ঘেঁটু বা ভাঁট ফুলের সৌন্দর্য এবং এর ভেষজ গুনাগুন।
![]() |
---|
![]() |
---|
গ্রামের মেঠো পথের ধারে বা মাঠের আইলে প্রাকৃতিক নিয়মে সবার অগোচরে বেড়ে উঠে কত রকমের বনফুল এদের কোনো রকম পরিচর্যা করা লাগে না। এসব বনফুল প্রকৃতি প্রেমী বা ফুল প্রেমীদের চোখ এড়ানো যায় না। যেমন এই সুভাষ তেমনি এর সৌন্দর্য চারদিকে ছড়িয়ে যায় এর সুভাষ তেমনি একটি ফুল হল ভাঁট ফুল বা ঘেটু ফুল। এই ফুল ছোট সাদা রঙের হয় ঝোপ বিশিষ্ট গাচ হওয়ায় সব গুলো গাছে যখন ফুল ফুটে তখন দেখতে খুবই মনোমুগ্ধকর লাগে।
![]() |
---|
ঘেঁটু বা ভাঁট ফুল হল ছোট আকৃতি শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এটি একটি বহুবর্ষজীবী সুপুষ্পক উদ্ভিদ। লম্বায় এই গাছ ৪ ফুটের বেশি হয়ে থাকে। বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে এর ফুল ফুটতে থাকে ফুলের মাঝ থেকে তিন চারটা পুংকেশর বের হয়। এ পুংকেশর এই ফুলের সৌন্দর্য আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। ফুলের অভ্যন্তরে বেগুনি রঙের হালকা আভা রয়েছে যা ফুলকে আরো আকর্ষনীয়। এই ফুলের পাপড়ি, পুংকেশর, কান্ড ও পাতাকে প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে।
![]() |
---|
এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Clerondendron viscosum যা ভেষজ গুনাগুন সম্পন্ন উদ্ভিদ। এটি ভারত বাংলাদেশ ও মায়ানমারে প্রচুর পরিমানে দেখা যায়। এটি সাধারণত ঝোপঝাড়, পথের ধারে ক্ষেতের আইলে মাঠের পাশে ও পাহাড়ি অঞ্চলে জন্মায়। ফুল থেকে বীজ হয় আর এই বীজের মাধ্যমে বংশ বিস্তৃতি হয়। কোন রকম যত্ন ছাড়াই এরা বেড়ে উঠে। অবহেলিত এই গাছের প্রায় প্রতিটি অংশে রয়েছে ঔষধি গুনাগুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ভাঁট বা ঘেঁটু গাছের ভেষজ ব্যবহার।
![]() |
---|
✔ ভাঁট পাতার রস কৃমির জম। পেটের কৃমি ধ্বংস করতে এর পাতার রস অতন্ত্য কার্যকরী।
✔ ভাঁট বা ঘেঁটু গাছের পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে সকাল সন্ধ্যায় পান করলে ম্যালেরিয়া ভালো হয়।
✔ যে ধরনের চর্ম রোগ হলে ঘেঁটু পাতার রস কয়েকদিন নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে চর্ম রোগ ভালো হয়।
✔ কাঁকড়া বিছের মত মারাত্মক কীট কামড়ালে ভাঁট পাতার বেঁটে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যাথ দূর হবে সাথে বিষও ধ্বংস হবে।
✔ ঘেঁটু পাতার রস মাথায় ব্যবহার করলে উঁকুন ধ্বংস হয়। পাতা ভালো করে বেঁটে রস বের করে পিরো মাথায় ভালো কর লাগিয়ে আধাঘন্টা রেখে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুশে নিল উঁকুন ধ্বংস হয়।
✔ ভাঁট পাতার ভালো করে থেঁতলে সংক্রামন স্থানে ব্যবহার করলে দ্রুত সেরে উঠে।
✔ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা বয়স্কদেরও জন্য ৩০ মি.লি. পরিমান রস নিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।
✔ ভাঁট গাছের মূল ৭ থেকে ৮ গ্রাম থেঁতলে রস বের হালকা কুসুম গরম পানির সাথে নিয়মিত খেলে বদহজম জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
✔ টিউমার এর ফোলা ভাব কমাতে এই গাছের মূল বেঁটে আক্রান্ত জায়গাতে প্রলেপ দিয়ে তারপর পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে আলতো ভাবে মুড়িয়ে রাখলে ফোলা ভব কমবে।
![]() |
---|
জেনে রাখা জরুরিঃ উপরোক্ত চিকিৎসা সবার ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে না তাই ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন ভালো বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ব্যবহার করবে। বাচ্চা ও গর্ভবতী মহিলারা ব্যবহারের আগে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে ব্যআহার করবেন। উপরে উল্লেখ্য কিছু তথ্য গুলো গুগল থেকে ধারনা নেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ।
I am Bangladeshi. My mother's language is Bengali. I can't write well in English. That's why I love to write in Bengali. Hope you will love my writing. Today in my post I have discussed about the beauty of Clerondendron viscosum flower and it’s' herbal benefits.
Device name: | Vivo Y21 |
---|---|
Camera: | 13 megapixels |
Shot by: | @shasan |
Location: | Bangladesh 🇧🇩 |
এই ফুলটাকে ছোট বেলায় আমি আমাদের বাড়ির আশেপাশে দেখেছি। কিন্তু তখন নাম জানা ছিলো না।খেলতাম আমরা এই ফুল দিয়ে।
পরবর্তী সময়ে এর নাম জানতে পারি যে এর নাম ঘেটু ফুল।ঘন্টার মতো বলে একে অনেকে ঘন্টাকর্নও বলে থাকে।
আপনি এই ফুল নিয়ে বিস্তারিত ভাবে লিখেছেন। এর ভেষজ গুণাগগন নিয়েও আলোচনা করেছেন। এতে করে আমার মগো অনেকেই উপকারী হবে।
খুব ভালো লাগলো আপনার এই লেখা পপড়ে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দার একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য।
শুভ কামনা রইল।
ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ তথ্যবহুল একটি লিখা আমাদের উপহার দেয়ার জন্য। আপনার ফটোগ্রাফিতে ভাট ফুল বেশ দারুন লাগছে। আমাদের এই দিক এই ফুলকে ভাটির ফুল বলা হয়ে থাকে। ভাটি গাছের উপকারিতা ব্যপক। আপনি অনেকগুলো তার মধ্যে আলোচনা করেছেন।
সব মিলিয়ে আপনার লিখা এবং ফটোগ্রাফি বেশ উপভোগ করলাম। ভালো থাকবেন।
ভাঁট বর্তমান সময়ে দেখা যায় আর এই ভাঁট ফুলের সৌন্দর্যতা সবার মাঝেই বেশ ভালো লাগে ৷ তবে এর পাশাপাশি ভাঁট ফুলের বেশ কিছু ঔষুধি গুনাগুন রয়েছে যেগুলো আমারা প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারি ৷ আর ব্যবহারের ফলে এতে করে অনেক উপকারিতা পাওয়া যাবে ৷
যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
রাস্তার পাশে এই ফুল সচারাচর দেখা যায় তবে এর নাম আমি জানতাম না। ফুলটা দেখতে বেশ চমৎকার লাগে। বিশেষ করে সাদা ফুলের মাঝে লাল অংশটুকুর জন্য বেশি ভালো লাগে। এই ফুলের যে এত এত ঔষধী গুণাবলি রয়েছে সেটা জানতাম না। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টটা খুব ভালো লাগলো। ছোটবেলার অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। আগে দেখতাম রাস্তার আশেপাশে এইসব ফুলগুলো হয়। আমরা ছোটবেলায় কত খেলা করতাম। এইসব ফুল নিয়ে। ফুল গুলো দেখতে বেশ ভালই লাগতো।