Better Life With Steem | | The Diary Game | | 07 July, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকালকে একটু দেরিতেই ঘুম ভেঙেছিল। যদিও সঠিক সময়ে মোবাইলে অ্যালার্ম বেজেছে। কিন্তু আপনারা হয়তো সবাই জানেন, আমাদের উত্তরবঙ্গে বেশ ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া ঠান্ডা থাকার কারণে মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করে আবারও ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
পরে ঘুম থেকে উঠে দেখি ল্যাবে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছি। তারপর প্রতিদিনের মতোই আমাদের গাছ থেকে আম পেরেছি। যেহেতু, আমাদের বাড়ির উঠানে আম গাছ। এজন্য আমরা একবারে সব আম পাড়িয়ে রাখিনা। কারণ একসাথে অনেকগুলো আম পেড়ে রাখলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে মা রান্নার কাজে বেশ ব্যস্ত ছিল। আমি তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। নাস্তা করার মতো তেমন সময় ছিল না। তাই দুপুরের খাবার সাথে নিয়েই ডিউটিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি। ল্যাবে আসার পর আমার সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে, ফ্রিজ থেকে সব রিএজেন্ট বাইরে বের করে রাখা। যাইহোক, কিছুক্ষণ পরেই একজন রোগী এসেছিল স্যালাইন দেওয়ার জন্য। রোগীর হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অনেক কমে গেছিল।
আপনারা হয়তো জানেন, কারো কাছ থেকে ব্লাড ডোনেট এর মাধ্যমে শরীরে ব্লাড দেওয়া যায়। কিন্তু এভাবে ব্লাড দেওয়া ছাড়াও স্যালাইনের মাধ্যমেও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ানো যায়। তবে ব্লাড ব্যাগের থেকে এই স্যালাইনের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ ততটাও বাড়ে না। পরে রোগীকে একটি 'Oxyfer' স্যালাইন লাগিয়ে দিয়েছিলাম।
সকালবেলা বাসা থেকে নাস্তা করে আসিনি। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছিল। তাই সামনের বাজারে গিয়ে গরম গরম পুড়ি ও ছোলা খেয়েছিলাম। বাজারটা খুব একটা বড় নয়, কিন্তু সবকিছুই গরম গরম পাওয়া যায়। পরে মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত ফার্মেসিতেই ছিলাম।
দুপুরের দিকে খাওয়ার সময় হলে খেয়ে নিয়েছি। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। গতকালকে সারাদিন বৃষ্টি হয়নি ঠিকই। কিন্তু সারাদিন আকাশ মেঘলা ছিল। কিন্তু বিকেলের দিকে গরমের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেছিল।
বিকেলবেলা আমাদের ফার্মেসির ভাই একটা ট্রিট দেওয়ার কথা ছিল। তাই সামনের বাজারে গিয়ে মোগলাই খাওয়ার কথা বলেছিলাম। জানি'না সবার এলাকায় এটাকে কি বলে, কিন্তু আমাদের এদিকে মোগলাই বলে।সাধারণত একটি ডিম দিয়ে একটি মোগলাই বানানো হয়।
কিন্তু আমরা একটা ডিমের জায়গা তিনটি ডিম দিয়ে মোগলাই বানিয়ে নিয়েছি। বানানোর পরে সেটা প্যাক করে ল্যাবে নিয়ে এসেছিলাম। তার সাথে শসা এবং টমেটো সস নিয়েছি। সত্যিই! টমেটো সস দিয়ে মোগলাই খাওয়া স্বাদ অন্যরকম ছিল। আর এটাও সত্যি যে, একটা ডিমের জায়গায় তিনটি ডিম দিয়ে মোগলাই বানালে সেটা তো সুস্বাদু হবেই।
পরে মোটামুটি রাত ৮:০০টা নাগাদ ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। মাঝ রাস্তায় আমার বন্ধু ফোন দিয়েছিল। পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে জরুরি বিষয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছি। আবার আমাদের কমিউনিটির রাত ৯:০০ টায় টিউটোরিয়াল ক্লাস ছিল।
বাসায় পৌঁছাতে আমার মোটামুটি রাত ৯:১০ মিনিট বেজে গিয়েছিল। পরে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে টিউটোরিয়াল ক্লাসে জয়েন করেছিলাম। রাতের খাওয়া করার মতোও সময় ছিল না। পরে টিউটোরিয়াল ক্লাসের মাঝে আমি বের হয়েছিলাম। পরে তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছি।
যাইহোক আজকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা আসলে অনেক সুন্দর ছিল, আর এ কথাটা ঠিক যে যদি বৃষ্টি হয় আবহাওয়া ঠান্ডা হলে ঘুমের ভক্ত একটু বেশি হয়। ঘুমাইতে বেশি মন চায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
জানি না কয়জন আপনারা ঘুম প্রেমী। কিন্তু বৃষ্টি ভেজা সকালে আমার নিজের কখনোই ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু হ্যাঁ এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, কারণ আমরা প্রত্যেকে কমবেশি বিভিন্ন কর্মের সঙ্গে জড়িত। আর কর্ম আছে মানে সেখানে সঠিক সময় যেতে হয়। এর জন্য আর কিছুই করার থাকে না। সেদিন আমার ক্ষেত্রেও সকালবেলা এরকমটাই হয়ে গেছিল।
কিন্তু তারপরও তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে সঠিক সময় ডিউটিতে গিয়েছি।
আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আমি নিজেও মাঝে মধ্যে মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি আবার। কারণ সকাল বেলা যখন ঠান্ডা পরিবেশে থাকে এবং ঠান্ডা আবহাওয়া পেয়ে ঘুম থেকে উঠতে মন চায় না। তাই মোবাইলের এলার্ম বেজে ওঠার পরেও আবার বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়তে বারবার মন চায়।
আপনার মত এরকম কাজ আমিও মাঝে মাঝে করি। কারণ বৃষ্টি ভেজা সকালে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে ঘুম থেকে যেন উঠতে ইচ্ছে করে না। যদিও সঠিক সময় মোবাইলের অ্যালার্ম বাজে। কিন্তু সেটা বন্ধ করে আবারও ঘুমিয়ে যাই।
সেদিন এরকমটা হওয়ার কারণে ল্যাবে যাওয়ার তেমন সময় ছিল না। তাড়াহুড়ো করেই ল্যাবে গিয়েছিলাম।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে ভাল লাগল, পরিবেশ যখন ঠান্ডা থাকে তখন ঘুম একটু বেশি হয়, মোবাইলে এলার্ম বন্ধ করে আবার ঘুমাতে যাই, আমিও ঐ দিন টিউটোরিয়াল ক্লাসে উপস্থিত ছিলাম, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
ঠিক বলেছেন, বৃষ্টি ভেজা সকালে আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা থাকে। আর আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে ঘুম থেকে যেন উঠতে ইচ্ছে করে না। উল্টো যেন আরো ঘুম বেড়ে যায়। সেদিন সকাল বেলা আমার ক্ষেত্রেও এরকমটাই হয়েছিল।
কিন্তু হ্যাঁ আমরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন কর্মের সঙ্গে জড়িত। যার কারণে চাইলেও বেশি ঘুমোতে পারি না।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
পরিবেশ যত সুন্দর থাকুক আমাদের যখন কাজ থাকে আমরা সেই কাজে যেতে বাধ্য থাকি, কষ্ট হলেও যেতে হয়। ধন্যবাদ রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি আমার অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে মোগলাই খাওয়ার বিষয়টি। কারণ মুলায় আমার পেটে খুব ভালো লাগে। তারপর টিউটোরিয়াল কাছে জয়েন হওয়ার বিষয়টা ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।
সেদিন আসলে মোগলাই খাওয়ার মত কোন ডিসিশন ছিল না। কিন্তু এর আগে আমাদের উদ্দেশ্য নয় ফার্মেসীর ভাই এটা ট্রিট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে যে সেদিনই দিবে তা বুঝতে পারেনি। আমরা সবাই মিলে ঠিক করেছিলাম যে মোগলাই খাব। কিন্তু সাধারণত একটি ডিম দিয়ে মোগলাই বানানো হয়। কিন্তু আমরা একটা ডিমের জায়গায় তিনটা ডিম দিয়ে মলদাই বানিয়েছিলাম।
আমার পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
ধন্যবাদ
কয়েকদিন যাবত আমার নিজেরও দেরিতে ঘুম ভাঙ্গছে, কোনো ভাবেই তাড়াতাড়ি উঠতে পারছি না। আপনিও আজ কিছুটা দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছিলেন। আমাদের এখানেও এটা মোগলাই বলে সবাই। ট্রিট পেতে সকলেই খুব ভালোবাসে, তাই না। টিউটোরিয়াল ক্লাস আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
সকাল বেলার আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে ঘুম যেন ভাঙতে চায় না। এজন্য সেদিন আমার একটু ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছিল। আপনারা দেখি আমার মত অবস্থা হয়ে গেছে।
হ্যাঁ ভাই আমরা কমবেশি প্রত্যেককে ট্রিট পেতে পছন্দ করি। সেদিনের খাওয়া-দাওয়া টা অনেক ভালো ছিল।
টিউটোরিয়াল ক্লাস আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমার পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আজকে আপনার অ্যালার্ম ঠিকমতোই বেজেছিল কিন্তু কয়েকদিন থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আবারো ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তাই উঠতে লেট্ হয়ে গিয়েছিলো।
ঘুম থেকে উঠে গাছ থেকে আম পেরেছেন। ল্যাবে যাওয়ার পরে একজন রোগী এসেছিলেন যার হিমোগ্লোবিন কম। স্যালাইনের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিন বাড়ে বিষয়টা আমার জানা ছিল না।
বিকেলে মোগলাই খেয়েছিলেন বন্ধুদের সাথে। রাতে বাসায় এসে টিটোরিয়াল ক্লাসে জয়েন দিয়েছিলেন।
আসলে সকালবেলা আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে ঘুম যেন আরো বৃদ্ধি পায়। সেদিন আমার সাথে সেরকমটাই ঘটেছিল। মোবাইলে অ্যালার্ম বাজার পরেও এলার্ম বন্ধ করে আবারও ঘুমিয়ে গিয়েছি।
শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে আমরা ডোনারের কাছ থেকে ব্লাড সংগ্রহ করে ব্লাড দিয়ে থাকি। কিন্তু হ্যাঁ এভাবে ব্লাড দেওয়া ছাড়াও স্যালাইনের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিন বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু খুব একটা যে বৃদ্ধি পায় এমনটা কিন্তু নয়।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
আবহাওয়া বা ঠান্ডা থাকলে সকালে উঠতে ইচ্ছে করে না এটা মনে হয় সকলের সাথে ঘটে থাকে।। প্রতিদিনের মতো আজকেও ল্যাবে গিয়েছিলেন এবং দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন।। তাছাড়া নাস্তাও করেছেন, তখন অল্প ক্ষুধা থাকে তখনই বেশি নাস্তা করা হয়।।
সকালবেলা আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে একদমই ঘুম ভাঙতে চায় না। শুধু এটা আমার ক্ষেত্রে নয়, আমি অনেকের ক্ষেত্রে এরকমটা দেখেছি। প্রতিদিনের মতোই সকালবেলায় ল্যাবে ডিউটিতে গিয়েছি। যেহেতু চাকরি করছি ভাই তাহলে তো দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতেই হবে। সকালবেলা আমার নাস্তা করতে তেমন একটা ভালো না। এজন্য ল্যাবে গিয়ে নাস্তা করেছিলাম।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সকালে একটু ঠান্ডা পেলে আমার উঠতে ইচ্ছে করে না যেহেতু বাসায় তেমন কাজ দেয় আর আমার চাকরিও নেই তাই দেরি করে ওঠা হয়।। সকালে নাস্তা করা উচিত ভাই।।