সুন্দর মুহূর্তময় একটি দিন
আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সুন্দর মুহূর্তময় একটি দিন নিয়ে। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক :
আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের মতোই সেদিনের সকালবেলাটাও স্বাভাবিক ছিল। দিনটি ছিল ১৮ই জুলাই। সেদিন যদিও আমার ল্যাবে ডিউটি ছিল। কিন্তু আগের দিন রাতে আমি একদিন ছুটি নিয়েছিলাম। ছুটি নেওয়ার পিছনে অবশ্য একটা কারণ ছিল। শুধু আমি নই, আমার পাশাপাশি আমার আপুও একদিন ছুটি নিয়ে বাসায় এসেছিল।
কিন্তু সেদিন থেকেই বাংলাদেশে প্রথম নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বন্ধ হয় এবং আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের প্রথম দিন ছিল বিধায়, সেদিন সকালবেলায় রাস্তাঘাটে তেমন সমস্যা ছিল না। যাইহোক, আমাদের বাড়িতে একটি বিশেষ কাজ ছিল। বিশেষ কাজ বলতে, আপুর জন্য স্বর্ণ বানাতে দিব।
আমার মা, আমি এবং আপু সবাই মিলে পার্বতীপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। যাওয়ার পথে আমার ফুপুর বাড়ি ছিল। পরে ফুপুকে সাথে নিয়েই পার্বতীপুর বাজারে গিয়েছি। সেদিন অত্যধিক পরিমাণ গরম ছিল,যা বলার মত নয়। আমাদের আগে থেকে একটি স্বর্ণের দোকান পরিচিত ছিল। তাই সর্বপ্রথম সেখানেই চলে গিয়েছি। সবাই গরমে একদম ঘেমে গিয়েছিলাম।
পরে আমি সবার জন্য ঠান্ডা পানি কিনেছি। স্বর্ণের দোকানে আমার আপু, ফুফু এবং মা এক এক করে স্বর্ণ পছন্দ করতে থাকে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি, বাংলাদেশে বর্তমান স্বর্ণের দাম একদম আকাশ ছোঁয়া। যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাইহোক, সবাই মিলে দেখে শুনে আপুর জন্য স্বর্ণ পছন্দ করেছিলাম। স্বর্ণ পছন্দ করে মা দাম করার দায়িত্বটা অবশ্য আমাকেই দিয়েছিল।
পরে সেখান থেকে বের হয়ে আরো একটি স্বর্ণের দোকানে গিয়েছিলাম। অন্য দোকানে গিয়ে আপুর জন্য গলার চেইন পছন্দ করেছি। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল, কিন্তু দামটা ছিল একদম সাধ্যের বাইরে। তবে সব কিছুরই যেভাবে দাম বেড়েছে, সেক্ষেত্রে স্বর্ণের দাম না বাড়ার কি আছে। যাইহোক, সবকিছু দেখে শুনে পছন্দ করে অর্ডার করেছিলাম।
তখন মোটামুটি দুপুর হয়ে গিয়েছিল। আমি আবার বাড়ি থেকেই একটা চিন্তা করে বের হয়েছিলাম। বাজারে গিয়ে আমার আপুকে একটা ঘড়ি কিনে দিবো। তাই স্বর্ণের কাজ শেষ করে ঘড়ির দোকানে গিয়ে আপুকে ঘড়ি কিনে দিয়েছি। বলতে গেলে, ছোট ভাই হিসেবে বড় আপুকে গিফট করেছি। যদিও আপু নিতে চাচ্ছিল না, কিন্তু আমি জোর করে কিনে দিয়েছি।
পরে সবাই মিলে হোটেলে গিয়ে নাস্তা খেয়েছিলাম। নাস্তা খাওয়া শেষ করা মাত্রই অনেক জোরে বৃষ্টি এসেছিল। বৃষ্টি শুরু হওয়া মাত্রই যেন গরমের তাপমাত্রা আরো বেড়ে গিয়েছিল। মোটামুটি ২০ মিনিটের মত বৃষ্টি হওয়ার পর আবহাওয়া ঠান্ডা হয়েছিল।
পরে আর তেমন কাজ না থাকায় বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। সেদিনের কাটানো মুহূর্তটা আমার কাছে খুব ভালোই লেগেছিল। বিশেষ করে, ছোট ভাই হয়ে বড় আপুকে কিছু দিতে পেরেছি এজন্য আরো বেশি ভালো লেগেছিল।
Sort: Trending
Loading...