শৈশবের স্মৃতিময় দিন গুলো আজও মনে পড়ে
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ
আমাদের সবচেয়ে মধুর সময়টা ছিল শৈশবের দিন গুলো। আমাদের শৈশবের দিন গুলো কেটেছে সারাদিন ছোটাছুটি, দুষ্টমি আর দুরন্তপনায়। নাওয়াখাওয়া বাদ দিয়ে সারাদিন মাঠে পড়ে থাকা ছিল শৈশবের প্রধান কাজ৷ আর এই শৈশব যেন আমাকে আজও ডাকে আয় ফিরে আয়। আজ আমি আপনাদের সাথে সেই শৈশবের দিন গুলোতে নিয়ে যাবো।
খুব করে চাই শৈশবের দিন গুলো যেন ফিরে আসুক শৈশবের সেই বন্ধুদের কে নিয়ে মাঠে ঘাটে পুকুরে সারাদিন কাটিয়ে দি। সত্যি কতা বলতে কার না মন চায় শৈশবের সেই দিন গুলোতে ফিরে যেতে। একটু বেলা হলেই পুকুরে সাঁতার কাটা বিকালে মাঠে গোল্লাছুট, সাত চাঁড়া, ডাঙ্গগুলি, তেইল্লা চোরা, ফুটবল ক্রিকেট কিংবা মেয়েদের সাথে বৌবৌছি, কুতকুত, এলনটি বেলনটি, জুতা চুরি, পাতা পাতা খেলা আরে কত রকমের খেলা তার কোনো হিসেবে নেই। এই খেলা কে ঘিরে বন্ধুদের সাথেে কত রাগ অভিমান কত স্মৃতি মনে পড়ে।
সারাদিন ক্লাস করে বিকালে স্কুল ছুটির পর এক সাথে বন্ধুরা গল্প করতে করতে বাড়িতে এসে ব্যাগটা কোনরকম টেবিলে অথবা খাটের উপর ফেলে দিতাম ভো দৌড় কারন দেরি করলে প্লেয়ার ভাগ থেকে বাধ পড়ার ভয় থাকে। মনে পড়ে বৃহস্পতিবার আধা বেলা ক্লাস করার কথা। কারন বৃহস্পতিবার তিন ক্লাসের পরে ছুটি পরের দিন আবার শুক্রবার মানে ছুটি। সারাদিন হইহহুল্লড় খেলা ধুলা বৃহস্পতিবারে ঠিক করা হয় অন্য পাড়ার সাথে ফুটবল ম্যাচ এর সময় বিনা পয়সায় না কিন্তু টাকার বিনিময়ে খেলা যে দল জিতবে টাকা তার। খুব মিস করি দিন গুলোকে।
সারাদিন ক্লাস করার পর ছুটির ঘন্টা পড়ার সাথে ব্যাগ নিয়ে ক্লাস থেকে বের হওয়ার পর বন্ধুরা এক সাথে গল্প করতে করতে বাড়িতে এসে খাওয়ার না খেয়ে ব্যাগটাকে কোনোমতে টেবিলে রেখে মাঠের পানে দিতাম ভৌ দৌড়। দৌড় দেওয়ার কারণ হল দেরিতে গেলে বাধ পড়ার ভয় থাকে। আমাদের মাঝে দুইজন দল নেতা ঠিক করার পর সমমানের দুই জন করে প্লেয়ার ঠিক করে নাম ডাকার জন্য পাঠানো হত। যে যার মত নাম দিত কেউ ফলের নাম কেউ পাখির নাম কেউ মাছের নাম আবার কেউ পশুর নাম ইত্যাদি। নাম দেওয়ার পর দলনেতার কাছে এসে বলতাম মেলা গো মেলা আমরা সবাই খেলা কে নিব আম কে নিব জাম বা কে নিব বাঘ কে নিব সিংহ একেক জন একেক নাম নিয়ে আসতাম। নাম ডাকাও খেলার একটা অংশ ছিল। আরেক দিন এসব খেলার বর্ননা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
সময় চলে যায় তবু স্মৃতি রয়ে যায়। আমি বা আমরা চাইলেও আমাদের শৈশবের সেই দিন গুলো ফিরে পাবো না। চাইলে বন্ধুরা আবার এক সাথে হতে পারবো না। ফিরে পাবো না সেই সোনালী বিকেল গুলো। আবারো মন চায় বন্ধুদের নিয়ে খেলি এলনটু বেলনটি এক দুই তিন চার পাঁচ।
সবাই ভালো থাকবেন এবং নিজের যত্ন নিবেন ধন্যবাদ।
আপনি আজ শৈশবের মজার দিনগুলো শেয়ার করেছেন। নব্বই দশকে যাদের জন্ম তারা আসলে বর্তমান মোবাইল ফোনে আসক্ত শিশু কিশোরদের মতো ছিল না।আমরা বিকালে মাঠে খেলতাম,বৃহস্পতিবার আসলেই অনেক মজার ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে স্মৃতি গুলো জাগিয়ে দেয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য এবং আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই শৈশবের স্মৃতিময় দিন গুলো আজও মনে পড়ে যেগুলো আমাদের কখনও ভোলার নয় ৷ আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে নিজের কিছু শৈশবের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে যেই সময় খেলাধুলা দুষ্টামি দিয়ে সময় গুলো আমরা পার করেছি ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
শৈশব স্মৃতি কোন দিন ভোলার মতো না।আমরা আর কিছু মিস করি আর না করি শৈশব কে আমরা সবাই মিস করি। আমাদের হাজার ও আনন্দের সময় এই শৈশব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
আপনার পোস্টটি পড়ে আমার সেই শৈশব কালের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। সত্যি জীবনে শৈশবকালের কথা কখনো ভোলার মত হয় না। তখন কতই খেলা করেছি ধরাধরি কত কি করেছি সবকিছু অনেক আনন্দের ছিল।
শৈশবকালে জীবন সম্পর্কে কোন চিন্তা ছিল না মনে হচ্ছিল সারা জীবনে এভাবেই যাবে। আপনি আরো অনেক কিছু খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন খুবই ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট পড়ে।
শৈশব আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে আমরা এখন অনেক বড় হয়ে গেছি! কিন্তু শৈশবের স্মৃতিগুলো আমরা এখনো মনে রাখি! প্রত্যেকটা মানুষ একজন বৃদ্ধ মানুষকেও যদি জিজ্ঞেস করা হয় !তার শৈশবের কথা সে,, কিন্তু কোন ভুল না করে শৈশবে কি কি করেছে! প্রত্যেকটা কথা বলে দিতে পারবে। শৈশবের স্মৃতিগুলো এমনই হয়ে থাকে।
আসলে আপনার পোস্ট যখন পড়ছিলাম! তখন শৈশবটা মনে হচ্ছে চোখের সামনে ভেসে উঠলো! আপনার মত আমিও একটু চঞ্চল টাইপের ছিলাম! স্কুল ছুটি হওয়া মানেই তাড়াতাড়ি করে বাড়িতে আসো স্কুল ব্যাগ যেখানে সেখানে ফেলে দিয়ে! আবার দৌড়ে খেলার মাঠে চলে যাওয়া,, সন্ধ্যার সময় ঘরে ফিরে আসা! এসব স্মৃতিগুলো মনে পড়লে আসলে খুব খারাপ লাগে,, বারবার মনে হয় আবার যদি সেই শৈশবে ফিরে যেতে পারতাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, শৈশবের স্মৃতি নিয়ে এত সুন্দর একটা বিষয় আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।