সোনালি সৌন্দর্যের সোনালু ফুল।
আজ অনেক দিন পর আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। কিছু ব্যাক্তিগত কারনে এই স্টীম প্লার্টফর্ম থেকে নিজেক গুটিয়ে নিলাম। ওই সময়ের গল্প গুলো একদিন সময় করে আপনাদের সাথে ভাগ করে নিবো। আজকে আপনাদের সাথে একটা ফুলকে পরিচয় করিয়ে দিবো। এই ফুল অনেকেই চিনে হয়তো নাম জানে না অনেকে সুন্দর একটা ফুল, চলুন কথা না বাড়িয়ে ফুলটির সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো।
কিশোরীর কানে দুলতে থাকা কানের দুলের মতো যে কাউকেই আকৃষ্ট করবে এই সোনালু ফুল। দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন হলুদ রঙের ঝর্না গাছ বেয়ে নামছে। সবুজ পাতা বেধ করে সোনালী রঙের ফুলে সেজেছে সোনালু গাছ। প্রতিবছর বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে এই ফুটতে দেখা যায়। এই সোনালু গাছ আগে অনেক দেখা গেলেও বর্তমানে খুব একটা চখে পড়ে না এই ফুল গাছ।
সোনালু গাছ ভারতীয় উপমহাদেশের গাছ। অঞ্চল ভেদে এই ফুল গাছের বিভিন্ন নাম রয়েছে কোনো কোনো জায়গায় এর নাম সোঁদাল, সোনাইল, কর্নিকা, বান্দর লাঠি, বাঁদর লাঠি ইত্যাদি। এটি একটি গ্রীষ্মকালীন ফুল এত সুন্দর ফুল বসন্তকালেও দেখা যায় না। ইংরেজি এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে মে মাসের ভিতরে এই সুন্দর সোনালী ফুল ফুটতে দেখা যায়। এই ফুলের হালকা মিষ্টি ঘ্রানে মৌমাছি ও প্রজপতিকে আকৃষ্ট করে।
সোনালু একটি ঝুলন্ত পুষ্পমঞ্জরি বৈশিষ্ট্য ফুল গাছ। এক একটি ফুল দেখতে কানের দুলের মতো। এ গাছ লাম্বায় ৮ থেকে ৯ মিটার পর্যোন্ত লম্বা হয়ে থসকে।এই ফুল গাছের কাঠ ইটের মত লালা রঙের হয় এবং এ গাছের কাঠ বেশ শক্তপোক্ত হয় যা দিয়ে ঢেঁকি ঘরের খুটি ও সাঁকো তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। এই ফুল গাছের নাম বাঁদরলাঠি হওয়ার কারন হচ্ছে এর লম্বা ফলের কারনে। মিষ্টি স্বাদের হওয়ায় বাঁদর এর বেশ পছন্দ এছাড়াও এর ফুল পাতাও বাঁদরর বেশ পছন্দ।
সোনালু ফুল সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই গাছের অনেক ভেষজ গুনাগুন রয়েছে আদিকাল থেকেই এই গাছের বাকল ফুল ও পাতা দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হয়ে আসছে। এই গাছের ভেষজ উপদান গুলো সঠিক ব্যবহারে অনেক রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই গাছের উপকারিতা গিলো।
✅ যাদের উচ্চ রক্তচাপের সাথে নাক দিয়ে রক্ত ঝরে তাদের জন্য সোনালু গাছের ফলের ভিতরের মজ্জার সাথে পানি দিয়ে ফুটিয়ে সপ্তাহে খানেন ডেবন করলে এই সমস্যা থেকে সমধান পাওয়া যাবে।
✅ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারা এই ফলের মজ্জার সাথে এক কাপ পরিমান দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে তারপর ছেঁকে প্রতিদিন সকালে পাম করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
✅ টনসিলের জন্যেও এইটা ভালো কাজ করে। এর জন্য দুটো বাঁদরলাঠির ফল গুঁড়ো করে তার সাথে পরিমাণ মতো দুধ দিয়ে সিদ্ধ করে মন্ড বা কাইয়ের মত করে টনসেলে প্রলেপ দুতে হবে শুকিয়ে গেলে আবার নতুন করে লাগাতে হবে এভাবে দুই তিনদিন লাগালে টনসেল ভালো হয়ে যাবে।
✅ কাটা বা ছিঁড়া স্থান ভালো হয়ে যাওয়ার পর যদি ব্যাথা থেকে যায় সেক্ষেত্রে সোনালু গাছের পাতা বেঁটে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যাথায় আরাম পাওয়া যাবে।
✅ এই গাছের ফলের মজ্জা রক্ত আমাশয়ের জন্যেও অনেক উপকারী। অনেক অঞ্চলে এই গাছের ফল দিয়ে আচার তৈরি করে খাওয়া হয়।
মনে রাখা জরুরি -ঃ উপরে উল্লেখ্যিত চিকিৎসা পদ্ধতি নিজের উপর প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ অথবা একজন ভলো চিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যআহার করবেন ধন্যবাদ।
I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I prefer to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the five facts beneficial for health
Device name: | Vivo Y21 |
---|---|
Camera: | 13 megapixels |
Shot by: | @shasan705 |
Location: | Bangladesh 🇧🇩 |
এই সোনালু ফুল আমার অতি প্রিয় ফুলের মাঝে একটা।এই ফুলের একটা গাছ আমার নানি বাড়িতে ছিল। তবে তখন তাকে সোনালী ফুল নামে চিনতাম না। আমার নানীবাড়ির এলাকার সবাই একে বান্দরের লাঠি বলে ডাকত। আর সবার সাথে সাথে আমিও একে বান্দরের লাঠি বলেই চিনতাম।
এর নাম যে সোনালু এটা অনেক পরে জানতে পেরেছি।
আর আজকে আপনার লেখা পড়ে আরো নাম জানতে পারলাম। আর এর মাঝে কর্নিকা নামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। অবশ্য এই নামটা খুব শোনা শোনাও লাগছে। কোথাও শুনেছি হয়তোবা আগেও।
এ ফুলটা নিয়ে আপনি আজকে বিস্তারিতভাবে লিখেছেন যা পড়ে আমার মত অনেকেই উপকৃত হবে।
চমৎকার এই লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে এই ফুলের সাথে শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমার লেখা পড়ার পর এত সুন্দর করে মতামতের জন্য।
প্রথমেই বলবো আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফিই অসাধারণ হয়েছে, দেখলে যেন মন জুড়িয়ে যায়। আপনি অনেকদিন পরই আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো।আশা করি এখন থেকে প্রতিনিয়ত আমাদেরকে আপনার লেখা উপহার দিবেন।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটা মতামতের জন্য।
সোনালু ফুল আমার ব্যক্তিগত ভাবে অনেক পছন্দের। অনেক ধন্যবাদ এই ফুল নিয়ে তথ্যবহুল পোস্ট করার জন্যে, তবে, ফটোগ্রাফি গুলোতে যথেস্ট শার্পনেসের ঘাটতি রয়েছে, অতিরিক্ত জুম করার কারণে নয়েজ এর পরিমাণ বেশি। আশা করি এই বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করবেন, ফটোগ্রাফি আরো সুন্দর হবে। প্রয়োজনে কালার টিউনিং করে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। এই ফুল গুলো সাধারণত মগ ডালেই ধরে তাই আমি বাধ্য হয়ে ক্যা মরা অতিরিক্ত জুম করা লেগেছে।