Better Life With Steem | | The Diary Game | | 06 July, 2024

in Incredible India6 days ago

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এখনো সুস্থ রেখেছেন এজন্য সবাই শুকরিয়া আদায় করব। আলহামদুলিল্লাহ। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গতদিনের কার্যক্রম নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

1_20240707_144120_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো গতকালকেও সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই বৃষ্টি ভেজা সকালে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই সকালবেলা বৃষ্টির মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু কি আর করার যেহেতু আমার ডিউটি আছে।

যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করেছি। তখন মোটামুটি সকাল ৮:০০টা বাজে। মা সকালবেলা রান্নাবান্নার কাজে বেশ ব্যস্ত ছিল। আমাদের ধানগুলো অনেকটাই শুকিয়েছে। অন্তত এখন নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

IMG_20240706_082119.jpg

বাইরে হাঁটাহাঁটি করার পর আমাদের আম গাছে উঠেছিলাম। আম গাছে উঠে বেশ কয়েকটি পাকা আম পেরেছি। অনেক জায়গায় হয়তো আম শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমাদের এই দিকে হাড়িভাঙ্গা আম কেবলই পাকা শুরু করেছে।

ল্যাবে যাওয়ার সময় হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। পরে আম খেয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বর্তমানে আবহাওয়া এতটাই খারাপ যা বলার মত নয়। যখন তখন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এজন্য ডিউটিতে যাওয়ার সময় রেইন কোট সাথে নিয়ে যাই।

IMG_20240706_091747.jpg

আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছিলাম। সকালবেলা তেমন কোন কাজ ছিল না। তাই দুপুর পর্যন্ত ফার্মেসিতেই ছিলাম। আমি এর আগেও অনেকবার বলেছি, ল্যাবে প্রতিদিন কাজ না হলেও ফার্মেসিতে কিন্তু ভালই ঔষধ বিক্রি হয়।

দুপুরের দিকে খাওয়ার সময় হলে খেয়ে নিয়েছি। সত্যি কথা বলতে, অনেক দিন পর ছোট মাছের ভাজি খেয়ে বেশ তৃপ্তি পেয়েছিলাম। বর্তমানে আমাদের এদিকে অনেক বৃষ্টি এবং চারদিকে পানিতে ভরপুর হয়ে গেছে। আর সেই সাথে অনেক দেশি মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তাই মা আমার জন্য দেশি ছোট মাছ কিনেছিল।

IMG_20240706_134934.jpg

আলহামদুলিল্লাহ দুপুরের খাওয়া শেষ করেই প্রতদিনের মতো শুয়ে রেস্ট করেছি। কিছুক্ষণ পরেই খেয়াল করলাম, চারদিক থেকে আকাশ অন্ধকার হয়ে এসেছে। মুহূর্তেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়।

IMG_20240706_162641.jpg

সত্যি কথা বলতে, বৃষ্টি দেখে আমার গোসল করার ইচ্ছা হয়েছিল। কিন্তু সেটা চাইলেও সম্ভব ছিল না কারণ আমি ডিউটিতে ছিলাম। আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এখন আবহাওয়া খারাপ। অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মোটামুটি সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি হয়েছিল।

সন্ধ্যার পরেও ল্যাবে তেমন কোন কাজ হয়নি। কিন্তু ফার্মেসীর ভাই একটা কাজে পার্বতীপুর বাস টার্মিনালে গিয়েছিল। তাই সন্ধ্যার পর থেকে মোটামুটি রাত ৮:০০টা পর্যন্ত ফার্মেসি আমাকেই সামলাতে হয়েছে। রাত ৮:০০টার দিকেও হালকা ঝিমঝিম করে বৃষ্টি পড়ছিল। তাই দেরি না করে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছি।

IMG_20240706_205703.jpg

ঝিমঝিম বৃষ্টি ছিল তাই, রেইন কোট পড়ে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। রাস্তা মোটামুটি ফাঁকাই ছিল। যাওয়ার পথে পার্বতীপুর বাস টার্মিনালে একটা মুদি দোকানে দাঁড়িয়েছি। কারন মায়ের প্যারাসুট তেল শেষ হয়ে গেছিল। সেখান থেকে একটি তেলের বোতল নিয়েছিলাম।

কিন্তু দাম দেখে একদম অবাক হয়ে গিয়েছি। কিছুদিন আগেই ছিল ১৫০টাকা। এখন সেটা ১৭০ টাকা হয়ে গেছে। যাইহোক, পরে সুস্থভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি। আজকে এই পর্যন্তই ছিল।

ধন্যবাদ

Sort:  
 6 days ago 

কষ্ট করে ধান চাষ করার পর যদি সেগুলো নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সত্যি খুব খারাপ লাগে। তবে জেনে ভালো লাগলো যে ধানগুলো প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে এবং এখন আর নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বৃষ্টিতে বাইরে গিয়ে ভিজতে সবারই মন চায় তবে সব সময় সেটা সম্ভব হয় না। মায়ের তেল শেষ হয়ে গিয়েছিলো তাই এক বতল তেল কিনেছিলেন। এটা সত্যি খুব ভালো কাজ করেছেন কারন তাদের যত্ন নেওয়া আমাদের কর্তব্য।

 4 days ago 

দীর্ঘদিন ফসল চাষাবাদ করার পর কৃষকরা সেই ধান ঘরে তুলে। আর সেই দান যদি রোদের অভাবে নষ্ট হয়ে যায় তা আসলেই অনেক কষ্টকর। বেশ কয়েকদিন থেকে আমাদের বাড়ির ধানগুলো নিয়ে ঝামেলায় ছিলাম। তবে ইনশাআল্লাহ একদিনের রোদে সেগুলো শুকিয়ে গেছে।
হ্যাঁ ভাই বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু বর্তমান যে আবহাওয়া হারা পেয়ে জন্য ভিজার সাহস পাই না।

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

 6 days ago 

বৃষ্টির দিনে সকালে বোধকরি কারোরই উঠতে ভালো লাগে না। কিন্তু কিছু করার নেই জীবন ও জীবীকার তাগিদে উঠতেই হয়।
আপনাদের ধানগুলো নিয়ে সমস্যায় ছিলেন আগের আপনার আগের লেখা ৎেকেই জানতাম। তবে ধানগুলো এখন আর নষ্ট হবে না জেনে ভালো লাগলো।
আপনাদের উত্তরাঞ্চলতো আমেরই জায়গা। আপনারা গাছ থেকে পেড়ে খান আর আমরা বিশুদ্ধ কেমিক্যালযুক্ত আম কিনে খাই।
সবকিছুরই দাম এত বাড়ছে যে, কিছু কিনতে হবে ভাবলেই ভয় লাগে।

 4 days ago 

বৃষ্টি ভেজা সকালে আমার মনে হয় কারোই ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু হ্যাঁ! ঠিকই বলেছেন, জীবনে চলার তাগিতে তবুও উঠতেই হয়। বাসায় ধানগুলো নিয়ে খুব টেনশনের মাঝে ছিলাম। তবে ইনশাআল্লাহ একদিনের রোদে সেই ধানগুলো শুকিয়ে গেছে।
আমাদের উত্তরবঙ্গে হাড়িভাঙ্গা আম অনেক বেশি পাওয়া যায়। সেই আমগুলো একদম গাছ থেকে পাড়ানো টাটকা আম।
সত্যিই আপু কিছুদিন আগেই সেই প্যারাসুট তেলের বোতল ১৫৫ টাকা কিনেছিলাম। কিন্তু এখন সেটা বেড়ে ১৭০ টাকা হয়ে গিয়েছে।

Loading...
 5 days ago 

প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। আসলে সবাইকে কর্ম করতে হবে। আর বৃষ্টির দিনে কাউকে ঘুম থেকে উঠতে মন চায় না। বৃষ্টির দিনে শুধু ঘুমাতে ইচ্ছা করে। কিন্তু কর্মরতাগীদে আমাদেরকে উঠতেই হবে সময় মত। এবং জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। বন্ধু আপনার পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। আশা রাখবো এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট আরো আমাদেরকে উপহার দেবেন ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

 4 days ago 

বৃষ্টি ভেজা সকালে মনে হয় কারো ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করেনা। কিন্তু হ্যাঁ জীবনে চলার তাগিতে তবুও উঠতে হয়। চাইলেও কিছু করার থাকে না। কারণ আমরা যে প্রত্যেককেই বিভিন্ন কর্মের সঙ্গে জড়িত। আর কর্মের সঙ্গে জড়িত মানুষ সঠিক সময়ই নিয়মমাফিক চলতে হবে।
ইনশাআল্লাহ এরকম সুন্দর পোস্ট আপনাদের মাঝে আরো শেয়ার করার চেষ্টা করব।
ভালো থাকবেন ভাই। ধন্যবাদ।

 5 days ago 

আসলে ভাই বাংলাদেশের যে জিনিসটা দাম একবার বাড়ে জিনিসটার দাম বাড়তেই থাকে সেটা আর কখনো কমে না, যাইহোক আজকে আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 4 days ago 

বাংলাদেশের পণ্য মানেই তো সবকিছু উর্ধ্বগতি। যেটা একবার দাম বেড়ে যায়, সেটা হাজারো চেষ্টা করেও পরে আর নামানো সম্ভব হয় না। হয়তো নামানো যায় কিন্তু সেটা সর্বোচ্চ দুই থেকে এক টাকা। কিন্তু বাড়ানোর সময় একবারে আকাশ ছোঁয়া বাড়ানো হয়।
কিছুদিন আগেই মায়ের প্যারাসুট তেলের বোতল আমি ১৫৫ টাকা কিনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই একবারে সেটা বেড়ে ১৭০ টাকা হয়ে গেছে।

 3 days ago 

এটা একদম সঠিক বৃষ্টির দিনে সবারই উঠতে ইচ্ছে করে না।। বাড়ির গাছের আম খেতে কার না ভালো লাগে।। লাবে গিয়ে দায়িত্ব নিয়ে দু দিনের মধ্যে কাজ করে এছাড়াও বাসায় আসার পথে একটু কেনাকাটা করেছেন আছে।।

 2 days ago 

বৃষ্টি ভেজা সকালে সবারই যেন ঘুম আরো বৃদ্ধি পায়। ইচ্ছে করে সব কিছু বাদ দিয়ে যদি ইচ্ছেমতো ঘুমাতে পারতাম। কিন্তু সবকিছু তো আর ইচ্ছামত হয় না।
নিজের গাছের টাটকা আম খাওয়া স্বাদ একদম অন্যরকম।
সেদিন বাসায় আসার পথে মা কিছু বাজার করে নিয়ে আসতে বলেছিল। তাই মায়ের কথামতো বাজার করে এনেছিলাম।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

 yesterday 

এটা একদম সঠিক বলেছেন আমরা চাইলেও অনেক সময় অনেক কিছু করতে পারি না।। আমাদের বাসায় আম গাছ রয়েছে কিন্তু আমি শেষ তাই বাসার টাটকা আর খাওয়া হয় না।। এখন যেহেতু একটা চাকরি করছেন তাই মাঝে মাঝে বাজার করতে হবে এটাই স্বাভাবিক।।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58617.29
ETH 3164.87
USDT 1.00
SBD 2.44