সুন্দর একটি বিকেল বেগম রোকেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে
হ্যালো বন্ধুর,
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ,
হিন্দু ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জন্য আদাব,
এবং অন্যান্য ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জন্য শুভকামনা রইল।
আশা করি সকলেই ভাল আছেন।মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি।
বরাবরের এর মতো আজকেও আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি ব্লগ পোস্ট নিয়ে।
আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি বেগম রোকেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে (রংপুর) আমার কাটানো সুন্দর একটি বিকেল।দুইদিন আগে একটু কাজের জন্য রংপুর গিয়েছিলাম আমি। রংপুর গিয়ে আমি আমার এক বন্ধুর বাসায় উঠি। যে কাজের জন্য গিয়েছিলাম সকালেই বন্ধুকে সাথে নিয়ে সেই কাজ সেরে রুমে ফিরি এর পর ফ্রেশ হয়ে বের হই বন্ধু সঙ্গে এবং দুপুরের খাবার বাহিরে খাই দুইজনেই।
তারপর রংপুর পার্কের মোরে বসে চা খাই। এমন সময় হিমন নামে আরেক বন্ধুর সাথে দেখা।
তিনজনে অনেক গল্প করলাম আর চা শেষ করলাম।
একসময় তারা বল্লো রংপুরে আমাদের ফ্রেন্ডসারকেলের আরো কি কেও আছে। তখন সবাই বলে উঠলো আছে। পরে সবাই মিলে তাদের সাথে যোগাযোগ করলাম এবং সবাইকেই পার্কের মোর ডাকলাম আড্ডা দেওয়ার জন্য।
আমার চা খাইতে খাইতে খাইতে এক এক করে সবাই আসতে শুরু করলো।
প্রথমেই দেখতে পেলাম ছোট ভাই অন্তর কে। এসেই দূর থেকে বলে উঠলো কেমন আছো ভাই। অনেক দিন পর দেখা হলো। আমিও কাছে গিয়ে বুকে জরিয়ে ধরে বললাম ভালো রে তোর কি খবর।বল্লো আমার খবর ভালো ভাই।বললাম কি খাবি বল সে বলল এখন চা ছাড়া কিছুই খাব না। তার পর বন্ধু লিমন আসলো অর আসতে একটু দেরি হলো। লিমন অনেক টা দূরে থাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে এ থাকে সেখানে ফার্মাসিতে ইন্টার্নশিপ করতেছে।
আস্তে আস্তে ডিসকভারি আশা শেষ হয়ে গেল। এবার সবাই মিলে পার্কের মোরে হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম।
এরপর সবাই সহ সিদ্ধান্ত নিলাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এর ভেতরে মানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কিছুটা সময় কাটালে কেমন হয় বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিতরে প্রকৃতি খুবই সুন্দর। যেহেতু বাইরে প্রচন্ড গরম ছিল তাই বিশ্ববিদ্যালয় ভিতর গাছপালা আসন্ন ছায়া ভরপুর আড্ডা দিলে খারাপ হয়না এইভাবে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নাম্বার গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম।
গেট পারহে ভিতরে প্রবেশ করার পরপরই গেটের সামনে রাস্তাটার একটা ছবি তুলে নিলাম রাস্তাটা দেখতে বেশ সুন্দর ছিল।
এরপর কিছুটা রাস্তা পার হয়ে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের সামনে খেলার মাঠের দিকে গেলাম সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম ক্যাম্পাসের মধ্যে খেলাধুলা চলতেছে মাঠে দুটি দলের মধ্যে ক্রিকেট খেলা চলমান ছিল তখন সেই সময় এই ছবিটা তুলে নিয়েছিলাম।
খেলার মাঠে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমার খেলার মাঠের বিপরীত দিকে হাঁটতে থাকি সেখানে দেখতে পাই ছাত্র-ছাত্রীরা গ্রুপ স্টাডি করতে চাই সবুজ ঘাসের উপর বসে তাদের পড়াশোনার বিষয় ডিসকাস করতেছে। এখানে বড় বড় বিল্ডিং দেখা যাচ্ছে। এগুলো আবাসিক হল।
এরপর হাঁটার সময় দেখতে পাই রাস্তার পাশে বড় বড় বিল্ডিং ও বিল্ডিং এর সামনের সুন্দর সুন্দর ফুলের গাছ লাগানো এ বিল্ডিংগুলো ছিল বিভিন্ন বিভাগের প্রশাসনিক ভবন।
তারপর আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের সবথেকে ছায়া আসন্ন রাস্তায় প্রবেশ করি রাস্তার দুই পাশে সুন্দর সুন্দর গাছ লাগানো এবং রাস্তা টি ও ভীষণ সুন্দর প্রচন্ড রোদের তাপমাত্রা থাকার কারণে রাস্তায় হালকা বাতাসের মধ্যে ভালই লাগতেছিলো। রাস্তার দুই জন ছেলেকে দেখতে পাচ্ছেন তারা আমার বন্ধু রাজিব ও হিমন। তারা খুব ফিলিংস সে রাস্তায় হাঁটতে শুরু
করে আর আমরা বাকি সকলেই গল্প করতে করতে তাদের পেছনে পেছনে হাঁটতে থাকি।
তারপর রাস্তার দুই সাইডের বিভিন্ন প্রাকৃতিক ছবি তুলি।
এরপর তো সকলে মিলে গল্প-গুজব ও আড্ডার মাঝে হারিয়ে যাই। এবং এই গল্পগুজবের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় বসে গল্প করি চা কফি খাই এবং সেই সময় বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আর বেশি কিছু লিখছি না আবারও আপনাদের সাথে দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ পোস্ট নিয়ে।
আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি
আর বেশি কিছু লিখছি না।
সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি
আপনি সুন্দর একটি বিকেল উপভোগ করলেন ৷ বেড়াতে এসে বন্ধুদের সাথে দেখা তারপর আপনারা বন্ধুদের সহ চলে গেলেন ক্যাম্পাসে অনেক কিছু দেখলেন তারপর খেলার মাঠের দিতে গেলেন ৷ তারপর চারপাশের কিছু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ৷ বেশ ভালোই লাগলো আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
এই কলেজ সম্পর্কে আমি বইয়ের মধ্যে পড়েছিলাম কিন্তু আজকে আপনার পোষ্টের মধ্যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আমি কলেজের মধ্যে গিয়ে হাটাহাটি করছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে বেগম রোকেয়া কলেজের ফটোগ্রাফি এবং এত সুন্দর করে কলেজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সবসময় ভালো রাখুক সুস্থ রাখুক। ভালো থাকবেন।
প্রথমেই আপানাকে ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য।
খুব ভালো লাগলো ভাইয়া, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের সাথে আপনার কাটানো কিছু সেরা মুহুর্তের ঘটনা পড়ে। ৪বছর আগে আমারও ওই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কিছু সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছিলো।খুবই মনোরম পরিবেশ চারপাশে। ওখানকার সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্যে সবাই মুগ্ধ হবেই হবে।