বন্ধুদের সাথে খিচুড়ি পার্টির কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা। সবাইকে শুভ সকাল। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। সকাল সকাল আপনাদের মাঝে আরেকটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। হঠাৎ করেই কালকে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে খিচুড়ি পার্টি করি। সেই পার্টির আনন্দঘন মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
গতকাল বন্ধুরা মিলে বাজারে আড্ডা দিয়ে বাড়িতে আসি। বাড়িতে থাকলে এই আড্ডা আমাদের প্রতিদিনই হয়। খুব ভালো সময় পার হয়। সবাই মোজ মাস্তিতেই ব্যস্ত থাকি। এরপর বাড়িতে আসতে আসতে হঠাৎ করেই প্লান করি যে খিচুড়ি পার্টি করব।
সবাই আমার কথায় সম্মতি জানালো। এরপর স্থান ঠিক করার পালা। আমার এক বন্ধু বলল যে রাজারহাটে একটি হোটেলে খুব সুস্বাদু খিচুড়ি পাওয়া যায়। দাম কম কিন্তু সুস্বাদু। তারপর সবাই রাতে সেখানে যাওয়ার জন্য সম্মতি জানাই।
এরপর বিকেল গড়িয়ে রাত হল আর আমাদের সেখানে যাওয়ার সময় হয়ে গেল। সবাই রেডি হয়ে বাজারে তাই। এরপর আপনার একটি অটো ঠিক করি। এরপর অটোতে উঠে যেতে লাগলাম।
অবশেষে আমরা ৩০ মিনিট পর আমাদের কাঙ্ক্ষিত জায়গায় এসে পৌছাই। এরপর সবাই হোটেলের ভিতরে ঢুকে পড়ি। সেখানে ঢুকে দেখতে পাই আমাদের মত অনেকেই সেখানে খিচুড়ি খেতে ভিড় জমিয়েছে।
আমরা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে বসার জন্য সিট পাই। এরপর আমরা খিচুড়ি অর্ডার করি। ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর আমাদের খাবার চলে আসে। এরপর আমরা সবাই ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেই।
খিচুড়ির ঘ্রাণ শুকেই অনেক ভালো লাগছিল।ঘ্রাণ শুকেই আর দেরি করতে পারলাম না খাবার শুরু করে দিলাম। খাবার মুখে দিয়েই বুঝতে পারলাম যে আসলে এটা অনেক স্বাদযুক্ত।
খিচুড়ির মধ্যে গরুর মাংস দেয়া ছিল। এইজন্য এর স্বাদ অনেক বেশি ছিল। আমি ১ প্লেট খাওয়া শেষ করি। এর স্বাদ এতটাই বেশি ছিল যে আমার ১ প্লেট খেয়ে মন এবং পেট ভরে না। তাই আমি আরো ১ প্লেট অর্ডার করি।
অবশেষে খাওয়া-দাওয়া শেষ হলো। এরপর আমরা হাত ধুয়ে নিলাম। এরপর আমরা একটি 7up অর্ডার করি। এরপর এটি গ্লাসে ঢেলে সবাই খাই। সব খাওয়া দাওয়া শেষ করে এখন বিল দেওয়ার পালা।
এরপর আমরা বিল দিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে আসি। বাইরে এসে আমরা সবাই মিষ্টি পান খাই। এসব কিছু করতে করতেই অনেক রাত হয়ে যায়। তাই আমরা সবাই বাড়িতে ফিরে আসার জন্য একটা অটো ঠিক করি। এরপর অটোতে করে চলে আসি।
এই পার্টিটি অনেক মজার ছিল। আমরা সবাই অনেক উপভোগ করি। জীবনের একঘেয়েমিতা দূর করার জন্য মাঝে মধ্যেই এরকম বন্ধুদের সাথে পার্টি করা উচিত। তাহলে মন ভালো থাকে।
আজ আর নয়। পরবর্তী পোস্টে আবার কথা হবে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।খোদা হাফেজ।
বন্ধু বান্ধব মিলে পরিপূর্ণ মজা মাস্তি করলেন। যেখানে কোন কিছুই বাদ দিলেন না, খিচুড়ি, ৭আপ ও মিস্টি পানও ভোগ করলেন।
এরকম আয়োজন বন্ধুদের সাথে করা ভালো, এতে বন্ধুদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় হয়। সেজন্য আপনাদের সিদ্ধান্ত আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো।
আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
আরে বাহ বন্ধুদের সাথে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন। কোথায় গিয়ে পার্টি করা যায়। আর সেটাই করলেন একটা হোটেলে গিয়ে সবাই খিচুড়ি পার্টি র আয়োজন করলেন। এবং অনেক মজা করে আনন্দের সাথে সেই পার্টি সবাই ইনজয় করেছেন।
বন্ধুত্বের বন্ধন খুবই মজবুত একটা বন্ধন। আপনার বন্ধুদের সাথে কাটানো সময় গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।