Better Life With Steem|| The Diary Game|| 31 May 2024
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করছি সকলে ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আবার ও চলে এলাম আপনাদের মাঝে ডায়েরি গেম নিয়ে।
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ করেই ফোনে এলার্ম বেজে ওঠে। ঘুম থেকে জেগে উঠি। সকাল বেলা হলেই যেন চোখ থেকে ঘুম ছাড়তে চায়না। সকালবেলা আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা ছিল। তাই ঘুমটা অনেক বেশিই ধরেছিল। তাও কষ্ট করে উঠলাম। এরপর গোসল সেরে নিলাম। এরপর ডিউটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হই।
৭ঃ৫০ এর দিকে রুম থেকে বের হই। এরপর আমার রুমমেট আর জাহিদ ভাই সহ ডিউটিতে চলে যাই। এরপর আমি কিউসি রুমে চলে যাই। এই রুমে কিছুক্ষণ সবাই মিলে বসের জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু বস আসতে দেরি করে। তাই আমরা বস আসার আগেই শপথ বাক্য পাঠ করে যার যার সেকশনে চলে যাই।
সেকশনে গিয়ে দেখি সবাই ধীরে ধীরে কাজ করতেছে। কোম্পানিতে একটু সমস্যার কারণে বর্তমান কাজ খুবই কম। তাই অল্প কিছু প্রোডাক্ট দিয়েই পুরোদিন পার করে দিচ্ছে সবাইকে। তবে আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সেকশনে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে দেখলাম সব ঠিকঠাক আছে কিনা। সব ঠিকঠাক দেখে আমি নয়টার দিকে সকালের খাবার খাওয়ার জন্য ক্যান্টিনে যাই। আমার সাথে জাহিদ ভাই ও গিয়েছিল।
দুজনে মিলে খিচুড়ি খেলাম। এরপর আবারও সেকশনে চলে আসলাম। আবারো দেখতে থাকি যে কোন প্রোডাক্ট এর সমস্যা আছে কিনা। দেখলাম যে সব ঠিকঠাক আছে।
আসলে কিউসি সেকশনের কাজ মানে অনেক বিপদজনক কাজ। কোনভাবেই যদি কোন একটি বড় সমস্যা ধরতে না পারা যায়। তাহলে জিএম স্যারের ঝাড়ি থেকে শুরু করে জরিমানা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই খুব সাবধান ভাবে কাজ করতে হয় আমাদের।
এক্সপোর্ট প্রোডাক্ট চলছিল কিছু। যেগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ব্যাকস্টাম্প লাগাচ্ছিল। তাই সেগুলো একটু বিশেষভাবে দেখতে হয় আমাদের। এভাবেই কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে যায়।
শুক্রবারের দিনে বারোটা ত্রিশ মিনিটে ব্রেক টাইম শুরু হয়। ১২:৩০ মিনিটে আমি বের হই। এরপর হোটেলে গিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই। খাওয়া শেষ করে রুমে চলে যাই। যেহেতু আমি সকালে গোসল করে গিয়েছিলাম তাই রুমে এসে আর গোসল করলাম না।
ওযু করে পাঞ্জাবি পড়ে মসজিদে চলে গেলাম নামাজ পড়ার জন্য।১:৪০ মিনিটে নামাজ পড়ে রুমে আসলাম। পাঞ্জাবি খুলে রেডি হয়ে নিলাম ডিউটিতে যাওয়ার জন্য। সময় হয়ে গেলে আবারও ডিউটিতে চলে যাই।
কিউসি রুমে কিছুক্ষণ বসে নেই। বাইরে অনেক গরম, তাই একটু ঠান্ডা হয়ে নিলাম। এরপর আবারও সেকশনে চলে যাই। গিয়ে দেখি যে কিছু প্রোডাক্টে সমস্যা আছে। তাই সেগুলো সেখানকার সুপারভাইজারকে বলে তাদের দ্বারা ঠিক করে নেই।
চারটার দিকে আবারো রুমে চলে আসি রিপোর্ট লেখার জন্য। রিপোর্ট লেখার সময় এক ভাই বলতেছে যে চলো চা খেয়ে আসি ক্যান্টিন থেকে। দুজনে ক্যান্টিনে গেলাম এবং সিঙ্গারা আর চা খেলাম।
আবারো রুমে এসে রিপোর্ট লেখা সম্পন্ন করি। এরপর বসের কাছে স্বাক্ষর করে নেই। এরমধ্যেই ডিউটি টাইম শেষ হয়ে যায়। শুক্রবারে জিএম স্যার থাকে না। তাই তার স্বাক্ষর আর নেওয়া হলো না। রিপোর্ট ফাইলটি রেখে ডিউটি থেকে বের হই।
রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নেই। এরপর কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি। বউকে ফোন দিয়ে তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি। সন্ধ্যার দিকে আম খাই। বাড়িওয়ালা খালা দুইদিন আগে দুটি কাঁচা আম আমাকে দিয়েছিল। সেগুলো রুমে রেখে দিয়েছিলাম, এখন পেকেছে।
আম দুটি খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল।আম আমার অনেক প্রিয় একটি ফল। এটি খেতে আমার অনেক ভালোই লাগে। এরপর জাকারিয়ার রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। সাড়ে আটটার দিকে দুজনে মিলে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য যাই।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুমে চলে আসি। এরপর কিছুক্ষণ মোবাইল টিপাটিপি করে পোস্ট লিখতে বসে পড়ি। এভাবেই আমার শুক্রবার এর পুরো দিনটি কেটে যায়।
ঘুম থেকে উঠতে যতই ইচ্ছা না করলেও উঠতে হয় দায়িত্বের কারনে। আর পরিবেশ ঠান্ডা থাকলে তো কথাই নেই। অফিসের ক্যান্টিনে গিয়ে খিচুড়ি খেয়েছিলেন। আপনি প্রায়ই খিচুড়ি দিয়েই সকালের খাবার খেয়ে থাকেন।
আম তো সবারই খুব প্রিয়। আমিও আম ভালোবাসি। আপনার পোস্টের আমগুলো দেখতে কাঁচা মনে হচ্ছে তবে আপনার কাছ থেকে জানলাম যে এগুলো পেকে গিয়েছে এবং খেতে বেশ ভালো লেগেছে আপনার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আম দুটো কাঁচা ছিল কিন্তু রুমে দুই দিন রেখে দেওয়ার পরে পেকে গেছে। তাই উপরের ছাল গুলো কাচার মতন দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু তারপরেও নিজের কর্মস্থল এবং পরিবারের জন্য সবকিছুই করতে হবে, এটাই স্বাভাবিক। এটাই বাস্তবতা। তাই অনেকটা তাড়াতাড়ি করেই ঘুম থেকে উঠে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আপনাদের অফিসের কাজ কম দেয়া হয় এবং সেগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়। সেটা নিয়ে আপনারা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। বাসায় আসার পরে আম খেয়েছেন, যেটা আপনার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু মনে হয়েছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।