বন ধনে বা চিনিগুড়া পাতা কিংবা মিছরিদানা পাতা
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আধুনিক যুগে মানুষ তাদের চিকিৎসার জন্য এখন প্রায় আধুনিক চিকিৎসার উপর নির্ভরশীক হয়ে পড়েছে। আমাদের দেহ সৃষ্টিকর্তা প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরী করছেন আর এই প্রকৃতির মাঝেই আমাদের চিকিৎসার জন্য হাজার রকমের ভেষজ উদ্ভিদ দিয়ে রেখেছেন। তেমনি একটি ভেষজগুণ সম্পন্ন উদ্ভিদ হল বন ধনিয়া বা মিছরিদানা পাতা আজকে আমি আপনাদের সাথে এর গুনাগুন সম্পর্কে বলবো।
বন ধনিয়া, চিনিগুড়া, মিছরিদানা, তালমাখনা,চিনিমিঠা ফুরফুরা বা চিনিপাতা এটি বর্ষজীবী শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট চিরসবুজ বিরুৎ শ্রেনীর সপুষ্পক গুল্ম উদ্ভিদ বা আগাছা যার ইংরেজি নাম ( Sweet broom or goat weed ) এবং বৈজ্ঞানিক নাম হল ( Scoparia dulcis) হল স্ক্রোপহুলারিসিয়া পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এর পাতার স্বাদ মিষ্টি হওয়ায় এর নাম চিনিপাতা বা মিছরিদানা পাতারনাম হয়েছে। সাধারণত পরিত্যক্ত জায়গা রাস্তার পাশে পুকুরপাড়ে স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে এই উদ্ভিদটি জন্মায়।
এর ফুল সাদা রঙের ছোট ছোট হয় এবল বীজ দেখতে ধনিয়া বীজ এর মত তাঔ এর আরেক নাম বন ধনিয়া। এর বংশবিস্তার বীজ থেকে হয়। সাধারণত এ গাছে বর্ষামৌসুমে এর ফুল আসে। এর উচ্চতা ২.৫ থেকে ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে কান্ড শক্ত শিরা বিশিষ্ট ও লোমহীন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে চেনে এই উদ্ভিদকে।
মিছরিদান বা চিনিগুড়া পাতার অনেক ভেষজ ব্যবহার রয়েছে। আসলে আমাদের চারপাশে এ রকম অসংখ্য ঔষধি গুনাগুন সম্পন্ন উদ্ভিদ রয়েছে যে গুলোর উপকারিতা বা উদ্ভিদ সম্পর্কে আমাদের কোনো রকম ধারণা থাকে না
মিছরিদানা পাতা ও ফল কাম উদ্দিপক ৫ থেকে ৭ দিন নিয়মিতভাবে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
মারমা উপজাতিরা তাদের বাচ্চাদের শ্বাসজনিত সমস্যা ও ক্ষুধামন্দার জন এর পাতার রস ব্যবহার করে। খাসিয়া জনগোষ্ঠীরা তাদের বাচ্চাদের ডায়রিয়ার জন্য দুই ফোট রস ব্যবহার করে।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের জন্য এর পাতার রস নিয়মিত খেলে এ রোগ দুইটি নিয়ন্ত্রণ রাখে।
গ্যাসট্রিক বা আলসার নিরাময়ের জন্য এর পাতার রস ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। রক্ত আমাশয়ে এ গাছের রস ভালে কাজ করে তবে বয়স ভেদে রসের মাত্রা কম দিতে হবে।
দিনে দুই বার চিনিগুড়া পাতার রস ব্যবহারে চোখের রক্ত জমাট ভালো হয়। মুখের ঘা হলে মিছরিদানার পাতা চিবালে ঘা ভালো হতে সহায়তা করে। কানব্যাথায়ও এর পাতার রস অনেক উপকারী। চমৎকার একটা উদ্ভিদ এই চিনিগুড়া পাতা বা বন ধনিয়া।
সতর্কীকরন:-উপরে উল্লেখ্য চিকিৎসা কোনো ভাবেই সঠিক চিকিৎসা হতে পারে না। একজন বিশেষজ্ঞ এর মতামত নেওয়া জরুরি।
আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
Device name: | Vivo Y21 |
---|---|
Camera: | 13 Megapixels |
Shot by: | shasan705 |
Location: | Bangladesh 🇧🇩 |
এই গাছটির সাথে আমি খুবই পরিচিত। আমাদের এই এলাকায় গাছটির নাম মিস্ত্রিরা নামে পরিচিত। গাছের পাতা জীবনে মিষ্টি বের হয়। তবে এই গাছটির ঔষধি গুনাবলি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। তথ্যটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট পড়ার জন্য এবং আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক ঔষধি গাছ রয়েছে কিন্তু আমরা এই গাছগুলো কোন যত্ন করি না! অথচ এই গাছগুলো আমাদের অনেক উপকার করে থাকে।
আপনি যে গাছ সম্পর্কে কথা বলছেন, এটি আসলে অনেক উপকারী একটি গাছ! যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্যই এর পাতা অনেক উপকার অথচ এই গাছগুলো আমরা কোন যত্নই করি না। এগুলো আপনি আপনি হয়ে থাকে আর রাস্তার পাশে বেশি হয়ে থাকে।
আপনি এই গাছ সম্পর্কে আরো অনেক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, এর বিজ্ঞানিক নাম বলেছেন। আমি গাছটা চিনি কিন্তু এই গাছ সম্পর্কে এত কিছু জানতাম না। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম।
ধন্যবাদ জানাই আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট পড়ার জন্য এবং আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
ভাই আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক কিছু জানলাম।ভাই এই চিনিগুড়া পাতা ছোট বেলায় অনেক খেতাম কারন পাতা টা অনেক মিষ্টি লাগে।আর জানতাম না যে এটা এতো ভালো দিক ও আছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্ট পড়ার জন্য এবং আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে ছোট বেলার স্মৃতি চারণ করলাম। ছোট বেলায় খেলার সময় এই বুনো ধনিয়া গাছের পাতা ব্যবহার করতাম। তবে এই গাছ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয় এটা আমার জানা ছিলো না। আপনার লিখা থেকে গাছটির উপকারী দিক সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আপনার তোলা গাছটার ফটোগ্রাফিগুলোও অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে ।