Better Life With Steem | | The Diary Game | | 01 July, 2024

in Incredible Indialast month

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। নতুন একটা সকাল মানেই নতুন কিছুর সম্মুখীন হওয়া। সেটা থেকেই জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা নেওয়া যায়। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গতদিনের কার্যক্রম নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :

1_20240702_165531_0000.png

Edit by canva

আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতো গতকালকেও সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠেছি। এর আগেও অনেকবার বলেছি, প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠা যেন একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। যাইহোক, ঘুম থেকে উঠছি ঠিকই কিন্তু বাড়ির ধানগুলো নিয়ে বেশ টেনশনের মধ্যে রয়েছি।

প্রতিদিন যে হিসেবে বৃষ্টি হচ্ছে মনে হয় না, ধানগুলো শুকাতে পারবো। তবুও সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখেছি। গতদিনে সকালবেলা বৃষ্টি না হলেও আবহাওয়া খারাপ ছিল। আবহাওয়া খারাপ থাকার পরেও ধানগুলো বাইরের উঠানে জমা করে রেখেছি।

IMG_20240701_091806.jpg

কারণ একটু রোদ উটা মাত্রই যেন সাথে সাথে মিলিয়ে দিতে পারি। এদিকে মা সকালবেলা রান্নার কাজে বেশ ব্যস্ত ছিল। পরে আমি আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি গোসল করে ফ্রেশ হয়েছি। সকালে নাস্তা খাওয়ার মত তেমন সময় ছিল না। তাই মা'কে শুধু একটা আম কেটে দিতে বলেছি।

আলহামদুলিল্লাহ আম খেয়েই ল্যাবে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। যাওয়ার সময় মা'কে বলেছি, রোদ উঠলে যেন ধান শুকাতে দেয়। আর রোদ না উঠলে তো কিছুই করার নেই। আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ ভাবেই ল্যাবে পৌঁছে গিয়েছি। ল্যাবে প্রবেশ করে আমার যে, সকালের দৈনন্দিন কাজ সেগুলো আগে সেরেছি।

IMG_20240701_092618.jpg

কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারলাম আমাদের প্রতিষ্ঠান মালিকের বউ অনেক বেশি অসুস্থ। অসুস্থ হওয়ার কারণ হলো তিনি প্রেগনেন্ট ছিল। বেশ কয়েকদিন থেকে উনার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে গেছে।

কিন্তু গতদিন সকালবেলা নাকি অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে গেছিল। এজন্য আমাদের পার্শ্ববর্তী ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। উনার বাচ্চা হওয়ারও আর বেশি দিন সময় ছিল না। দোয়া করলাম যেন সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই হয়।

এদিকে সকালবেলা আমি বাসায় তেমন নাস্তা খেয়ে আসেনি। অনেক বেশি ক্ষুধা লেগেছিল। তাই সামনের হোটেলে গিয়ে ছোলা মুড়ি খেয়েছিলাম। খাওয়া শেষ না করতেই প্রতিষ্ঠানের মালিক ফোন দিয়ে বলল আপুর অবস্থা বেশি একটা ভালো না। তাই ওখান থেকে রিলিজ নিয়ে রংপুরে নিয়ে যেতে হবে।

IMG_20240701_113142.jpg

তাই আমি আর ফার্মেসীর ভাই দেরি না করে গাড়ি নিয়ে ল্যাম্প হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আপুর সঙ্গে একটু দেখা করেছি। ল্যাম্প হাসপাতালে বলেছে, যত দ্রুত সম্ভব ডেলিভারি করাতে হবে। ভাই আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি এম্বুলেন্সে আপুকে নিয়ে রংপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। পরে আমি এবং ফার্মেসির ভাই আবারো ল্যাবে চলে আসি।

ল্যাবে আসার পর মোটামুটি দুপুর হয়ে গিয়েছিল। পরে ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। দুপুরের পর হঠাৎ করে আকাশ অনেক বেশি অন্ধকার হয়ে এসেছিল। অন্ধকার হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অনেক জোরে বৃষ্টি শুরু হয়।

IMG_20240701_145516.jpg

তাই আমি মোটামুটি বিকেল পর্যন্ত শুয়ে রেস্ট করেছিলাম। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত ল্যাবে আর কোন কাজ হয়নি। এর মাঝে আমাদের প্রতিষ্ঠান মালিক ফোন দিয়ে বলল মেয়ে বাচ্চা হয়েছে। সেই সাথে মা এবং মেয়ে দুজনে সুস্থ আছে। আলহামদুলিল্লাহ। সন্ধ্যার পর কোন কাজ ছিল না তাই তাড়াতাড়ি ল্যাব বন্ধ করে দিয়েছি।

আলহামদুলিল্লাহ ল্যাব বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। বাসায় যাওয়ার পথে হালকা বৃষ্টি ছিল। ভাবলাম বাড়িতে যেহেতু যাচ্ছি, ভিজলে আর কি হবে। তাই ভিজেই বাড়িতে চলে গিয়েছি।

IMG_20240701_210040.jpg

বাড়িতে পৌঁছে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়েছি। ভিজেছিলাম এজন্য মা অনেক বেশি রাগ হয়েছিল। কারণ বর্তমানে আবহাওয়া অনেক খারাপ।পরে ফ্রেশ হয়ে বাসায় একটা চিপস নিয়ে আসা ছিল সেটা খেয়েছি। পরে মা এবং আমি রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।

ধন্যবাদ

Sort:  
 last month 

অবশেষে সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখলে কিছু হবে না, এবং আমি মনে করি দু-একদিনের ভিতরেই আবারো রোদের মুখ আমরা দেখতে পাব, আর দোয়া করি যাতে দ্রুত রোধ বের করে এবং আপনার দানগুলো খুব দ্রুত শুকিয়ে যায়।

 last month 

সৃষ্টিকর্তার উপরে আমাদের কারোর হাত নাই। সৃষ্টিকর্তা যদি এভাবে বৃষ্টি দেয় আমরা চাইলেও কিছু করতে পারবো না। তবে হ্যাঁ! সৃষ্টিকর্তার উপর আমরা সবাই ভরসা করতে পারি। এজন্য আমি অসুস্থ কথার উপরে ভরসা রেখেছি দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়। হ্যাঁ ভাই বাসায় ধানগুলো নিয়ে বেশ ঝামেলার মধ্যে আছি। দোয়া করবেন যেন ধানগুলো শুকাতে পারি।

আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

 last month 

একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে প্রতিদিন একটি সময় আমরা যদি ঘুম থেকে উঠি তখন আমাদের একটু অভ্যাস হয়ে যায় এটাই স্বাভাবিক। প্রতি দিন বৃষ্টি হলে মাঠে এখন ধান আছে অনেক মানুষের এবং ধান নিয়ে টেনশন হবে এটাই স্বাভাবিক।

যখন আমি বাংলাদেশের ছিলাম তখন আমাদেরও ধান গুলো নিয়ে আমি নিজে ও টেনসনে থাকতাম। কারণ যখন বৃষ্টি আসতো তখন ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করুন এবং সৃষ্টিকর্তার উপরে বিশ্বাস রাখুন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে এবং আশা রাখি ধান গুলো আপনি খুবই সুন্দর ভাবে বাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন।

 last month 

হ্যাঁ ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন, মানুষ হল অভ্যাসের দাস। কোন কাজ প্রতিদিন একই নিয়মে করলে সেটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়। বর্তমানে কয়দিন থেকে একটানা বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। আর আমাদের সিদ্ধ করা ধানগুলো নিয়ে বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছি।
সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখেছি, ইনশাআল্লাহ রোদ উঠবে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

Loading...
 last month 

আপনার মা সকাল বেলায় এমনিতেই রান্নাবান্না নিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে। তাই হয়তোবা নাস্তা তৈরি করতে পারে না। তবে আপনাদের ওখানে এখনো গাছের আম আছে জানতে পেরে ভালো লাগলো। আমাদের গাছের আম অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধুমাত্র কিনতে পাওয়া যায়।

প্রত্যেকটা মা চায় তার সন্তান ভালো থাকুক। আপনি যেহেতু ভিজে বাসায় ফিরে এসেছেন। তাই আপনার মা একটু রেগে গিয়েছিল। একদমই ঠিক কেননা বর্তমান সময়ের আবহাওয়া তেমন একটা ভালো না। আশা করি আপনি ভালো আছেন। ধন্যবাদ আপনার ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 last month 

আমিও এর আগে আপনার বিগত পোস্টে পড়েছিলাম নতুন আমের কথা। আপনাদের ওদিকে যখন আম পাকা শুরু হয়েছে তখন আমাদের এদিকে অনেক ছোট ছোট আম ছিল। আর আমাদের বাসায় যে গাছগুলো রয়েছে সেগুলো সবার শেষে পাখা শুরু হয়।
আসলে সেদিন একটু অনেক জোরে বৃষ্টি এসেছিল তাই ভিজেই বাসায় গিয়েছিলাম। এর জন্যই মারা গিয়েছিল। কারণ বর্তমানের আবহাওয়া ভালো নয়।

 last month 

ভাই এখনো ধানের কাজ চলছে যে আকাশের অবস্থা ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।। শুনে খারাপ লাগলো আপনার মালিকের স্ত্রী অসুস্থ তাকে রংপুর পাঠিয়ে দিয়েছে।। দোয়া রইল তার জন্য সৃষ্টিকর্তা যেন সকল কিছু সমাধান করে দেয়।।

 last month 

ভাই আমাদের আগের ধানের কাজগুলো শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু ঈদের আগে বেশি সময় ছিল না এজন্য বেশি চাল করতে পারেনি। তাই চিন্তা করছিলাম ঈদের পরে চাল করব। কিন্তু ঈদের পরে ধান সিদ্ধ করে যে ঝামেলায় পড়েছি ভাই যা বলার মত নয়।
হ্যাঁ ভাই আমার মালিকের বউ হঠাৎ করে এরকম অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। পরে ইমারজেন্সি থাকে ল্যাম্প হাসপাতাল থেকে রংপুরে পাঠিয়েছে।

আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

 last month 

এইজন্য আবহাওয়া দেখে ধান সিদ্ধ করতে হয় ভাই আর এরকম অবস্থায় আমরা একটা সময় করেছিলাম পরে সেই ধানগুলো নিচে দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছি।।

 last month 

কত কষ্ট করে আমাদের ফসল ফলাতে হয় আর বৃষ্টির কারনে যদি সেগুলো সঠিকভাবে ঘরে তুলতে না পারা যায় তাহলে সেটা সত্যি দুঃখের বিষয়। আপনারাও এমন পরিস্থিতে পড়েছেন। সৃষ্টিকর্তার উপর কারো হাত থাকে না। আপনার প্রতিষ্ঠানের মালিকের বউ খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে, আশা করি উনি সুস্থ হয়ে উঠবে।

 last month 

আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই, আমাদের সবকিছু সৃষ্টিকর্তার হাতে। এখানে আমরা চাইলেও কোন কিছু করতে পারবো না। কিন্তু হ্যাঁ অনেক কষ্ট করে ধান আবাদ করার পর যদি এরকম নষ্ট হয়ে যায় আসলেই সেটা কষ্টকর।
সেদিন হঠাৎ করে আমার প্রতিষ্ঠান মালিকের বউ অনেক বেশি অসুস্থ হয়েছিল। পরে ল্যাম্প হাসপাতাল থেকে ইমারজেন্সি রংপুরে নিয়ে যেতে বলেছে

আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ।

 last month 

ভাই প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য প্রথম আমি দোয়া করি আপনার মালিকের বউ যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।

সন্তান জন্ম গ্রহণের আগে যদি মায়ের শরীর দুর্বল হয় তাহলে অনেক সময় অনেক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়।

 last month 

সেদিনের সকাল বেলাটা অন্যান্য দিনের মতোই ছিল। কিন্তু ডিউটিতে আসার পর হঠাৎ করে জানতে পারি আমাদের প্রতিষ্ঠান মালিকের বউ অসুস্থ হয়েছে। পরে আমাদের পার্শ্ববর্তী ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে আস্তে আস্তে অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে তাই রংপুরে পাঠানো হয়েছিল।
আলহামদুলিল্লাহ বাচ্চা এবং মা দুজনই সুস্থ ছিল।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

 last month 

প্রতিদিনের মতোই ঘুম থেকে উঠে ল্যাবে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। সময় ছিল না বলে আম খেয়ে কাজে গিয়েছেন। কিন্তু কাজে যাওয়ার পরে খিদে পাওয়ায় ছোলা মুড়ি কিনে খেয়েছেন।

আসলে কদিন থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে যাদের ধান কিংবা অন্য কোনো ফসল শুকাতে হয় সেগুলি রোডের অভাবে শুকাতে না পেরে নষ্ট হওয়ার একটা ভয় থাকাটাই স্বাভাবিক।
হাসপাতাল মালিকের বৌ ও বাচ্চা দুজনেই সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো।
বাসায় এসে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন।

 last month 

সকালবেলা হালকা নাস্তা খাওয়ার পর ল্যাবে আসার পর ক্ষুদা লেগেছিল। তাই সামনের বাজারে গিয়ে ছোলা মুড়ি খেয়েছিলাম। বর্তমান তো বর্ষাকাল সময় আর এভাবে একটানা বৃষ্টি হওয়াটাও স্বাভাবিক। কিন্তু এত বেশি বৃষ্টি হওয়াও আবার ভালো নয়।
এভাবে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমাদের ধানগুলো প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে।
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিষ্ঠান মালিকের বউ এবং বাচ্চা দুজনেই সুস্থ ছিলেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60699.39
ETH 2655.06
USDT 1.00
SBD 2.59