাদের পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। আর এই সময়টাতে সবাই বাড়িতে আসবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে স্কুল মাঠে কিছুটা সময় পার করেছেন। আসলে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো অসাধারণ হয়ে থাকে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সন্তানরা না খেয়ে থাকলে প্রতিটি মা এরকম টেনশন করে। আমার মা অসুস্থ ছিল এজন্য সকালে নাস্তা বানাতে পারেনি। ফটো দুপুরে আমাকে ফোন দিয়ে বাসায় যেতে বলেছিল। তাই দুপুরে বাসায় গিয়ে ভাত খেয়েছিলাম।
আসলে ঈদ উপলক্ষে সব বন্ধু-বান্ধব বাড়িতে এসেছে। সবাই মিলে বেশ ভালোই আড্ডা দিয়েছি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের শরীর অসুস্থ হলে যেমন মা অনেক বেশি টেনশন করে আমাদের ক্ষেত্রেও তেমন হয়ে থাকে। আমি বলবো মাকে ভালো ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নেন এভাবে জ্বর কমে যাওয়া আবার জ্বর আসা ভালো না। এখন সময়টাই খারাপ যাচ্ছে, সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
আজ ল্যাবের কাজ শেষ করে বন্ধুদের সাথে কিছু সময় আড্ডা দিয়েছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু আপনি ঠিকই বলেছেন এইভাবে যাওয়া এবং আসা শরীরের জন্য ভালো নাই। এতে করে শরীর আরো দুর্বল হয়ে যায়। ভাই আমার আপু একজন ডাক্তার। ইনশাআল্লাহ মা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।
ঈদের ছুটিতে সব বন্ধুবান্ধব বাসায় এসেছে। তাই বাসায় ফেরার পথে সবার সাথে আড্ডা দিয়েছি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
পরিবারের মা অসুস্থ থাকলে মনটা আসলে খারাপ থাকে।। আর হ্যাঁ বর্তমান সময়ে জ্বর আসলে সেটা ওষুধ খাওয়ার পর থেমে যায় কিন্তু আবারো চলে আসে।। আন্টি অসুস্থ থাকায় দুপুরে খাবারও নিয়ে যেতে পারছেন না শুনে খারাপ লাগলো।। আজ ল্যাবে গিয়েছেন আবার সেখান থেকে এসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছেন।।
দোয়া রইলো আন্টির জন্য খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হোক।।
আমার কাছে মনে হয়, পরিবারে মা অসুস্থ থাকলে সব কিছুই যেন এলোমেলো হয়ে যায়। বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তন এর জন্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মা'কে ঔষধ খাওয়াচ্ছি ইনশাআল্লাহ তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে। আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন ভাই।
অসুস্থ থাকার জন্য সকালবেলা মা ঘুম থেকে উঠতে পারেনি। এজন্যই দুপুরে খাবার নিয়ে যেতে পারিনি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
একদম ভাই পরিবারের মা অসুস্থ হলে সকল কিছুই যেন এলোমেলো লাগে আসলে মা কি জিনিস যার আছে সেই বোঝে।। আর হ্যাঁ যেহেতু ডাক্তারের কথা অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াচ্ছেন আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।। পরিবার সকলের জন্য দোয়া রইল সকল সমস্যা যেন সমাধান করে দেয়।।
দোয়া করি আপনার মা যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান। আসলে পরিবারের কর্তী যদি অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে সকল কাজ এলোমেলো হয়ে যায়। সামনে ঈদ আসছে। পরিবারের বড় ছেলের হিসেবে আপনার দায়িত্ব সত্যি বেড়ে গেছে। আমাদের আসলে সকল দুঃখের সময়ই সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখা উচিত। দুপুরে আপনার আম্মু কল করে আপনাকে বাসায় খেতে যেতে বলেন। ছেলে সকালে না খেয়ে এসে গেছে এজন্য তার মন খুঁতখুঁত করছেন হয়তো। সকল মায়েরা এক রকমই হয়। ভালো লাগলো আপনার সারা দিনের দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, মা হল পরিবারের মাথা। সেই মা যদি একবার অসুস্থ হয়ে যায়।পুরো পরিবার যেন অগোছালো হয়ে যায়। তবুও সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখেছি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
হ্যাঁ ভাই! সেদিন না খেয়েই ডিউটিতে গিয়েছিলাম পরে মা আমাকে ফোন দিয়ে দুপুরে খাওয়ার জন্য বাসায় আসতে বলেছিল।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
প্রিয় ভাই, বর্তমান সময়ে অনেকেই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। এর কারণ হলো মাঝে মাঝে বৃষ্টি আর প্রচণ্ড গরম। আমার শশুর মশাই বেশ কিছুদিন যাবত জ্বরে ভুগছিলো। আজ একজন সনামধন্য ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হই। পরবর্তীতে তিনি কিছু টেষ্ট দিয়েছিলেন। টেষ্টগুলো করে স্যারকে রিপোর্ট দেখালে স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেন যে রোগীর সবকিছু ভালো আছে। শুধু ঔষধ নিয়ম মেনে খেতে হবে।
যাইহোক পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে প্রিয় মানুষ যখন অসুস্থ থাকে তখন সত্যি কিছুই ভালো লাগে না ভাই। ভাই আপনার লিখায় আড্ডা দেয়ার বিষয়টি দেখে অনেক ভালো লাগলো। সারাদিন কর্মব্যস্ততা শেষে এমন আড্ডা মনকে প্রফুল্ল রাখে।
ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা রইলো।
বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তন এর জন্য অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তেছে। আর বর্তমানে এই দলটির নাম হল 'ভাইরাল জ্বর'। এই জ্বর হলে মানুষ একদম দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আপনি ঠিকই বলেছেন নিজের আপন যেন সুস্থ হয়ে গেলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে ভাই একটা পরিবারে তখনই অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে যায় যখন পরিবারটিতে মূল চালিকা শক্তিগুলোর কোনো সমস্যা হয়।দোয়া করি আপনার মা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হোন।আপনি বাইরে থেকে মা'কে নাস্তা এনে দিয়েছিলেন।এরপর আমি যখন ডিউটিতে ছিলেন তখন মা আপনাকে ফোন দিয়ে খাওয়া করে আসতে বলে।আসলে মায়েরা কতোই অসুস্থ হোক না কেন সন্তানের চিন্তা থাকবেই।আপনি ডিউটি শেষ করে সরাসরি স্কুল মাঠে চলে যান তাসিম বিল্লাহ আর সৈকতের সাথে দেখা করতে।
আমার কাছে মনে হয় পরিবারের মাতা হল মা। সেই মা যদি পরিবারে অসুস্থ হয়ে থাকে তাহলে সবকিছুই যেন এলোমেলো হয়ে যায়। আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
সেদিন অসুস্থতার জন্য মা রান্না করতে পারেনি
এজন্য দুপুরে ফোন দিয়ে আমাকে আবারও বাসায় দিয়ে খেয়ে আসতে বলেছিল। আসলেই সন্তানরা না খেয়ে থাকলে কোন মায়েরাই সহ্য করতে পারে না।