কাঁচা আমের ভর্তা বানানোর রেসিপি
আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন। বর্তমানে এই ঝড় বৃষ্টির দিনে বিদ্যুৎ এবং নেটওয়ার্কের জন্য বেশি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে, শহরের থেকে গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুতের বেশি সমস্যা দেখা দেয়। এই ঝড় বৃষ্টির মাঝেও আমরা এখনো সুস্থ আছি, এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে কাঁচা আম ভর্তার রেসিপি শেয়ার করব। তাহলে বন্ধুরা কিভাবে কাঁচা আম দিয়ে ভর্তা বানানো হয়, কথা না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক :
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
আমরা কমবেশি সবাই কাঁচা আম ভর্তা বানানোর রেসিপি সম্পর্কে জানি। আর আম ভর্তা বানাতে খুব বেশি একটা উপকরণ প্রয়োজন হয় না। আমাদের ছেলেদের থেকে মেয়েরা এই আম ভর্তা অনেক বেশি পছন্দ করে।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কাঁচা আম | ৪ টি |
লবন | ২ চামুচ |
চিনি | ২ চামুচ |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
সরিষার তেল | ২ চামুচ |
কাঁচা আম দিয়ে ভর্তা বানানোর পদ্ধতি :
ধাপ- ১:
প্রথমে গাছ থেকে ভালো কাঁচা আম পেড়ে নিতে হবে। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কাঁচা আমগুলো যেন খাওয়ার মত উপযুক্ত হয়।
ধাপ- ২:
গাছ থেকে কাঁচা আম পাড়ানোর পর সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। আম ধোয়ার পরে সেগুলোর খোসা ছিলতে হবে। ছিলানো শেষ হয়ে গেলে আবারো পরিপূর্ণভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ধাপ- ৩:
এইবার ছিলানো আমগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। এমনভাবে কুচি করতে হবে যেন খাওয়ার মত উপযুক্ত হয়। অনেকে আছে অনেক বড় বড় করে কিচি কুচি করে। আমরা যেহেতু ভর্তা বানাবো এজন্য ছোট ছোট করে কুচি করেছি। তবে আমাদের কাছে কুচি করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ছিল। এজন্য অল্প সময়ে কুচি করতে পেরেছি। কারণ হাত দিয়ে কুচি করতে বেশ সময় লাগতো।
ধাপ- ৪:
এরপর সব আম কাটা শেষ হলে, শুকনা মরিচের গুড়া আর সরিষার তেল একসঙ্গে মিক্সড করতে হবে। পরে প্রয়োজন মত সেখানে লবণ দিতে হবে। অনেকেই আম ভর্তার সাথে চিনি খেতে পছন্দ করে না। কিন্তু আমরা আম ভর্তায় একটু চিনি দিয়েছি।
ধাপ- ৫:
পরে আমের কুচি গুলো মরিচের গুঁড়া ও সরিষার তেলের সাথে ভালোভাবে মিক্সড করেছিলাম। তবে অনেকে কাঁচামরিচ দিয়ে আম ভর্তা করে থাকে। কিন্তু আমাদের কাছে কাঁচা মরিচ ছিল না। এজন্য শুকনা মরিচ দিয়ে করেছি।
মিক্সড করার পর ভালোভাবে চেক করে দেখেছিলাম, লবণ এবং ঝাল ঠিক আছে কিনা। কারণ ভর্তা এমন একটি জিনিস লবণ ঝাল একটু কম বেশি হলে আর খাওয়া যাবে না। মিক্সড করার পর আম ভর্তার কালার দেখতে একদম অন্যরকম হয়েছিল।
ভর্তা মিক্সড করার পর আমরা কিছুক্ষণ রেখে দিয়েছিলাম। আমি অনেকের কাছেই শুনেছিলাম, ভর্তা বানানোর পর কিছুক্ষণ রেখে দিলে, পরে সেই ভর্তা খেতে নাকি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়।
ধন্যবাদ
মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর আমরা সবাই নিজ নিজ প্রিজে নিয়েছিলাম। সত্যিই আম ভর্তাটা খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। আমরা মূলত ল্যাবে সবাই মিলে এই আম ভর্তা খেয়েছিলাম। অনেকদিন পর এভাবে সবাই মিলে আম ভর্তা খেয়ে বেশ ভালোই মজা করেছি।
তো বন্ধুরা আমার আম ভর্তার রেসিপি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো। অবশ্যই মতামতে জানাবেন।
আজ আপনি আমাদের মাঝে কাঁচা আমের ভর্তা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। সত্যি বলতে আমি টক খাবার তেমন পছন্দ করি না, তবে টক জিনিস দেখলে সবারই জিভে জল চলে আসে।
বাড়িতেউ হাতের কাছে সহজে পাওয়া যায় এমন উপকরণ দিয়ে আমের একটা রেসিপি প্রস্তুত করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কাচা আম যেহেতু অনেক টক তাই একটু চিনি দিয়ে খুব ভালো করেছেন। আর তাছাড়া আপনি পোস্টএি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সত্যি কথা বলতে আমিও টক তেমন একটা পছন্দ করি না। কিন্তু অনেকদিন পর সবাই মিলে ল্যাবে ভর্তা বানিয়ে ছিলাম। এজন্য অনেক মজা করে খেয়েছি। আর আমরা সবাই জানি, কাঁচা আম অনেক টক। এ জন্য আমরা একটু চিনি দিয়েছিলাম যেন টক কম লাগে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাড়িতে যতই কাঁচা আমের পদ বানাক না কেন আমি সেটা খাই না কারন টক খেতেই পারি না। আপনিও পছন্দ করেন না তবে সবাই মিলে মজা করে খেয়েছন জেনে ভালো লাগলো। কাঁচা আমতো টক হবেই। অনেকে আমাকে টক রান্না করে তাতেও চিনি দেয় টক কমানোর জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার কাজ আমি রেসিপিটি দেখে সত্যিই জিভে জল চলে আসলো। আমাদের তো সময়ের অভাবে বানানো হয় না। কোন ছোটবেলায় খেয়েছি এখন আর খাওয়া হয় না। আপনার পোস্টটি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।
ছোটবেলায় আমরা কমবেশি সবাই বিভিন্ন রকমের জিনিস খেতাম। কিন্তু এখন সময়ের তাগিদে আর সেসব খাওয়ার সুযোগ হয় না। যেকোনো টক খাবার এমন একটি জিনিস শুনলেই কেন জানি জিভে জল চলে আসে। তবে অনেকদিন পর আমের ভর্তা বানিয়ে সবাই মিলে অনেক মজা করে খেয়েছিলাম।
আমার পোস্টটে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আম ভর্তা বর্তমান সময়ে আমরা কম বেশি সবাই অনেক বেশি পছন্দ করি। আর অতিরিক্ত ঝাল দিলে আম ভর্তা খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি খুব চমৎকারভাবে আম ভর্তা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তবে আমরা আম ভর্তা তৈরি করার ক্ষেত্রে, অন্য যেকোনো ধরনের আচার ব্যবহার করার চেষ্টা করি। এতে করে খেতে অনেক বেশি মজা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আপনি ঠিকই বলেছেন, যেকোন আমের আচার বা ভর্তা খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে। যদিও জানি যেকোন আচার বা ভর্তা ঝাল ঝাল করে খেতে ভালো লাগে। কিন্তু আমগুলো অনেক টক ছিল এজন্য আমরা চিনি দিয়েছিলাম। অনেকদিন পর এভাবে ল্যাবে আমের ভর্তা খেয়ে বেশ ভালই লেগেছিল ।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি কাচা আমের ভর্তা বানানোর রেসিপিটি খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।এটি দেখতেও মাশাআল্লাহ অনেক লোভনীয় হইছে।চিনি, তেল,শুকনো লঙ্কা এসবের মিক্স করে খুব সুন্দরভাবে রেসিপিটি বানিয়েছেন।আমিও গতকাল আমের ভর্তা করেছিলাম।বন্ধুদের নিয়ে খেয়েছি।আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটা টপিক নিয়ে কথা বলার জন্য।
কাঁচা আমের ভর্তা কম বেশি সবাই পছন্দ করে থাকে। আমের ভর্তাটি আসলেই দেখতে অনেক লোভনীয় ছিল। বিশেষ করে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ভর্তা বানালে বেশি সুস্বাদু হয়। কাঁচা আম যেহেতু টক এজন্য আমরা চিনি দিয়েছিলাম। বাহ! আপনারা বন্ধুরা মিলে আমের ভর্তা খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য এত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কাঁচা আমের ভর্তা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার বানানো দেখি জিভে পানি চলে আসলো। আমি আসলে আম ভর্তা একটু ভিন্নভাবে বানাই। কাঁচা মরিচ,গুড়া দুধ, লবণ ও চিনি দিয়ে বেশ ভালো করে মেখে আম ভর্তা আমার খুব পছন্দ।
যদি কখনো সুযোগ হয় এভাবেও বানিয়ে দেখবেন।খেতে ভালই লাগে।
তবে আপনার বানানো আম ভর্তাও খুবই লোভনীয় হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার পোস্টের জন্য।
আসলেই টক এমন একটি জিনিস নাম শুনলে কেন জানি সবার জিভে জল চলে আসে। আমাদের এদিকে আমরা শুকনা মরিচ, লবণ, চিনি ও সরিষার তেল দিয়ে বানিয়ে থাকি। তবে আম ভর্তা যে গুড়া দুধ দিয়ে বানায় আপনার মন্তব্য পরে বুঝতে পারলাম। আমি একদিন গুড়া দুধ দিয়ে আম ভর্তা খেয়ে দেখব কেমন লাগে।
সুন্দর অভিমত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আম মাখার ছবি দেখার পরে জিহ্বাতে পানি চলে এসেছে। আমরা আপনার মত করে কুচি কুচি করেই আম মাখি তবে সরিষার তেল দেই না কখনো কিংবা কাউকে দিতেও দেখি নাই।
আমাদের এলাকাতে কাসুন্দি দেয় আম মাখা বানাতে। তবে সরিষার তেল দিয়েও নিশ্চয়ই ভালোই লাগবে খেতে। একদিন আপনার রেসিপি ফলো করে আম মাখা খেয়ে দেখব কেমন লাগে।
চমৎকার করে আম মাখার এই প্রনালীটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আম ভর্তা কম বেশি সবারই অনেক পছন্দের একটি খাবার। ঠিকই বলেছেন সব জায়গায় এরকম আম কুচি কুচি করে ভর্তা করে। তবে আমাদের এই দিকে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে যেকোনো আচার বা ভর্তা বানায়। আপনাদের ওইদিকে হয়তো কাসুন্দি দিয়ে বানায়। আপনাদের ওদিকের মত করে আমিও একদিন কাসুন্দি দিয়ে আম ভর্তা বানিয়ে খেয়ে দেখব, কেমন লাগে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন সবার তো লোভ লাগিয়ে দিয়েছেন,
প্রচন্ড গরম এরকম টক মাখা হয় তার উপরে আবার আম ভর্তা। সব মিলিয়ে অস্থির অবস্থা। আমার তো দেখে এই জিভে পানি চলে এসছে।
প্রতিবারই কমবেশি অনেক বার আম ভর্তা খাই তবে এবার একটু খুব কম খাওয়া হয়েছে।। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
যেকোনো আচার বা আম ভর্তা এরকম টক জাতীয় খাবার কম বেশি সবাই পছন্দ করে। তবে আমার কাছে মনে হয় ছেলেদের থেকে মেয়েরা এসব বেশি পছন্দ করে। এভাবে কাঁচা আম দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খেতে আমার খুব ভালো লাগে। সত্যিই সেদিনের আম ভর্তাটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বর্তমান সময়টাই হলো কাচা আম আর পাকা আম তবে আপনার তৈরি করা কাচা আমের ভর্তার রেসিপিটা অনেক সুন্দর হয়েছে ৷
তারপর ভর্তার রেসিপি তে সব ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি করেছেন যেটা দেখে বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে ৷
যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
জ্বী ভাই! বর্তমানে চারদিকে কাঁচা আমের মৌসুম চলতেছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় আম পেকেও গেছে। কাঁচা আম এভাবে ভর্তা বানিয়ে খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। এভাবে ভর্তা বানানোর প্রধান উপকরণ হলো খাটি সরিষার তেল। আহ! খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ভর্তা বানালে ঘ্রানটাই যেন অন্যরকম লাগে।
আমার পোস্ট পড়ে সুন্দর গন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।