Better Life With Steem | | The Diary Game | | 11 July, 2024
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই গতকালকেও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছি। ঘুম থেকে উঠে বাইরে দেখতে পেলাম কত সুন্দর ঠান্ডা আবহাওয়া। রাতে বৃষ্টি হলে সকালবেলা খুব সুন্দর মনোরম পরিবেশ দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, একটানা বৃষ্টি মানুষের একদম অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। কারণ এই বৃষ্টির কারণে অনেক মানুষ কোন কাজ করতে পারছে না।
বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে আম গাছ থেকে আম পেরেছি। বর্তমানে আমের সিজন প্রায় শেষ। কিন্তু আমাদের গাছে এখনো অনেক আম আছে। প্রতিদিন যে কয়েকটা পাকা আম পাই সেগুলো শুধু পেড়ে খাই। এদিকে মা সকালবেলা রান্না বান্নার কাজে ব্যস্ত থাকে। কারণ বিগত পোস্টে সবাইকে বলেছি, আমি দুপুরের খাবার সাথে নিয়ে যাই।
আলহামদুলিল্লাহ সকালে নাস্তা খাওয়া খেয়েই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। কিন্তু হ্যাঁ! গতকালকে সরাসরি ল্যাবে যাইনি। যাওয়ার পথে আমাদের প্রতিষ্ঠান মালিকের শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। বিগত পোস্টে বলেছি, মালিকের বউয়ের বাচ্চা হয়েছে। মালিকের বউ তার বাবার বাসায় আছে।
ডাক্তার ১৪ দিনের মধ্যে বাচ্চার একটি হরমোন টেস্ট করাতে বলেছিল। তাই যাওয়ার পথে বাচ্চার ব্লাড কালেকশন করতে হবে। প্রথমে গিয়ে তাদের বাড়ি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে অনেক চেষ্টার পর খুজে পেয়েছি।
প্রথমেই বাচ্চাকে কোলে নিয়েছিলাম। মাশাআল্লাহ দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১০ দিনের বাচ্চার শরীর থেকে ব্লাড কালেকশন করা খুবই সাবধানতার কাজ। আলহামদুলিল্লাহ, একবারেই বাচ্চার শরীর থেকে ব্লাড কালেকশন করতে পেরেছি।
ব্লাড কালেকশন করে আমাকে নাস্তা খেতে দিয়েছিল। নাস্তা খেয়ে আবারো ল্যাবে চলে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি। যে ব্লাড কালেকশন করে নিয়ে এসেছি, সেটা দিয়ে হরমোন টেস্ট করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ হরমোন টেস্টের রিপোর্ট অনেক ভালো ছিল।
গতকালকে ফার্মেসির ভাই ছুটিতে ছিল। ফার্মেসি চালানোর মতো কেউ ছিল না। পরে আমি দুপুর পর্যন্ত ফার্মেসিতে ছিলাম। দুপুরে খাওয়ার সময় হলে খেয়ে নিয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকার কারণে অনেক শান্তিতেই রেস্ট করেছি।
বিকেলের দিকে দেখলাম সামনের বাজারে আখ বিক্রি করছে। বর্তমান সময়ে আখ তেমন একটা পাওয়া যায় না। কারণ বর্তমান আখের সিজন নয়। পরে বাজার থেকে আখ কিনে সবাই মিলে খেয়েছিলাম। তবে তেমন একটা মিষ্টি ছিল না।
যাইহোক, মোটামুটি সন্ধ্যা পর্যন্ত আবারো ফার্মেসিতেই ছিলাম। ঐ যে প্রথমেই বলেছি ফার্মেসীর ভাই ছুটিতে ছিল। সন্ধ্যার পর ওষুধ কোম্পানির লোক আমাকে জ্বরের এন্টিবায়োটিক স্যাম্পল দিয়েছিল। মোটামুটি রাত ৮:০০টার দিকে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়। এত জোরে বৃষ্টি হয়েছিল যা বলার মত নয়।
তবে গতকালকে রেইনকোট সাথে এনেছিলাম। তাই চিন্তার কোন কারণ ছিল না। আলহামদুলিল্লাহ ল্যাব বন্ধ করে রেইনকোট পড়েই বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। এত জোরে বৃষ্টি হয়েছিল, রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় সামনের দিকে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছেছি।
Congratulations, your post has been curated by @dsc-r2cornell. You can use the tag #R2cornell. Also, find us on Discord
Felicitaciones, su publicación ha sido votada por @ dsc-r2cornell. Puedes usar el tag #R2cornell. También, nos puedes encontrar en Discord
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ভাবে ধন্যবাদ জানাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি এবং আপনার সারা দিনের কাজকর্ম বিষয়টি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন
সত্যি কথা বলতে কি ভাই, আপনার মন্তব্য পরে মনে হল, আপনি আমার সারাদিনের কার্যলিপি হয়তো ভালোভাবে পড়েন নি। তাই আপনাকে অবশ্যই বলব, আমার কষ্টের কিছু অংশ তুলে ধরার চেষ্টা করবেন এবং সেই সাথে নিজের কিছু অভিমত শেয়ার করবেন। আমাকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
প্রতিদিনের মতোই সকালে ঘুম থেকে উঠে খানিকটা সময় হাতাহাতি করে আমি গাছ থেকে আমি পেরে খেয়েছেন। এরপর দুপুরের খাবার নিয়ে ল্যাবে চলে যান।
সেখানে যাওয়ার পরে প্রতিষ্ঠানের মালিকের ১৫ দিনের বাচ্চার হরমোন টেস্টের জন্য বাচ্চার ব্লাড কালেকশন করেছেন। এতো ছোট বাচ্চার ভেইন পাওয়া খুব কঠিন কাজ এবং বাচ্চারা খুব কষ্ট পায়। কিন্তু আপনি এই কাজটা একেবারেই করতে পেরেছেন জেনে খুশি হলাম।
বৃষিটর দিনে সাথে রেইনকোট রেখে বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন।
প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করা আমার অনেক পুরনো দিনের অভ্যাস। বিশেষ করে আমি ঘুম থেকে উঠে খালি গায়ে একটু হাটাহাটি করার চেষ্টা করি।
আসলে ছোট বাচ্চাদের ব্লাড কালেকশন করা খুব কঠিন একটি কাজ। খুব নিখুঁতভাবে ব্লাড কালেকশন করতে হয়।
বর্তমান বর্ষাকাল সময় আমরা প্রত্যেকেই সেটা জানি। কখন বৃষ্টি হবে আবার রোদ উঠবে তা বলা মুশকিল। এজন্য সবসময় রেনকোট সাথে রাখার চেষ্টা করি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
সকালে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বৃষ্টি ভালোই লাগে কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টি আসলেই ভালো লাগেনা।। আপনার গত পোস্টে দেখেছিলাম আপনার মালিকের স্ত্রীর বাচ্চা হয়েছে আর সেখানে গিয়েছিলেন রক্তনীতে যেতে বেশ সমস্যার মুখে পড়েছিলাম কারণ বাড়ির চেনা ছিল না।। আর হ্যাঁ বাচ্চা আসলেই অনেক সুন্দর হয়েছে মাশাআল্লাহ।।
প্রত্যেকের বৃষ্টি ভেজা সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। কারণ বৃষ্টি হলে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে আর ঘুম যেন আরো বেশি পায়।
প্রতিষ্ঠান মালিকের বউয়ের বাচ্চা হয়েছে সেটা বিগত পোস্টে সবাইকে অবগত করেছি। বাচ্চার ১৪ দিনের মধ্যে একটি হরমোন টেস্ট করতে বলেছিল। এজন্য ব্লাড কালেকশন করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অচেনা জায়গায় গিয়ে বাড়ি খুঁজতে একটু সমস্যা হয়েছিল।
আপনার মন্তব্য পরে খুব ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ।