Better Life With Steem||The Diary Game|| 19 May 2024
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আবারো চলে এলাম আপনাদের মাঝে আমার আজকের দিনের পুরো কার্যক্রম নিয়ে।
Edited by Canva apps
আজকে রবিবার। আর প্রত্যেক রবিবারে আমার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকে। এজন্য বরাবরই আমি ঘুম থেকে দেরিতে উঠি। কেননা এই দিনে আমার অফিসে যাওয়া লাগে না।
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি সাড়ে নয়টার সময়। এরপর ফোনটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ টিপাটিপি করি। এরমধ্যেই আমার বউ ফোন দেয়। তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি। প্রায় এক ঘণ্টার মতো কথা চলে আমাদের।
সকালবেলায় বউয়ের সাথে কথা বলে মনটা একটু আনন্দিত হয়ে গেল। এরপর বিছানা থেকে উঠি ১১ টার দিকে। এরপর ফ্রেশ হয়ে নেই। ছুটির দিন মানেই হল কাপড়চোপড় ধোয়ার দিন।
তাই সব কাপড়-চোপড় ধোয়ার জন্য বালতিতে পানি ভরলাম। এরপর পানিতে সাবান গুলালাম। যেগুলো আমি বেশি পরিমাণ ব্যবহার করি, সেই কাপড় গুলো সেই পানিতে ভিজালাম।
ভিজিয়ে রেখে বাজারে চলে গেলাম। সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি তাই গেলাম বিস্কুট কিনতে। একটা বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে রুমে চলে আসি। এরপর বিস্কুট গুলো পানি দিয়ে ভিজিয়ে ভিজিয়ে খেলাম।
খাওয়া শেষে মোবাইল হাতে নিয়ে আবারও শুয়ে পড়লাম। কিছুক্ষণ মোবাইলের ভিডিও দেখলাম। সাড়ে বারোটার দিকে সেই ভেজানো কাপড় গুলো ধোয়ার জন্য মোবাইল রেখে উঠে পড়লাম।
এরপর সেগুলো ভালো করে ধুয়ে বাহিরে মেলে দিলাম। আকাশে মেঘ থাকার কারণে বাহিরে রোদ ছিল না। তবুও সেগুলো মেলে দিলাম, যেন বাতাসে একটু হলেও শুকায়।
এরপর গোসল সেরে নিলাম। গোসল শেষে কাপড় চোপড় পড়ে হোটেলে গেলাম দুপুরের খাবারের জন্য। আমি হোটেলে প্যাকেজ সিস্টেমে খাই। হোটেলে গিয়ে দেখি খাবার দিল ডিম তরকারি, ভাত আর পুঁইশাক।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুমে চলে আসলাম। এরপর ফ্যান টা চালিয়ে দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ি। মোবাইলে বিভিন্ন রকম কাজ করতে থাকি। তিনটার দিকে বউকে ফোন দেই। তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি। এরপর কথা বলা শেষ হলে মোবাইলে ভিডিও দেখতে থাকি। দেখতে দেখতেই সন্ধ্যা হয়ে যায়।
এরপর বিছানা থেকে উঠে মোবাইলটা চার্জে লাগিয়ে দিয়ে জাকারিয়ার রুমে চলে আসি। তার সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই। আজকে আমাদের বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার কথা। তাই আমি, জাকারিয়া আর জাহিদ ভাই রেডি হয়ে নিলাম।
বিরিয়ানির ট্রিটটা জাকারিয়া দিচ্ছে। তিনজনে মিলে অটো নিয়ে চলে যাই ওলিপুর বাজারে। সেখানে গিয়ে হাজী নান্না বিরিয়ানি হাউজ এ যাই। ওলিপুরের সবচেয়ে বিখ্যাত বিরিয়ানি হাউজ এটি।
ভেতরে ঢুকে আমরা হাত ধুয়ে নিলাম। এরপর টেবিলে বসে পড়লাম। এরপর গরুর মাংসের বিরিয়ানি অর্ডার দিলাম তিন প্লেট। প্রত্যেক প্লেটের দাম ছিল ১৩০ টাকা করে। একটু পরেই বিরিয়ানি প্লেট নিয়ে এলো।
বিরিয়ানি দেখেই জিভে পানি চলে এলো। তাই খাওয়ার আগে কয়েকটা ছবি তুলে তাড়াতাড়ি করে খাওয়া শুরু করলাম। এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম। কোল্ড ড্রিংকস নিয়েছিলাম একটি।
সর্বোপরি অনেক সুন্দর খাওয়া-দাওয়া হয়েছিল। এরপর জাকারিয়া বিল দিলে আমরা রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসি। এরপর বাসায় ফেরার জন্য একটা অটো নেই এবং অটোতে করে চলে আসি বাসায়।
রুমে এসে কাপড় পরিবর্তন করে নেই। তারপর হাত মুখ ধুয়ে নেই। এরপর শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতে থাকি। কিছুক্ষণ পর উঠে জাকারিয়ার রুমে আসি তাদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য। আর সেখানে আড্ডা দিতে দিতে দশটা বেজে যায়। এরপর আমি পোস্ট লিখতে বসে পড়ি।
এভাবে আমার সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি সুন্দরভাবে কেটে যায়। সকলের প্রত্যেক দিন অনেক সুন্দর কাটুক, এই কামনাই করি। আল্লাহ হাফেজ।
বাহ! এক ঘন্টা। বেশ অনেকটা সময় ফোনে কথা বলেছেন। আপনার প্রতিটা পোস্টেই খেয়াল করেছি প্রতিদিনই অনেক সময় যাবত নিজের কাছের মানুষের সাথে কথা বলেন।
জাকারিয়া ভাই আপনাদের বিরিয়ানি ট্রিট দিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। অনেক মজা করেছেন নিশ্চয়ই আপনারা আজ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
প্রিয় মানুষকে সময় দেয়ার মাঝে অন্যরকম একটা আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
বউয়ের সাথে ফোনে কথা বললে আমারও ঘন্টাখানেক সময় কেটে যায়। আমি ফোনে কথা বলতে খুব একটা পছন্দ করি না কিন্তু আমার স্ত্রী আবার প্রচন্ড কথা বলতে ভালোবাসে, এই আর কি। আমিও রবিবার করে জামা কাপড় কাচা-ধোয়া করি। জাকারিয়া ভাই তো বিরিয়ানির ট্রিট বেশ ভালোই দিয়েছে দেখছি। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
চাকরিজীবীদের ছুটির দিন মানে অনেক আনন্দের দিন।। আর ছুটির দিনে কাপড়-চোপড় ধোঁয়া এটা একটা রুটিন।। জেনে ভালো লাগলো ভাবীর সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলেছেন।। আর হ্যাঁ জাকারিয়া ভাই এতগুলো টাকা পেয়েছে ট্রিট অবশ্যই দেবে।। শুধু আপনাদেরকেই ট্রিট দেয় ভাই আমাদের কখনো বলেও না 🤣🤣
আপনিও ট্রিপ নিয়ে নেন তার কাছে।
আপনার বন্ধু যে কিপটা আমাকে কি আর টিট দেবে।। অবশ্যই আমি একবার বলে দেখব দেখি দেয় কিনা না দিলে জোর করে নিতে হবে ভাই।।
আমরাও তো জোর করে নিয়েছি। আপনিও নিয়েন।