Better Life With Steem||The Diary Game|| 24 May 2024
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আবারো চলে এলাম আপনাদের মাঝে আমার আজকের দিনের পুরো কার্যক্রম নিয়ে।
Edited by Canva apps
সকাল ৭ টার সময় মোবাইলের এলার্মের শব্দে ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছে করছিল না। তাই কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে সাতটা দশের দিকে বিছানা থেকে উঠে পড়ি। এরপর গোসল সেরে নেই।
গরমের সময় গোসল করলে যেন অনেক আরাম লাগে। গোসল করা শেষ হলে ডিউটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হই। ৭ঃ৫০ মিনিটে আমি রুম থেকে বের হই ডিউটিতে যাওয়ার জন্য।
রুম থেকে বের হতেই দেখি জাহিদ ভাই বের হলো। এরপর দুজনে মিলে হাঁটতে হাঁটতে ডিউটিতে চলে যাই। কোম্পানিতে ঢোকার সময় পাঞ্চ করে নেই। এরপর সোজা কিউসি রুমে গিয়ে একটু ঠান্ডা হই।
সেখানে কিছুক্ষণ থাকতেই বড় ভাই বলল যে শপথ বাক্য পাঠ করার জন্য ।তাই আমি সামনে গিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করলাম। আর আমার সাথে সবাই পাঠ করল। এরপর আমি সেকশনে চলে যাই।
সেশনে গিয়ে দেখি গতকালকের মতো আজকেও কোন কাজ নেই সবাই বসে বসে আছে। তবুও ভেতরে ঢুকে একটু সবার সাথে কথাবার্তা বললাম। এরপর সেখান থেকে বের হই।
নয়টার দিকে আমি ক্যান্টিনে যাই সকালের নাস্তা করার জন্য। এরপর পরোটা দিয়ে সকালের নাস্তা করে নিলাম। খাওয়া শেষে ভাবলাম যে সেকশনে তো কাজ নেই, তাই আমাদের কিউসি রুমে গিয়ে বসে থাকি।
এরপর রুমে চলে গেলাম। সেখানে কিছুক্ষণ বসে থাকতেই আমাদের সেকশনের শফিক ভাই বলল যে কিছু রিপোর্ট লেখার জন্য। কেননা ২৬ তারিখে আমাদের কোম্পানিতে অডিট আছে।
তাই সবার সব রিপোর্ট রেডি রাখতে হবে। জিগার সেকশনে অনেকদিন ধরেই আমাদের কোন লোক নেই। তাই সেখানকার কোন রিপোর্ট লেখা হয়নি। শফিক ভাই আমাকে বলল সেই পুরো এক মাসের রিপোর্ট রেডি করতে।
এরপর আমি বসে পড়লাম রিপোর্ট লেখার জন্য। পুরো এক মাসের রিপোর্ট রেডি করা অনেক কঠিন ব্যাপার। ফ্যানের নিচে বসে বসে লিখতে থাকি। লিখতে লিখতেই ১২:৩০ বেজে যায়।
আজকে শুক্রবার তাই সাড়ে বারোটায় দুপুরের খাবারের ব্রেক হয়। তখনো আমার সবগুলো লেখা শেষ হয়নি। ভাবলাম যে ব্রেকের পর এসে লেখা যাবে। সবকিছু গুছিয়ে রেখে বের হই।
হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করি। দুপুরে ডিম তরকারি, বুটের ডাল, ভাত খাই। এরপর রুমে চলে আসি। যে পরিমাণ গরম পড়েছে শার্ট পুরো ভিজে গেছে আমার।
রুমে এসে কাপড় চেঞ্জ করি। এরপর একটু ফ্রেশ হয়ে নেই। নামাজ পড়ার জন্য চলে যাই মসজিদে। নামাজ পড়া শেষ করে রুমে চলে আসি। এরপর আবারো ডিউটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হই।
এরপর জাহিদ ভাই সহ ছাতা মাথায় দিয়ে চলে যাই ডিউটিতে। এরপর কিউসি রুমে গিয়ে বসি। এরপর আবারও রিপোর্ট লেখা শুরু করি। রিপোর্ট লিখতে লিখতেই প্রায় চারটা বেজে যায়। এরপর সবগুলো রিপোর্ট সেকশনের সুপারভাইজার এর সিগনেচার নেওয়ার জন্য চলে যাই।
সিগনেচার নিয়ে সবগুলো রিপোর্ট সাজিয়ে ফাইলের মধ্যে রেখে দেই। এরপর আমার সেকশনের রিপোর্ট লেখি। এভাবেই লেখালেখির মাধ্যমেই আমার আজকের ডিউটি টাইম শেষ হয়ে যায়।
এরপর ডিউটি থেকে বের হয়ে রুমে চলে আসি। অতিষ্টকর গরমে শরীর যেন নাজেহাল হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি করে কাপড় চেঞ্জ করি। এরপর গোসল সেরে নেই।
ফ্যান ছেড়ে শুয়ে থাকি। মোবাইলটা হাতে নিয়ে বউকে একটা ফোন দেই এবং তার সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাই। সন্ধ্যার দিকে জাকারিয়ার রুমে চলে আসি এবং তাদের সাথে আড্ডায় মগ্ন হয়ে থাকি।
আটটার সময় রাতের খাবারের জন্য চলে যাই এবং রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করি। আজকে রাতের খাবারে ছিল মুরগির মাংস। মুরগির মাংস টা অনেক স্বাদযুক্ত ছিল।
এরপর রুমে চলে আসি। রুমে আসতে না আসতেই কারেন্ট চলে যায়। এই গরমে কারেন্ট গেলে কি যে একটা অসস্তি লাগে তা বলার মত না। জাকারিয়া সহ বাইরে একটু ঘোরাঘুরি করার জন্য বের হই।
এক কথায় বাইরে একটু বাতাস খাওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। চাঁদনী রাত আর প্রকৃতির মাস থেকে হালকা হালকা বাতাস এসে গায়ে লাগছে এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হচ্ছে নিজের মাঝে।
সেখানে কিছুক্ষণ থেকে দেখলাম যে কারেন্ট চলে এসেছে। তাই আবারও রুমে চলে আসলাম। এরপর পোস্ট লেখা শুরু করলাম ।আর এভাবেই আমার পুরো দিনটি অতিবাহিত হয়ে গেল।
আজকে এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
গরমের সময় স্নান করার মতো শান্তি হয়ত আর কিছুতে নেই। একবার স্নান শুরু হলে সেটা শেষই হত না, এটা আমার অভ্যাস। অফিসে যদি কাজের চাপ না থাকে তাহলে তো একটু বিশ্রাম নেওয়াট সময় পাওয়া যায়। সারা দিন কাজ শেষ করে রাতে বউকে ফোন দিতে ভোলে নি৷ খুব সুন্দরভাবে আপনি আপনার কার্যক্রম তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এটা একেবারেই বাস্তব একসাথে এক মাসের রিপোর্ট তৈরি করা অনেক কষ্টকর। কিন্তু আজকে আপনি ডিউটি করার টাইম টা এই রিপোর্ট তৈরি করার পেছনেই ব্যয় করেছেন। তবে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে রিপোর্ট তৈরি করেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো। হোটেলের খাবার অনেক বেশি স্বাদ যুক্ত হয়ে থাকে। কিন্তু যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কিন্তু সমস্যা হয়। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনাদের অফিস ক্যান্টিনে তবে বেশ ভালো খাবার পাওয়া যায় দেখছি। আমাদের এখানে দেখেছি কোম্পানিতে যখন অডিট চলে তখন সবার মধ্যে কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। ধন্যবাদ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ডিউটিতে গিয়েছেন। আপনাদের কোম্পানিতে দেখি সকালবেলা কাজের চাপ অনেকটাই কম। যাইহোক পরে আবারো ক্যান্টিনে গিয়ে সকালের নাস্তা সেরেছেন। সারাদিন কোম্পানিতে ডিউটি করার পর রুমে এসে একটু রেস্ট করেছেন।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।