Better Life With Steem | | The Diary Game | | 11 June, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আল্লাহ তাআলার কাছে শুকরিয়া আদায় করি। তিনি আমাকে আরও একদিন সকালের সূর্য দেখার তৌফিক দান করেছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেছি। বাড়িতে পারিবারিক সমস্যার কারণে মন মেজাজ একদম ভালো নেই। কিন্তু কি আর করার আছে, আমাকে তবুও ল্যাবে যেতে হবে। পরে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি।
ধন্যবাদ
বাসায় এসব ঝামেলা হওয়ার পর থেকে মা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দুইদিন যাবত মায়ের জ্বর এবং বমি করতেছে। ওষুধ খাওয়ানোর পরে জ্বর কমতেছে ঠিকই। কিন্তু ওই যে একটা কথা আছে না, মানসিক টেনশন সব থেকে মানুষকে দুর্বল করে।
আমি ফ্রেশ হয়ে মা'কে আগে সকালের নাস্তা খাইয়েছি। পরে আমিও সকালের নাস্তা সেরে মা'কে ওষুধ খেতে দিয়েছি। বাড়িতে সব দিক দিয়ে ঝামেলার মধ্যে আছি। এই যে এসব পারিবারিক সমস্যা। তার ওপর এখনো ধানের কাজ শেষ হয়নি, আবার মা অসুস্থ। যাইহোক, তবু আল্লাহতালার কাছে দোয়া করি, যেন সবকিছু ঠিক হয়ে যায়।
মা'কে ওষুধ খাওয়ানোর পর আমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছিলাম। সকালবেলা ল্যাবে কোন কাজ ছিল না, এজন্য ফার্মেসিতে সময় দিয়েছি।
বর্তমানে সবখানেই কেন জানি জ্বর। ফার্মেসিতে বেশিরভাগ রোগী জ্বরের ঔষধ নেওয়ার জন্য আসতেছে। আসলে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য মানুষ এরকম অসুস্থ হয়ে পড়তেছে। যাইহোক, মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত ফার্মেসিতে ছিলাম।
আমাদের ফার্মেসিতে কিছু ওষুধের স্টক শেষ হয়েছে।পরে প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং আমি যে ঔষধগুলো শেষ হয়েছে সেগুলোর একটা লিস্ট করেছিলাম। এসব কাজ করতেই কখন দুপুর ২:০০ টা পার হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি।
দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে গেলে খাবার খেয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। তবে আমাদের এদিকে গত কয়েকদিন থেকে তেমন রোদ হচ্ছে না। কিন্তু হালকা রোদ ওঠার পরেও গরমের যে তাপমাত্রা যা বলার মত নয়।
বিকেলের দিকে ফার্মেসির ভাই তার বাড়ির গাছ থেকে টাটকা জাম পেরে এনেছিল। সত্যিই, বছরের প্রথম ফল খাওয়ার স্বাদ একদম অন্যরকম। তার উপর যদি গাছের টাটকা ফল হয়, তাহলে তো কোন কথাই নেই।
যাইহোক, মোটামুটি বিকেলের পর আকাশ একটু মেঘলা হয়ে এসেছিল। সবাই ভাবছিলাম হয়তো বৃষ্টি আসবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বৃষ্টি আসে নি, উল্টো আরো গরমের তাপমাত্রা বেড়ে গেছিল। পরে সন্ধ্যার দিকে ল্যাবে কিছু কাজ ছিল সেগুলো শেষ করেছি।
আমি যেখানে চাকরি করি, সেখানকার বাজারে সন্ধ্যার পর গরম গরম ভাজাপোড়া বিক্রি করা হয়। তাই সন্ধ্যার পর আমি বাজারে গিয়ে ভাজাপোড়া খেয়েছিলাম। তারপর মোটামুটি রাত ৮:০০টা নাগাদ ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় পৌছে গিয়েছিলাম।
পারিবারে যতই সমস্যা থাকুক না কেন কর্মস্থলে নিজের দায়িত্ব তো পালন করতেই হবে। আপনার মা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছে জেনে খারাপ লাগলো। আপনার সাথে সহমত আমি, মানসিক টেনশন মানুষকে ভিতর থেকে অনেক দুর্বল করে দেয়। ছোটবেলায় জাম খেয়ে জিহ্বা লাল করে সবাইকে দেখিয়ে বেড়াতাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন পরিবারে যতই সমস্যা হয়ে থাক না কেন। নিজ দায়িত্ত পালন করতেই হবে এখানে কোন মাফ নেই। আমার কাছে তাই মনে হয়, মানুষের টেনশন একজন মানুষকে সব থেকে বেশি দুর্বল করে। আসলে সেদিনের গাছের টাকা জামগুলোর স্বাদ একদম অন্যরকম ছিল।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
কর্মস্থল আমাদের পারিবারিক সমস্যা শুনতে চায় না, তাই শত বাঁধার মধ্যেও নিজের কাজরগুলো করতেই হয়,আপনিও সেটা করে নিজের দায়িত্বশীল মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। শারীরিক অসুস্থতার চেয়েও মানসিক অসুস্থতা আমাদের ভিতর থেকে দুর্বল করে দেয়। জাম খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
পারিবারিক সমস্যা থাকলে আসলেই মন এমনি খারাপ থাকে আর হ্যাঁ শরীর খারাপ লাগলো আপনার মা অসুস্থ।। সামনে ঈদ আর এখন আপনাদের ধানের কাজ শেষ হয়নি শুনে খারাপ লাগলো।। জাম খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে তাই তো দুদিন আগে জাম খেলাম।। দোয়া রইল পরিবারের সকলের জন্য সকল সমস্যা জন্য খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হয়।।
অন্য সমস্যা থেকে পরিবারের সমস্যা হলে বেশি মন খারাপ হয়। সেই সাথে দেখা যায়, ওই সময় মাথার মধ্যে বিভিন্ন রকমের টেনশন চলে আসে।না বেশ কয়েকদিন থেকে অসুস্থ। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াচ্ছি।
বর্তমানে জাম পাকা সিজন চলতেছে। আমিও সেদিন অনেকগুলো জাম খেয়েছিলাম।
আমার পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ ।
একদম সঠিক কথা বলেছেন পারিবারিক সমস্যা অনেক বড় সমস্যা যার জন্য মন সবসময় খারাপ থাকে আর কোন কিছু করতেই ভালো লাগেনা।। তারপরও সবকিছু মিলিয়ে আমাদের চলতে হয় কখনো বাড়াবাড়ি সমস্যা কখনো শারীরিক মানসিক সমস্যা সব মিলিয়েই জীবন অতিবাহিত করতে হয়।।
মায়ের সেবা করা তার সাথে নিজের কর্মস্থলে যোগদান করা।সব মিলিয়ে আপনি অনেক কর্মব্যস্ত দিন পার করেন প্রতিনিয়তই।ফার্মেসিতে ঔষধের স্টক শেষ হয়েছিলো তাই ঔষধের লিস্ট করেছিলেন। সন্ধ্যায় বাজারে গরম গরম ভাজাপোড়া খেয়েছেন।
মা বেশ কয়েকদিন থেকে অসুস্থ। বর্তমানে ভাইরাল নামক একটি জ্বর এসেছে। এই জ্বর হওয়ার পর মানুষ খুব তাড়াতাড়ি দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। যদিও এখন মা আগের থেকে সুস্থ কিন্তু শরীর দুর্বল। সেদিন ফার্মেসিতে বেশকিছুই ওষুধ স্টোক শেষ হয়ে গেছিল। এজন্য একটি লিস্ট করেছিলাম।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।