আমার ছাদ বাগানের গল্প (পর্ব ১)
Edit by Canva |
---|
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ
বাগান করতে কার না ভালো লাগে বিশেষ করে সবজি ও ফুল বাগান করতে সবাই ভালবাসে। বাড়ির পাশে ছোট জায়গায় নিজের শখ পূরণ এর জন্য অনেকে সবজি চারা বা ফুলের চারা রোপণ করে। আর যাই বলুন নিজের হাতে লাগানো গাছের সবজি বা ফুল দেখতে চোখ জুড়িয়ে যায়। নিজের হাতে রোপণ করা গাছের সবজি খেতে৷ এর মজাই আলাদা। এইতো শীতকাল শুরু এখন অনেক হরেক রকমের সবজি গাছ রোপণ করবে। নিজের ঘরের পাশে খালি জায়গায়। আর যদি খালি জায়গা না থাকে তা হলে বাসার ছাদে সবজি বা ফুল করবে।
আমার সবজি বাগানের প্রতি একটা দূর্বলতা কাজ করে তাই বাড়ির পাশে জায়গা না থাকায় আমি আমাদের বাড়ির ছাদে সবজি বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। এই সবজি বাগান করার জন্য শৈশব থেকেই আগ্রহ রয়েছে। তাই তখন বাড়ির পাশে যেটুকু খালি জায়গা পেতাম তখন কোন না কোন সবজি চারা লাগাতাম। সারাবছর কিন্তু করা হতো না শুধু শীতকালে বেশি করা হতো কারন তখন চারদিকে বর্ষার পানি কমতে থাকে তখন সবজি গাছ লাগাতাম।
আমার এই অভ্যাসটা আমি বাবার কাজ থেকে শিখা। আমি শৈশবে দেখতাম বাবা খুব যত্ন করে কচুরিপানার স্তুপ করতো। কচুরিপানার স্তুপ এর উপর নরম কাঁদা দিত। তার কয়েকদিন পর লাউ গাছের চারা এনে লাগাতেন। আর দৈনিক পানি দেওয়ার দ্বায়িত্ব থাকতো আমার। এই কচুরিপানার প্রসেসটা দেখে দেখে আমারও একটা আইডিয়া হয়ে গেছে কিভাবে চারা লাগাতে হয়। তখন থেকে ছোট খাটো সবজি বাগান করার প্রবল ইচ্ছা জাগে আমার। শুধু খাওয়ার জন্য না সবজি বাগান এর ফলন দেখতে চোখ জুড়িয়ে যায় তাই সবজি বাগান এর প্রতি একটা আগ্রহ রয়েছে।
আমাদের বাসার ছাদে নিজের হাতে করে মাটি বহন করে চারা লাগানোর একটা বন্দোবস্ত করি। এই মাটির সাথে আরো দিয়েছি গোবর সার ও ছাই। মাটি তৈরি করার পর আমাদের শহরের পাশেই একটা সাপ্তাহিক হাট বাজার বসে ওইখান থেকে তিনটা মরিচ গাছ কিনেছিলাম। তার মধ্যে একটা কালো রঙের মরিচ, একটা বারোমাসি মরিচ আরেকটা বোম্বাই মরিচ। ধাপে ধাপে আমি আমাদের বাড়ির ছাদে সবজি বাগান ভরিয়ে তুলবো। এর সাথে আচে কিছু ফুল যা আমার বোনের বাসা থেকে আনা একটা গোলাপ ফুল আরেকটা হচ্ছে টাইম ফুল। দুটো গাছেই চমৎকার ফুল ফুটে রয়েছে।
এবং অবশেষে আমার নিজের হাতে লাগানো মরিচ গাছে ফল দিয়েছে। খাওয়া লাগে না এই নিজের হাতে রোপণ করা গাছে ফলন হলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। কোথাও জেন একটা জায়গায় পড়েছিলাম মাটিরও ঋন থাকে। আর এই ঋন শোধ করা লাগে। তা কিভাবে করবেন গাছ রোপণ এর মাধ্যমে।
সবাই ভালো থাকবেন আর অবশ্যই যখন সুযোগ পাবেন গাছ লাগাবেন।
I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the My Rooftop Garden Story (Part 1).
Device name: | Vivo Y21 |
---|---|
Camera: | 13 megapixels |
Shot by: | @shasan705 |
Location: | Bangladesh 🇧🇩 |
বাদ বাগান আমার খুব ভালো লাগে।মন ভালো রাখার একটি উত্তম উপায় হলো এই ছাদ বাগান। নিজের হাতে লাগলো গাছে তখন ফুলে ফলে ভরে যআয়,তখন মনে মনে আনন্দ কাজ করে,তা বলে বোঝানো যাবে না। আসাধারণ ভালো লাগা কাজ করে মনে। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।২য় পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম আশা করি শীঘ্রই আপনাদের সাথে শেয়ার করবেন।
আপনার বাসার ছাদের উপরে আপনি সুন্দর করে কিছু প্রয়োজনীয় গাছ লাগিয়ে রেখেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে। আপনি বাসার ছাদের উপরে মাটি এবং গোবর সার এবং ছাই দিয়েছেন এবং আপনাদের ওখানে সাপ্তাহিক হাট বাজার বসে সেখান থেকে আপনি বারোমাসি মরিচ গাছ ও বোম্বাই মরিচ গাছ নিয়ে এসেছেন।
আপনার ছাদের বাগানের গল্প শুনে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছেন, আসলে আমাদের আশেপাশের যখন জায়গা না থাকে তখন বাধ্য হয়ে বাড়ির ছাদে বাগান সাজাতে হয়। সেখানে নিজের মত করে বাগান সাজানো যায়, ফুলগুলো অনেক সুন্দর ফুটে আছে, দেখে অনেক ভালো লাগছে। আবার অনেক সুন্দর ভাবে মরিচগুলো ধরে আছে, আরো কিছু মরিচ গাছ লাগালে তাহলে কাঁচামরিচের জন্য আশা করি বাজারে যেতে হবে না।
আমরা বাবার থেকেই অনেক কিছু শিখি, ছোটবেলায় দেখতাম বাবা গাছ লাগাত, সেখান থেকে আমাদেরও কিছু শেখা হয়েছে যে, গাছ লাগানো দরকার।
আপনার লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আপনার উদ্যোগ টা বেশ ভালো ছিলো ছাদের মধ্যে সবজী চাষ ৷ আসলে ছাদের মধ্যে বেশ কিছু সবজী আছে যা চাষ করলে বাড়িতে নিয়মিত তরকারির কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ৷ আর এটা বর্তমান সময়ে প্রায় মানুষজন করে আসছে মাঝারি ড্রামে বা ছোট টবে মাটি ভরে সবজী চাষ করে আসছে ৷
যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
বাজারের মধ্যে পাওয়া যায় প্রত্যেকটা জিনিস তাও আবার তার মধ্যে রয়েছে ভেজাল। বিশেষ করে কাঁচা শাকসবজি অনেকেই বলে, সেখানে ফরমালিন দেয়া থাকে। কতটা সত্যি আমি জানিনা তবে হয়তো বা, সত্যি হতেও পারে। আজকে আপনি যে উদ্যোগটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই উদ্যোক্তা গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি নিজের স্বপ্নটাও পূরণ করতে পারবেন। এবং আপনার পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা দূর করতে পারবেন। মাঝে মাঝে দেখা যায় আমরা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাজার থেকে কাঁচা শাকসবজি কিনে নিয়ে আসে। কিন্তু যদি আমরা আমাদের ছাদে বা বাড়ি আসে পাশে এই বাগান তৈরি করতে পারি। তাহলে কিন্তু নিজেরা কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারে। আপনার উদ্যোগটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তার উপরে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
নিজের হাতে রোপন করা সবজি বা ফুলের মজাই আলাদা। ফুলগুলো দেখে যেমন চোখ জুড়িয়ে যায়, তেমনি নিজের চাষ করা সবজির স্বাদই আলাদা হয়। এতে বাজারে বিক্রি হওয়া সবজির মত কেমিক্যাল দেওয়া থাকে না। আপনার সবজি বাগান খুব ভালো হয়েছে এবং আশা করি ভবিষ্যতে আরো সুন্দর হবে। ভালো থাকবেন।
আপনি আজকে আমাদের সাথে আপনার সুন্দর ছাদের দৃশ্য গুলো শেয়ার করেছেন।আপনার ছাদে নয়টার ফুল গাছ গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। আমার অনেক প্রিয় একটি ফুল এটা। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে।
যেকোন গাছ আমাকে খুব কাছে টানে। আমার গ্রামের বাসাতেও এরকম বাগান করেছি। পাশাপাশি ঢাকার ছোট্ট বেলকনিতেও অনেক গাছ লাগিয়েছি। খুব ভালো লাগে যখন নিজের গাছে ফুল ফল আসে। আপনার মরিচ গাছের মরিচ দেখে মিন ভরে গেলো। পাশাপাশি মাসরোজ টাও দারুন।
আমি দেখেছি অনেক মানুষই রয়েছে তারা জায়গা না থাকায় ছাদের মধ্যে অনেক শাকসবজি ও ফলমূল এবং ফুল বাগান করে থাকে তেমন আপনিও আপনার ছাদে ফুলবাগান ও শাকসবজি লাগিয়েছেন।।
বর্তমান সময়ে বাজার থেকে যে কোন জিনিস কিনে আনলেও ভয় লাগে কারণ তার মধ্যে অনেক ভেজাল রয়েছে আর এইগুলো যদি আমরা বাসায় কিছুটা হলেও উৎপাদন করতে পারি এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।।
আপনার পরিকল্পনাকে আমি সাধুবাদ জানাই খুবই সুন্দর একটি পরিকল্পনা করেছেন এবং ছাদে অনেক কিছু চাষ করতেছেন।।
ধন্যবাদ ভাই আপনার পরিকল্পনা আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।।