আমাদের ঘরের নতুন অতিথি চিনা হাঁসের বাচ্চা।
গত কয়েকদিন আগে সকালে ঘুম ভাঙে হাঁসের বাচ্চার প্যাঁক প্যাঁক আওয়াজে। আওয়াজ এর সন্ধান করতে গিয়ে দেখি আমার মা চিনা হাঁসের যে ডিম গুলো বাচ্চা ফুটানোর জন্য কুচে বসিয়েছ তা থেকে বাচ্চা ফুটেছে। যদিওএর আগের দিন একটা বাচ্চা ফুটে ছিল। তবে সবগুলো বাচ্চা একইসাথে ফুটার কারনে শব্দের শক্তি অনেক বেশি ছিল। মোট বাচ্চা ফুটেছিল বারোটি যার কারনে শব্দ অনেক জোরালো ছিল। যার কারনে প্রথমে ঘুম ভাঙতে একটু বিরক্তি লাগলো।
ভোরে ঘুম ভাঙার কারনে যদিও বিরক্ত হয়েছিলাম তবে হাঁসের বাচ্চা গুলো দেখে বিরিক্তি ভাব উদাও হয়ে গেল। হাঁসের বাচ্চা গুলো এতটাই সুন্দর ছিল যে আমি প্রথম দেখাতেই হাঁস গুলোর দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। আমি একটা বাচ্চাকে আদর করার জন্য যেই হাতে নিলাম ওমনি চিনা হাঁসটি আমার দিকে তেড়ে আসতে লাগলো। তাই বিলম্ব না করে তাড়াতাড়ি হাঁসে বাচ্চাটিকে তার মায়ের কাছে রেখে দিলাম।
চিনা হাঁসের বাচ্চাগুলো বিভিন্ন রঙের হয়েছে কোনটি হলুদ কোনটি ধূসর কোনটি কালো আবার কোনটি হলুদ এবং কালোর মিশ্রন রয়েছে। আবার ঠোঁটের রঙ হালকা গোলাপি। এই বাচ্চা গুলো এতো সুন্দর ছিল যে আমি দেরী না করে কয়েকটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামরার মাধ্যম তুলে নি। একটু পরে আমার মা হাঁসের বাচ্চা গুলোকে বাহিরে নেওয়ার পর দিনের আলোতে আরো কয়েকটি ছবি তুলে নি।
নিজের পালিত হাঁস-মুরগী যদি এভাবে সুস্থ সবল বাচ্চা হয় এবং এভাবে বংশবৃদ্ধি হতে থাকে তখন হাঁস-মুরগী পালনে সার্থকতা হয়। চোখ জুড়িয়ে যায় এরকম হাঁস মুরগীর বাচ্চা দেখতে। এরা যখন খাবার খায় তখন দৃশ্যটি দেখতে আরো সুন্দর দেখায়। একজন আরেক জনের উপরে উঠে খাবার খায়। খাবার খাওয়া শেষে এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি করে যার কারনে তাদের ধরতে একটু বেগ পেতে হয়। আবার ধরলে তাদের মা তেড়ে আসে।
চিনা হাঁস পালনে খুব একটা ঝামেলা পোয়াতে হয় না এই হাঁস সাধারণ হাঁস-মুরগীর মত খাবার খায়। তবে চিনা হাঁস এর বাচ্চাদের প্রথম দুই তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ফিড খাওয়াতে হয়। কারন এতে দ্রুত হাঁস এর বাচ্চাগুলো বেড়ে উঠে। এর পরে হাঁসের বাচ্চা গুলোকে সাধারণ খাবার দিলেই হয়। এই হাঁস পালনে তেমন কোন খরচ হয় না। এরা ডিম পাড়ার সময় হলে ১৫- ২০ টি ডিম পেড়ে কুচে বসে যায় এবং ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা হয়।
আজ এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন ধন্যবাদ।
Device name: | Vivo Y21 |
---|---|
Camera: | 13 megapixels |
Shot by: | @shasan705 |
Location: | Bangladesh 🇧🇩 |
গ্রাম বাংলায় হাসের বাচ্চা পালম করা খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। প্রায় বলতে গেলে প্রতিটা বাড়িতেই হাঁসের বাচ্চা পালন করা হয়। আপনার হাঁসের বাচ্চাগুলো দেখতে খুব মিষ্টি লাগছে। আপনার বাড়িতেই হাসের বাচ্চা ফুটিয়েছেন যদিও অনেকেই বাড়িতে বাড়িতে বিক্রি করতে আসে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
আমি হাসের সাথে পরিচিত ছিল তবে চীনা হাঁসের সাথে প্রথমবার পরিচয় হলো। হাঁসের বাচ্চা দেখতে খুব সুন্দর হয় আমি দেখেছি।
আমি এর আগে দেখেছি মুরগির নিচে হাঁসের ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটাতে।
কিন্তু কোন হাস যে নিজেই তার বাচচা ফুটায় আমার জানা ছিল না। মুরগির বাচ্চাকে ধরলে তার মা মুরগী তেড়ে আসে মারার জন্য। আপনার এই হাঁসের বাচ্চা দেখে এখন আবার নিজেরই হাস কিনে এনে বাচ্চা ফুটাতে ইচ্ছা করতেছে।
চীনা হাস ও তাদের খাবার সম্পর্কে এত বিস্তারিত ভাবে লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সব সময়।
আমাদের বাড়িতেও এই চিনা হাঁস রয়েছে। যেটা গত দুই বছর ধরে আমার শাশুড়ি পালন করে। প্রথমত আমি কিনে নিয়ে এসেছিলাম, আপনি একদমই ঠিক বলেছেন এই চীনা হাঁস পালন করতে তেমন বাড়তি খরচের প্রয়োজন হয় না। তবে আলহামদুলিল্লাহ ওরা যেভাবে ডিম পাড়ে এবং ওখান থেকে বাচ্চা ফুটানোর যে পদ্ধতি, ওটাও কিন্তু খুব সহজ। ওই বাচ্চাগুলো কিন্তু অনেক দামে বিক্রি করা যায় এবং বড় একটা চীনা হাঁসের দাম, বর্তমান সময়ে প্রায় তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা। আমার মনে হয় যে কোন মানুষ অল্প খরচের মধ্যে, এই চীনা হাঁস পালন করে লাভবান হতে পারে। ধন্যবাদ চমৎকার ফটোগ্রাফি এবং হাঁস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্টে হাঁসের ছোট বাচ্চাগুলি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। আমি কিছুদিন আগে গ্রামে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম সেখানে ওরকম ছোট ছোট অনেক হাঁসের বাচ্চা দেখেছিলাম। আমাদের বাড়ির সামনে পুকুরে চড়ে বেড়াচ্ছিল। দেখতে ভারী মিষ্টি লাগছিল। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আজকের আপনার এই পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগছে কারন আমাদের বাড়িতে চেনা হাঁস ছিল অনেক এবং সত্য কথা বলতে হাঁসের মাংসের ভেতরে আমি চীনা হাঁসের মাংস খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি এবং আমাদের বাড়ি ৩০ থেকে ৪০ পিস চেনা হাঁস ছিল যেগুলো আমার আম্মা লালন পালন করত এবং তার মধ্য থেকে ১৫ থেকে ১৬টার মত আমাকে আমার আম্মা খেতে দিয়েছে।
এবং বড় ভাই বাংলাদেশ এ গিয়েছে আব্বুকে বলে দিয়েছিলাম চীনা হাঁসের মাংস ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য। অবশ্য আম্মা থাকলে আমাকে বলতাম কিন্তু আম্মা তো আর নেই যাই হোক চীনা হাঁসের বাচ্চা গুলো দেখতে আসলেই অনেক সুন্দর হয়। এবং আপনার ছবিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।