Better Life With Steem | | The Diary Game | | 03 April, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
বিগত পোস্টে বলেছিলাম আমি কিছু কাপড় পরিবর্তন করার জন্য রংপুরে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার এক বড় ভাইয়ের বাসায় ছিলাম। সারারাত কোন ঘুমাই নি। একবারে সেহরি খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুমানোর আগে অবশ্যই মনে করে ফোনে এ্যালার্ম দিয়ে রেখেছিলাম কারণ সকালবেলা উঠে আমাকে আবার বাসায় যেতে হবে। মোটামুটি সকাল ৭:৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিয়েছি।
পরে আর বেশি দেরি করিনি ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রংপুর মেডিকেল মোড় চলে আসি। সেখান থেকে আবারও গাড়ি পরিবর্তন করে বাস টার্মিনালে চলে এসেছিলাম। গতকালকে বাসের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি কিছুক্ষণের মধ্যে বাস এসেছিল। সকালবেলা ছিল তবুও বাসের মধ্যে অনেক ভিড় ছিল যা বলার মত নয়। বর্তমানে ঈদ সামনে এই জন্যই রাস্তায় লোকজন অনেক বেশি।
মোটামুটি ১ ঘন্টা ৩০ মিনিটের মধ্যে বাসায় এসেছি। বাসায় আসার পর সকাল ৯ টা ৩০ মিনিট বেজে গিয়েছিল। ল্যাবে যেতে হবে এজন্য তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিয়েছি। একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল এজন্য প্রতিষ্ঠানের মালিক ভাইকে কল দিয়ে বলেছিলাম যে,আমার যেতে একটু দেরি হবে। পরে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই সুস্থভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে শেষ করেছিলাম। মোটামুটি দুপুর পর্যন্ত কাজ করেছিলাম। গতকালকে আমি আমার ল্যাপটপটি সাথে নিয়ে এসেছিলাম। কারণ আমার কিছু প্রয়োজনীয় কাজ ছিল। আমাদের বাসায় ওয়াইফাই না থাকাতে ল্যাপটপ তেমন একটা চালানো হয় না। এজন্যই মূলত ল্যাবে নিয়ে এসে কিছু ছোট খাটো কাজ ছিল সেগুলো করেছি।
দুপুরে জোহরের আযান দিলে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেছি। গতকালকে রাতে তেমন একটা ঘুম হয়নি এজন্য দুপুরবেলা খুব খারাপ লেগেছিল। এজন্য শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। গতকালকে বিকেলবেলা কোন ডাক্তার ছিল না এজন্য আমার কাজের কোন প্রেসার ছিল না। কিন্তু ডাক্তার না থাকলেও একজন দাঁতের ডেন্টিস এসেছিলেন। তবে দাঁতের ডেন্টিস আসলে মূলত দাঁতের কাজ হয় আমার ল্যাবের কোন কাজ হয় না।
পরে মাগরিব হয়ে গেলে ইফতারের জন্য দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে এনেছি। আমরা প্রতিদিন সবাই মিলে একসঙ্গে ইফতার করে থাকি। ইফতার করে মাগরিবের নামাজ পড়ে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছি। ল্যাব বন্ধ করে পার্বতীপুর বাজারের দিকে রওনা হয়েছিলাম। বাবার ওষুধ শেষ হয়ে গিয়েছিল এজন্য ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনেছি এবং কাপড়ের দোকান থেকে বাসার জন্য একটা তোয়ালা কিনেছিলাম।
বাজারের সব কাজ শেষ করে বাসায় চলে গিয়েছি। বাসায় গিয়ে দেখি মায়ের জ্বর এসেছে পরে আর দেরি করি নাই, তাড়াতাড়ি একসঙ্গে ভাত খেয়ে মাকে ওষুধ খাইয়ে দিয়েছিলাম। গতরাতে আমারও তেমন একটা ঘুম হয়নি এজন্য আমিও তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
হ্যা, কিছুদিন পরই আপনাদের ঈদ আর ঈদের আগে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায় এজন্যই রাস্তায় লোকজনের ভীড় তুলনামূলক বেশি থাকে। ল্যাব থেকে বাসায় আসার সময় বাবার জন্য ঔষধ কিনেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
জি ভাই ঈদ উপলক্ষে মানুষের কেনাকাটার জন্য রাস্তায় অনেক ভিড় জমে গেছে। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।