প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা সমাধান।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি এই কথটার মর্ম তখন বুঝা যায় যখন পেটের পীড়া দেখা দেয়। পেট ব্যথা, এস্যাডিটি, বদহজম এবং জ্বালাপোড়া এগুলো বেশির ভাগেই হয়ে পেটের মধ্যে গ্যাস জমে যাওয়ার কারনে। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমাদের পরিপাকতন্ত্র দূর্বল হয়ে পড়ে ফলে দেখা দেয় গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা। অনেকের এই গ্যাসের কারনে পেট ফুলে যায় ফলে ভুঁড়ি না থাকা সত্বেও পেট ফুলা দেখায়।
এই গ্যাস্ট্রিক সমস্যার কারনে আমরা প্রথমে কি করে কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন গ্যাস্ট্রিক এর ঔষধ সেবন করি। যখন এই গ্যাস্ট্রিক এর ঔষধ কোন পরামর্শ ছাড়াই সেবন করে তখন একটা পর্যায়ে এট অনেক বড় বিপদের কারন হয়ে ধাড়ায়। আজ আমি কিছু প্রাকৃতিক খাবারের কথা বলবো যেগুলো খাওয়ার মাধ্যমে পেটের গ্যাস কমানোর উপায় এবং কিছু পরামর্শ দিবো যেগুলো অনুসরণ করলে পেটের গ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
★ ডাবের পানি গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দূর করতে সহয়তা করে। ডাবের পানিতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট। এতে উপকারী মিনারেলও পাওয়া যায়।
★ দই আমাদের খাবার দ্রুত হজম করতে সহয়তা করে। নিয়মিত দই খেলে এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। তাই প্রতিদিন দুপুরের পটে অল্প একটু দই খাওয়া দরকার তবে হ্যা যেন টক দই হয়।
★ রসুন এটিতো একটি প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক। সাথে এটি নিয়মিত খেলে গ্যাসের সমস্যায় অনেক কার্যকরী। তাই প্রতিদন সকালে খালি পেটে ও দুপুরে ভাতের সাথে এক কোঁয়া করে রসুন খাওয়া গ্যাস্ট্রিকরে জন্য উপকারী।
★ পেটের সমস্যা সমাধানে আরেকটি কার্যকরী উপাদান হচ্ছে আদ। আদা বদহজমের জন্য অনেক উপকারী। তাই একটু গরম পানি বা চায়ের সাথে একটু আদা দিয় ফুটিয় নিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে কিংবা আদার সাথে মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
★ গ্যাস্ট্রিকের কারনে পেট ব্যাথায় দারুচিনি অনেক কর্যকরী একটা উপাদান। গরম ফুটিয়ে বা চায়ের সাথে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। দুধের সাথে দারুচিনি গুড়ো মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।
★ কুসুম গরম পানি খেলে গ্যাস্ট্রিকের জন্য ভালে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস করে কুসুম গরম পানি খাওয়া উচিত এতে গ্যাট্রিকের সমস্যা থেকে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
★ পুদিনা পাতা গ্যাসের সমস্যার জন্য বেশ কার্যকরী। পাশাপাশি এটি বমির সমস্যার জন্য অনেক ভালো কাজ করে। তাই প্রতিদিন এক থেকে দুইটি পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবালে অনেক ভালে কাজ করবে।
কিছু পরামর্শ
• অতিরিক্ত মশলা ও ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন বা নিজের বাসার তরকারিতে মশলা কম ব্যবহার করুন। ঝাল খাবারে বুক বেশি জ্বালাপোড়া করে।
• রাস্তার পাশে ভাজাপোড়া একেবারে এড়িয়ে চলা হোটেলের খাবার কম খাওয়া কারন এই খাবার গুলো যে তেলে ভাজা হয় তা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।
• প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া কারন অতিরিক্ত প্রোটিন খাবার খেলে পেটে গ্যাস জমে যায়। তাই প্রয়োজনের বেশী মাছ, মাংস ও দুধ না খাওয়াই ভালো।
আজ এ পর্যন্ত প্রিয় বন্ধুরা। আবার কথা হবে নতুন একটা বিষয় ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবে।
I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the Natural remedies for gastric problems.
আমরা অনেকেই এই গ্যাস্টিকের সমস্যায় ভুগছি।। আমরা অনেক রয়েছি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে চলে যায়।। আজকে আপনি বলে দিয়েছেন কিভাবে গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করা যায়।।
ধন্যবাদ আপনাকে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য।।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।।
আমাদের সবার গ্যাস্টিকের সমস্যা রয়েছে ৷ আর গ্যাসের কারনে পেটে ব্যাথা হয়ে থাকে যা কোন সময় অসহ্যকর হয়ে পড়ে ৷ আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্টিক এর সমস্যার সমাধান বেশ সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি পড়ে ৷ তার পাশাপাশি পরামর্শ দিয়েছে কি কি খাবার আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো উপকারী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য এবং গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা সমাধান এর এতো কৌশল অবলম্বন করতে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য। আপনার পোস্ট টি থেকে অনেক উপকারিতা হলো। আমাদের দেশে এখন কমন একটি সমস্যা হলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।আর আপনি তার মোকাবেলা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট এর জন্য অপেক্ষা করছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আসবে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।