Better Life With Steem | | The Diary Game | | 01 June, 2024
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
আলহামদুলিল্লাহ গতকালকেও আমি খুব সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠেছি।আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করি, তিনি আমাকে আরও একদিন সকালের সূর্য দেখার তৌফিক দান করেছেন। গত কয়েকদিন থেকে এরকম বৃষ্টি হওয়ার কারণে ধান শুকানোর কাজ শেষ করতে পারছি না।
বাড়ির সবাই ধান নিয়ে ঝামেলায় পড়ে গেছি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যদি বৃষ্টি দেয় আমাদের কিছু করার নেই। আবার গ্রাম এলাকায় একটু বৃষ্টি হলে ২-৩ দিনেও বিদ্যুতের খোঁজ পাওয়া যায় না। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠে বাইরে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেছিলাম।
আমাদের বাইরে উঠানে অনেকগুলো ধান জমা করা আছে। বৃষ্টির কারণে ধানগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। সকালবেলা যদিও রোদ ছিল না, তবুও মা পলিথিন সরিয়ে ধানগুলো ফাঁকা করে দিতে বলেছিল। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তারা মোটামুটি সবাই জানি, ধান বেশিক্ষণ ঢেকে রাখলে ধান গরম হয়ে যায়।
সকালে ধানের কাজগুলো শেষ করে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। এদিকে মা সকালের নাস্তা খাওয়ার জন্য রুটি বানিয়েছিল। সকালের নাস্তা খেয়েই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।
ল্যাবে আসার পথে একজন রোগীকে বাড়িতে গিয়ে ইনজেকশন দিতে হয়। কয়েকদিন আগে আমাদের প্রতিষ্ঠানে একজন রোগী ব্লাড টেস্ট করার পর টাইফয়েড ধরা পড়েছিল। পরে ডাক্তার ৭ দিন ইনজেকশন দিতে বলেছে।
যেহেতু রোগীর বাড়ি, আমার বাড়ি যাওয়ার পথেই, এজন্য আমি প্রতিদিন ইনজেকশন দিয়ে আসি। ইনজেকশন দিয়ে সুস্থভাবে ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি। সকালবেলা কোন কাজ ছিল না, এজন্য আগামী দিনের জন্য পোস্ট সাজিয়েছি।
মোটামুটি বেলা হয়ে গেলে, ফার্মেসীর ভাই সামনের হোটেল থেকে সবার জন্য সিঙ্গারা কিনে এনেছিল। পরে সবাই মিলে একসাথে সিঙ্গারা খেয়েছিলাম। সত্যিই গরম গরম সিঙ্গারার সাথে যদি কাঁচা মরিচ থাকে, তাহলে তো আর কথাই নেই। পরে বাকি সময় ফার্মেসিতেই ছিলাম।
দুপুরের দিকে খাওয়ার সময় হলে ভাত খেয়েছিলাম। খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতোই বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছি। গতকালকে সারাদিনই আবহাওয়া খারাপ ছিল। এদিকে বাড়িতে অনেকগুলো ধান জমা রয়েছে, সেগুলো নিয়ে অনেক টেনশনে আছি।
পরে বাড়িতে মা'কে ফোন দিয়ে বললাম, ধানগুলোর কি অবস্থা। মা বললো যদিও রোদ নেই, তবুও ঐ অবস্থাতেই ধান মেলে দিয়েছে। রোদ না থাকলেও হাওয়া-বাতাস থাকলে ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
সন্ধ্যার দিকে বাজারে গিয়ে দেখলাম অনেক ভালো কলা উঠেছে। পরে বাবার জন্য এক ঝুকি কলা কিনেছিলাম। সন্ধ্যার পরেও ল্যাবে আর কোন কাজ হয়নি। পরে তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। আর হ্যাঁ! বাসায় যাওয়ার পথে, ঐ রোগীর বাড়িতে গিয়ে ইনজেকশন দিয়েছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি। বাসায় গিয়ে আবারো কাপড় পরিবর্তন করে আমাদের এলাকার বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে গিয়েছিলাম মূলত সেলুনে চুল কাটার জন্য। কিন্তু গতকালকে মনে হয় আমার ভাগ্য ভালই ছিল, সেলুনে যাওয়া মাত্রই সিরিয়াল পেয়েছিলাম। চুল কেটে আবারো বাসায় চলে এসেছি। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খেয়েছিলাম।
ইদানিং আবহাওয়া বেশ লুকোচুরি খেলছে। এই মেঘলা এই রোদ। কিন্তু গরমের কোন পরিবর্তন নেই। ওটা বহাল তবিয়তেই আছে। আবহাওয়ার এই নানাবিধ আচরণের কারণে ধান শুকাতে আপনাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
সবকিছুর পাশাপাশি আপনার নিয়মিত দায়িত্ব গুলোর কথা আপনি ভুলে যান না। সময় করে প্রতিবেশী টাইফয়েডের রোগীকে
ইনজেকশনও দিয়ে আসছেন।
সবমিলিয়ে বেশ ব্যস্ত দিন পার করলেন আপনি।
কয়েকদিন থেকে এরকম আবহাওয়ার জন্য ধান শুকানো নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছি। আপনি ঠিকই বলেছেন, যদিও বৃষ্টি হচ্ছে তারপরও কেন জানি গরমের আবাস কমছেই না। আমাদের এলাকার এক পার্শ্ববর্তী গ্রামে একজন রোগীর টাইফয়েড ধরা পড়েছে। এজন্য ল্যাবে যাওয়ার সময় আমি নিজে ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আবহাওয়া কখন পরিবর্তন হয়ে যায় সত্যি কথা বলতে বোঝাও যায় না। কিন্তু আমাদেরকে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু ধান শুকাতে দিয়েছেন তাই অনেক বেশি সাবধানে থেকে তারপরে ধানগুলো শুকিয়ে নিতে হবে। আপনি ঠিকই বলেছেন গরম গরম সিঙ্গারার সাথে একটু স
শসা আর একটু কাঁচামরিচ হলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি আপনার বাবার জন্য আজকেও কলা নিয়ে এসেছেন, এবং সঠিকভাবে ল্যাব থেকে বাড়িতে এসে পৌঁছেছেন। জানতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলেই ধান শুকানোর সময়, সব সময় আবহাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। কেননা হুট করে বৃষ্টি আসলে ধান ভিজে যাবে। গরম গরম সিঙ্গারার সাথে কাঁচা মরিচ এবং শসা আমারও খেতে অনেক ভালো লাগে। ডাক্তার বাবাকে ফলমূল খাওয়াতে বলেছে। এজন্য সব সময় ফলমূল এবং দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতেছি।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কদিন থেকে রোদটা কম উঠতেছে কিন্তু মারাত্মক রকমের গরম পড়েছে।শুধু আপনাদের প্রাণনাথ দেশের প্রতিটা গ্রামেরই একই অবস্থা, সামান্য বৃষ্টিতেই কারেন্ট চলে যায়।
ধানের জন্যতো রোদ অত্যন্ত জরুরী। আর রোদ যদি না ওঠে তাহলে আসলেই সমস্যা।
ধানের টেনশন মাথায় নিয়ে আপনও ল্যাবে গিয়েছিলেন। সেখানে সবাই মিলে সিঙ্গারাও খেয়েছেন। ফেরার পথে বাবার জন্য কলাও নিয়ে এসেছেন।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন সব সময়।
গত কয়েকদিন থেকে আবহাওয়া খারাপ কিন্তু তারপরও গরমের আভাস কমছেই না। আর ধান শুকানোর জন্য রোদ অত্যন্ত প্রয়োজন। আবহাওয়া খারাপের জন্য বাসায় ধার নিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়ে গেছি। বাবা আগের থেকে এখন অনেকটাই সুস্থ হয়েছে। তবে ডাক্তার একটু ফলমূল, দুধ, ডিম খাওয়াতে বলেছে।
আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠেই ধান মেলিয়ে দেন।এরপর আপনি ডিউটিতে জান।সেখানে যাওয়ার পথেই একটা পেশেন্টকে টাইফয়েড ইনজেকশন দিয়ে যান।এরপর সেখানে ডিউটি টাইমে তেমন কাজ না থাকায় পোস্ট লিখা শুরু করেন।এরপর গরম গরম সিঙারা খান।খাওয়ার সময় হলে খাওয়া করেন।সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেছেন।
গতদিনে ভালোই রোদ উঠেছ এজন্য সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ধান মিলিয়ে দিয়েছি। প্রতিদিন ডিউটিতে যাওয়ার পথে একজন রোগীর বাড়িতে গিয়ে টাইফয়েডের ইঞ্জেকশন দিয়ে দেই। আসলেই গরম গরম সিঙ্গারার স্বাদ একদম অন্যরকম।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য। আজ সকালে উঠেই ধানের কাজে মাকে কিছুটা সাহায্য করেছিলেন। বৃষ্টির মৌসুমে ধান শুকানো সত্যি বেশ কঠিন একটি কাজ। সবসময় তৈরি হয়ে থাকতে হয়, কখন বৃষ্টি আসে এই বলে।
ভাই প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও সকালের নাস্তা বাড়িতে সেড়ে ল্যবের উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলেন। ল্যাব যাওয়ার পথে একজন রোগীর বাসায় গিয়ে ইনজেকশন দিয়ে এসেছিলেন। এরপর ল্যাবে পৌঁছে আপনার কাজগুলো ঠিকঠাক মত করেছিলেন। দুপুরে সিঙ্গারা সাথে কাঁচামরিচ খেয়েছিলেন।
যাইহোক কাজ শেষে বাসায় পৌঁছে বাজারে গিয়েছিলেন। আপনার দেখানো কলাগুলো দারুন ছিলো। কলা গুলো মনে হচ্ছে একদম গাছ পাকা। এরপর চুল কাটিয়ে বাসায় আসেন। সব মিলিয়ে দিনটি দারুনভাবে উপভোগ করেছেন। ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা রইলো।
আসলেই ভাই বৃষ্টির দিনে ধান শুকানো অনেক কষ্টকর। সব সময় আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে হয় কখন বৃষ্টি আসবে। সকালে ধানের কাজগুলো শেষ করে ল্যাবে গিয়েছিলাম। হ্যাঁ ভাই কলা গুলো পাকা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাজারে গাছ পাকা কলা পাওয়া যায় না। পুরোটাই কারেন্টের হিট দিয়ে পাকানো।
আমার পোস্টে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।