শৈশবের খেলার সব হাস্যকর ও অদ্ভুত নিয়ম গুলো।
Edit by Canva |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
যদি আপনি শৈশবে কখন খেলতে গিয়ে ছোট হওয়ার কারনে দুধভাত হওয়া লেগেছে তা হলে আপনার শৈশব অনেক সুন্দর ছিল। শৈশবে খুব করে চাইতাম বড় হচ্ছি না কেন? কবে বড় হবো? বড় হলে সব কিছু নিজের মত করতে পারবো। আর বড় হতে হতে এত বড় হয়ে গেছি যে জীবনের গতিটাই হারিয়ে ফেলেছি। হায়রে আমার শৈশব কোথায় হারিয়ে গেল? কোথায় হারিয়ে গেল আমার সেই শৈশবের বন্ধু গুলো। আজ সবাই বড় হতে হতে কোথায় যেন হারিয়ে গেল।
এখনো সেই মাঠ রয়েছে কিন্তু শৈশবের সেই সময়ও নেই আর খেলার সাথী গুলো নেই। যখন বিকালে স্কুল শেষ করে কিংবা বন্ধের দিনে সব বন্ধু একসাথে মাঠে যেতাম তখন প্রথম কাজ পড়তো খেলোয়ার ভাগ করা ওইটা নিও হত মজার ঘটনা দুইজন থাকতো দল নেতা আর বাকিদের দুইজন দুইজন করে ভাগ করে বলা হত তোমরা নাম নিয়ে আস। কেউ ফলের নাম কেউ মাছের কেউ সবজির নাম কেউ পাখির না কেউ পশুর নাম নিয়ে আসতো আর বলতো।
ডাক ডাক বেলি, হাম্মার খেলি
কে নিবে আম, কে নিবে জাম
তখন দুই দলনেতা একজন বলতো আমি আম নিবো, আরেক জন বলতো আমি জাম নিবো। এইভাবে একে একে সবাই নাম ডেকে আসতো আর দলনেতারা একজন একজন করে দলে টেনে নিত। এইভাবে দল ভাগ করা হত। দল ভাগ করা শেষে আসতো এবার মূল আকর্ষন হল খেলার নিয়মাবলি। সব অদ্ভুত আর হাস্যকর নিয়ম গুলো বানিয়ে নেওয়া হত। চলুন শৈশবের সেি নিয়ম গুলো আবার মনে করিয়ে দি।
• খেলার ফলাফল নির্ধারন হয় ২০ গোলে খেলা শেষ যে দল বেশি গোল দিবে সে দল জয়ী এবং ১০ গোল হলে হাফ টাইম।
- যার বল তার গায়ে যদি বেশি জোরে বল পড়ে যদি সে ব্যথা পায় বা খেলার মধ্যে কারো সাথে ঝগড়া হয় তাহলে সে বল নিয়ে চলে যাবে এটা খেলার প্রথমেই সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হতো। এটা একরকম ছিল জোর যার রাজ্য তার😜
• যে প্যানাল্টি গোল দিবে সে কসম খাওয়া লাগবে তারপর গোল দিতে পারবে। গোল দিতে না পারলে সে গোলকিপার।
• যে সবথেকে ছোট সে গোলকিপার এবং বল পানিতে পড়লে তাকেই নেমে বল নিতে হবে তানা হলে সে বাদ এভয়ে প্রতিবার সে বল নিতে পানিতে নামা লাগতো।
বলের মালিক যে দল বেশি শক্তিশালী সে দলের হয়ে খেলবে। না মানলে বল নিয়ে যাবে তাই সবাই রাজি থাকতে।
যে দল কম শক্তিশালী অতিরিক্ত প্লেয়ার তার দলের হয়ে খেলবে।
পেনাল্টির সময় গোলকিপার বদলাতে পারবে। ভালো একটা সুবিধা ছিল।
মাঠের পাশের দেয়াল একজন প্লেয়ারের মত ছিল দুই দলেই এর সুবিধা নিতে পারতো।
যদি বল কোনভাবে গোলবারের উপর দিয়ে যায় তো গোল হয়েছে কিনা এটা নিয়ে মতবিরোধ শুরু হয়ে যেত যদি বাইরের কেউ সাক্ষী দিতে তখন সবাই একমত হত।
যার বেট সে আগে ব্যাটিং করবে যার বল সে আগে বলিং। তা না হলে খেলা বন্ধ তারা তাদের বল বেট নিয়ে চলে যাবে।
যে দল জিতবে তারা আবার আগে ব্যাটিং। কোন আম্পায়ার নেই। যারা ব্যাটিং তারা আম্পায়ারের দ্বায়িত্ব পালন করে। তাই একটু গতিতে বল করলেই নো বল।
বল উড়ে পানিতে পড়লে আউট অথবা উড়ে কারো টিনে লাগলে আউট।
বল বেশি গতিতে করলে নো বল গড়িয়ে গেলে ডেড বল।
উড়ে দেয়ালে লাগলে দুই রান গড়িয়ে গেল এক রান।
*যে দুধভাত সে উভয় দলে ব্যাটিং করবে এবং উভয় দলের হয়ে কিপার দাঁড়াবে।
দুই রানের বেশি নেওয়া যাবে না নিলে সেই রান আর গননা করা যাবে না।
যার ব্যাট অথবা বল সে আউট হলে দুইবার ব্যাটেং করবে।
দলের সবাই আউট হলে একা যে বাকি থাকবে সে একা একা ব্যাটিং করতে পারবে কিন্তু দৌড়ে রান নেই।
সবাই মিলে টাকা দিয়ে টেপ কিনা লাগে যে টাকা দিতে পারবে না পানিতে বল পড়লে তাকে নিতে হবে এই সর্ত তাকে খেলায় নেওয়া যায়।
অন্ধকার হয়ে গেল খেলা শেষ যদি খেলা বাকি থাকে তা আগামীকালের জন্য তুলে রাখা হয় যদিও তা আর কখন খেলা হয় নি।
আজ কোথাও হারিয়ে গেল সেই দিনগুলো কেন বয়স বাড়ার সাথে সাথে বন্ধুরা দূরে হারিয়ে যায়। জীবন বড়ই অদ্ভুত। সবাই ভালো থাকবেন কি মনে করিয়ে দিলাম তো শৈশবের সোনালী দিন গুলো।
I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the All the ridiculous rules of childhood games.
আপনার পোস্ট পড়ে শৈশবের ছোঁয়া খুঁজে পেলাম। ছোটবেলায় কত খেলায় না খেলতাম। খেলাগুলোতে নিজেদের মনগড়া নিয়ম বানিয়ে ফেলতাম মাঝে মাঝে।এই খেলা খেলা করে কত ঝগড়াই না করেছি বন্ধুদের সাথে। তখনকার শৈশব বড় বেলায় এসে এখন ফিকে হয়ে গেছে ।খেলার সাথীদের হারিয়ে ফেলেছি কালক্রমে।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টে আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
কিছুদিন আগে এরকম একটা লেখা ফেসবুকে পড়েছিলাম। আপনি আজ খুব সুন্দর ভাবে পোস্টটি সাজিয়েছেন।শৈশবের নিয়মগুলে এখন মনে পড়লে বেশ হাসি পায়।আর কেন যেন মনে হয় নিয়মগুলো আমার এলাকার জন্য তৈরি হয়েছিল! কারণ আমাদের মাঠ ছিল না।চারপাশে জল ছিল আমরা যেখানে খেলতাম।তখন এসব অদ্ভুত নিয়ম বানাতাম।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে সুন্দর একটা মতামতের জন্য।
শৈশবের স্মৃতিগুলো অনেক বেশি মধুময়। সেটা হয়তোবা আমরা কখনো ভুলে থাকতে পারি না। শৈশবের খেলার নিয়ম গুলো একটু অদ্ভুত রকমের হয়ে থাকে। আপনি আমাদের সাথে বেশ কিছু খেলার নিয়ম শেয়ার করেছেন।
আপনি যে খেলাগুলো নিয়ম শেয়ার করেছেন। আমিও যেহেতু নোয়াখালী থেকেই বিলং করি তাই আপনার খেলা গুলো নিয়মের সাথে আমি নিজেও অনেক বেশি সম্পৃক্ত। আপনার পোস্ট পরিদর্শন করতে গিয়ে শৈশবের খেলা গুলোর কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
শৈশবে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে যেগুলো কখনই ভোলা সম্ভব না ৷ আপনি আজকে সেই শৈশবের নিয়ে কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা পড়ে শৈশবের কথা মনে পরে গেল ৷ শৈশবের কাটানো দিন গুলো আজো মনের মধ্যে গাঁথা রয়েছে ৷
যাই হোক আপনার পোস্ট এবং লেখাটি পড়ে বেশ ভালোই লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে ৷ ভালো থাকবেন ৷ 🙏
সবার শৈশব গুলোই এমন অদ্ভূত নিয়মের খেলায় আবদ্ধ। নিয়ম গুলো অদ্ভূত হলেও এই খেলায় অন্যরকম একটা মজা ছিল। বড় হয়ে এখন চাইলেও আর এই খেলা গুলো খেলতে পারি না ভেবেই খারাপ লাগছে।
আপনি শৈশবের খেলা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন আর পোস্ট টি পেয়ে আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল ও কারণ কত না সুন্দর ছিলো আমাদের শৈশব ।সব থেকে হারানো আনন্দ ময় মূহুর্ত গুলো ছিলো শৈশবে তা আমরা চাইলেও ভুলে যেতে পারি না । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।