কলেজ জীবনের বিদায়ের শেষ দিন | | ২৯-১২-২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে আমি সবার প্রিয় কমিউনিটিতে ছোট্ট একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলো:আমার গতদিনের কার্যলিপি নিয়ে।তাহলে বন্ধুরা চলুন আজকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক:
প্রতিদিনের ন্যায় আমি গতকালকেও খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। এত ভোরে ঘুম থেকে উঠার একটা বিশেষ কারণ রয়েছে। কারণ আজকে আমার ভাইবা পরীক্ষা আছে। আজকে শেষ ভাইবা পরীক্ষা। আমি ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে বই পড়তে বসেছিলাম। সকালে তেমন খাওয়ার মত কোন কিছুই ছিল না। আমি একটানা সকাল ৮:০০ টা পর্যন্ত বই পড়েছিলাম। আমার ভাইবা পরীক্ষা সকাল ৯ টায় শুরু হবে। আমি ৮:০০ টার মধ্যে আমার সব পড়া শেষ করে, হালকা একটু নাস্তা খেয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। কলেজে গিয়ে আমি আবারো সব পড়া রিভিশন করেছিলাম। লিখিত পরীক্ষার থেকে ভাইবা পরীক্ষার টেনশন টা একটু বেশিই হয়। কারণ লিখিত পরীক্ষায় কিছু না কিছু লেখা সম্ভব হয়। কিন্তু ভাইবা পরীক্ষার তেমন কোনো সুযোগই থাকে না।
ঠিক সকাল ৯ টার মধ্যে আমাদের ভাইবা পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। স্যার তিনজন করে স্যারের রুমে যেতে বলে। একের পর এক যাওয়ার পর আমার রোল আসলে আমিও পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্যারের রুমে প্রবেশ করি। আলহামদুলিল্লাহ আমার ভাইবা পরীক্ষাটি খুব সুন্দর ভাবে হয়েছে। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমার সব পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল। যদিও মাথার মধ্যে থেকে একটা টেনশন কমে গেল কিন্তু তার থেকে বড় একটি চিন্তা বা খারাপ লাগা মনের ভেতর কাজ করতেছে। কারণ আমাদের সবার পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে সবাই বিভিন্ন জায়গায় চলে যাব। বলতে গেলে এটাই আমাদের সবার সাথে শেষ দেখা এবং বিদায়। একে একে সবার ভাইবা পরীক্ষা হয়ে গেলে আমরা সবাই মিলে আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রতিটা স্যারের রুমে গিয়েছিলাম।
ডিপার্টমেন্টের প্রতিটা স্যারের রুমে গিয়ে স্যারদেরকে আমরা দাওয়াত দিয়ে এসেছিলাম। কারণ আমাদের বিদায় উপলক্ষে এবং শেষ ক্লাস উপলক্ষে আমরা কেক কাটার ব্যবস্থা করেছিলাম এবং আমাদের ডিপার্টমেন্টের সব স্যারদের জন্য সম্মাননা স্মারক ক্রেসের ব্যবস্থা করেছিলাম। স্যারদেরকে বলা শেষ হয়ে গেলে আমরা সবাই মিলে কেক কাটার জন্য সব কিছু রেডি করে নিয়েছিলাম। এর মাঝেই স্যাররা আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গিয়েছিল। তারপর প্রতিটা স্যারেরা আমাদের ভবিষ্যৎ এবং কর্মজীবনে যেন সফল হতে পারি এসব উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদেরকে অনেক কথাবার্তা বলে। আমরা স্যারের কাছে শেষ বিদায় অনুযায়ী দোয়া চেয়েছিলাম যেন আমরা সবাই সফল হতে পারি। এসব কথাবার্তার মাঝেই আমাদের অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে যায়।
আসলে বিদায় কথাটির অর্থ অনেক গভীর। যার গভীরতা মেপে শেষ করা যাবে না। স্যারদের কথা শেষ হয়ে গেলে আমরা আমাদের প্রিয় স্যারদের জন্য যে ক্রেসের ব্যবস্থা করেছিলাম সেগুলো স্যারদের হাতে সুন্দরভাবে তুলে দিয়েছিলাম। সব স্যারেরা অনেক খুশি হয়েছিল। সব কাজ শেষ করে, আমরা কেক কাটার আয়োজনটি শুরু করেছিলাম। তারপর স্যাররা কেক কেটে আমাদের শেষ ক্লাসের আয়োজনটি পরি সমাপ্তি করে। তারপর আমরা সবাই মিলে অনেক গ্রুপ ছবি তুলেছিলাম। আমাদের বলতে গেলে সবার সাথে এটাই শেষ সময় এবং শেষ স্মৃতি। সবাই যেন কর্মজীবনে সফল হতে পারি এই দোয়া চেয়ে আজকে এখানেই শেষ করছি।
দিনটা ছিল আপনার কলেজ জীবনের শেষ দিন।আপনি তো দেখি ভাইবা পরীক্ষার জন্য একটানা সকাল পর্যন্ত পড়েছেন।এর পর হালকা নাস্তা করে ৯ টায় ভাইবা পরীক্ষার উদ্দেশ্য কলেজে গিয়ে আবার পড়া রিভিশন দিলেন। আসলে ঠিক বলেছেন লিখিত পরীক্ষা সুযোগ থাকে ভাইবা পরীক্ষা সুযোগ থাকে না এজন্য ভাইবার জন্য আগে হতে প্রস্তুতি নেওয়া।যাইহোক আপনি কলেজে গিয়ে ভাইবা থেকে শুরু করে আপনার ক্লাসমেট ও শিক্ষকদের সাথে এক পর্যায় একটা স্মৃতি হিসাবে সবাই মিলে ছবি তুলেছেন। সব মিলে ভালো হয়েছে।কলেজ লাইফের শেষের দিনের অনুভূতি অনেক হাসি এবং দুঃখের থাকে। মানুষ খুশি হয় কারণ কলেজ লাইফ শেষ তারা এখন ভার্সিটি লাইফে যাবে আর অপরদিকে তাদের খারাপ লাগে কারণ তারা কলেজ লাইফের বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ বন্ধুরাই কলেজ লাইফের শেষে কর্মজীবনে যোগ দেয়। তাই আপনি কলেজ শেষ হলো পরবর্তীতে ভালো কিছু করেন এই প্রত্যাশা রাখি।আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করে কলেজ জীবনের স্মৃতি মনে করে দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার পোস্ট পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
পরীক্ষা থাকা মানে মাথার উপর বড় একটা টেনশন ভর করা। তবে লিখিত পরীক্ষা তেমন একটা ভয় থাকে না। না পারলেও এবং কমন না পরলোও মোটামুটি করে লেখাই যায় । কিন্তু ভাইবা পরীক্ষাটা একটু অন্যরকম । তবু আপনার পরীক্ষা ভালো হয়েছে শুনে খুশি হলাম আলহামদুলিল্লাহ । পরীক্ষা শেষ হলো মানে কলেজ জীবন থেকেও বিদায় নেওয়া হলো। কলেজ থেকে বিদায় হওয়ার জন্য স্যারদের জন্য কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলেন। স্যারদের জন্য কেক এবং ক্রেসের ব্যবস্থা করেছিলেন। তারপর তাদের হাতে ক্রেসের তুলে দিলেন তারপর সবাই মিলে কে কাটলেন এবং ছবি তোলেন।
থ্যাংক ইউ আপনার কলেজের বিদায়ের মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ভাইবা পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার শিক্ষাজীবন শেষ হতে চলেছে। তাই আপনি যথেষ্ট এক্সাইটেড ছিলেন। ভাইভা পরীক্ষাটি আপনি সুন্দর ভাবে দিতে পেরেছেন। এরপরে কেক কেটেছেন এবং শিক্ষকদেরকে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেছেন। অতঃপর আপনি বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায়ও নিয়েছেন। আপনি জানেন যে বন্ধুরা সবাই একেক জন একেক দিকে কর্ম ব্যস্ততায় চলে যাবে। তখন হয়তো আর কারো সাথে সেভাবে দেখা হবে না। এ বিষয়গুলো আপনার খুব মনে পড়ছিল। অতঃপর শিক্ষকদের জ্ঞান গম্ভীর কথাও আপনি শুনলেন। সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত একটি দিন আপনি পার করলেন। আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়লাম।ভালো লাগলো পড়ে।
আপনার শেষ ভাইবা পরীক্ষাটা ভালো হয়েছে জেনে খুব খুশি হলাম। তবে আপনি অনেকটাই ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আছেন এটা বেশ বুঝতে পারছি কারণ আপনার কলেজ জীবনের শেষ দিন ছিল ঐ দিন। কলেজের শেষ দিন এর কাটানো মুহূর্তগুলো আপনার স্মৃতির পাতায় রয়ে যাবে এই ছবিগুলোর মাধ্যমে। এবার আপনি কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চলেছেন। আমার তরফ থেকে আপনার জন্য অশেষ শুভকামনা রইল।
আজকে আপনাদের কলেজ জীবনের শেষ দিন এবং ভাইভা পরীক্ষা শেষ। আজকে আপনারা বিদায় নিয়ে কলেজ থেকে বের হয়ে গিয়েছেন। সেই সাথে আপনারা কেক কেটে এই দিনটাকে উদযাপন করেছেন।
আসলে বিদায় শব্দটা ছোট্ট হলেও এর ভেতরে লুকিয়ে থাকে অনেক দুঃখ। কেননা যাদের সাথে এতদিন পড়াশোনা করেছেন, সবাইকে ছেড়ে নিজের চাকরির জীবনে পদার্পণ করতে হবে। চিন্তা করবেন না বন্ধুত্ব যদি সঠিক থাকে, কোন না কোন একদিন অবশ্যই দেখা হবে।
আর আমাদেরকে প্রত্যেকটা জায়গা থেকে বিদায় গ্রহণ করতে হবে। একটা সময় আমরা আমাদের জীবন থেকেও বিদায় নিয়ে নেব। ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের বিদায়ের মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে। মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকে বেশ সকালেই উঠেছিলেন ঘুম থেকে কারন আজকে আপনাদের শেষ ভাইবা ছিলো। আপনার ভাইবা ভালো হয়েছে আল্লাহর রহমতে। এরপর আপনারা আপনাদের ডিপার্টমেন্ট এর টিচারদের সাথে নিয়ে কেক কাটেন। সেই সাথে টিচারদের ক্রেস্টও দেন।
চমৎকার করে আপনি আপনার শেষ দিনের কথা শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য
প্রিয় ভাই বিদায়ের দিনটি আমাদের জীবনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। কলেজের প্রতিটি দিন যেমন স্মরণীয়, তার থেকে বিদায়ের দিনটি বিশেষ স্মরণীয়। এত বছরের মায়া কাটানো সত্যি বিরাট এক ব্যাপার। যাইহোক সময় তো আর থেমে থাকে না। একদিন সবকিছুকেই বিদায় বলতে হয়।
আপনার ভাইবা পরীক্ষা ভালো হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। দিনটিতে আপনি সহ অন্যরা অনেক মজা করেছেন। কেক কেটেছেন দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য। সব মিলিয়ে সবকিছু দারুণ ছিলো।
ভালো থাকবেন ভাই। ধন্যবাদ।
দিনটা ছিল আপনার কলেজের বিদায় অনুষ্ঠান। পরীক্ষা মানে অনেক টেনশন মাথার উপরে টেনশন ভর করা। সকল দুঃখ কষ্ট হাসি বেদনা নিয়ে সবার থেকে বিদায় দিতে হয়। যদিও কষ্টের মুহূর্ত তারপরে অসাধারণ একটি দিন পার করেছেন। আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করে কলেজ জীবনের স্মৃতি মনে করে দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে। সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
স্মৃতির পাতা স্মরণীয় হয়ে থাকার মত আজকের আপনার এই দিনটি।
এমনটাই তো হয় কিন্তু স্মৃতির পাতায় রয়ে যাবে। সবকিছু। বিদায় উপলক্ষে কেক কেটেছেন এবং আপনার শিক্ষকের মূল্যবান বক্তব্য শুনেছেন একটু শোন আমাদের জন্য খুবই জরুরী। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
আমার পোস্ট পরিদর্শন করে। মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।