Better Life With Steem||The Diary Game|| 13 May 2024

in Incredible Indialast month

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমি অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আবারও চলে এলাম আমার আজকের দিনের কার্যাবলী নিয়ে।

Green Blue Modern Photo Nature Photo Collage_20240513_200909_0000.png
Edited by Canva apps

সকাল বেলা

সকালবেলা আমার ঘুম ভাঙ্গে লাইটের আলোয়। আমার রুমমেট আমার আগেই ঘুম থেকে উঠে লাইট জ্বালিয়ে দিয়েছে। তবে লাইট না জ্বালালে মনে হয় আজকে ডিউটিতে যাওয়া হতো না।

আমি প্রতিদিন অ্যালার্ম সেট করে দেই। কিন্তু আজকে অ্যালার্ম সেট করার কথা মনে ছিল না। লাইটের আলোয় ঘুম ভেঙে দেখি সাতটা পঁচিশ মিনিট বাজে। তাই তাড়াহুড়ো করে উঠে পড়লাম।

সময় কম ছিল তাই গোসল করা হয়নি। ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর রেডি হয়ে ডিউটিতে চলে গেলাম। ভেতরে ঢুকেই প্রথমে পান্স করে নিলাম। অফিসে ঢুকতে ঢুকতে পাঁচ মিনিট দেরি হয়ে গেছে।

IMG_20240513_075919845.jpg

কিউসি রুমে গিয়ে দেখি বস বসে আছে। দেখেই তো ভয় পেয়ে গেলাম যে বকাবকি করে কিনা। না কিছু বলল না। এরপর প্রতিদিনের মতো শপথ বাক্য পাঠ করা হলো।

তারপর বস বলল যে আজকে বায়ার আসবে। তাই আমাকে নাকি তাদের সাথে থাকতে হবে। এর আগে আমি কখনো তাদের সাথে কাজ করিনি। তারপর বলল যে সেকশনে কিছুক্ষণ থেকে ল্যাবে গিয়ে মাইক্রোওভেন নিয়ে আসতে। এরপর ক্যান্টিনে গিয়ে সকালের নাস্তা খিচুড়ি দিয়ে সেরে নেই।

IMG_20240513_083457601.jpg

এরপর আমি সেকশনে চলে যাই। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে চলে যাই ল্যাবে মাইক্রোওভেন নিয়ে আসার জন্য। এরপর মাইক্রোওভেন নিয়ে ডিসপ্লে রুমে দিয়ে আসি। এরপর দেখি যে আজকে আমাদের বেতন দিচ্ছে। তাই আমি বেতন তুলে নেই। মাস শেষে বেতন হাতে পেলে কি যে আনন্দ লাগে তা বলে বোঝানো সম্ভব না।

বায়ার তখন পর্যন্ত আসেনি। তাই আমি আবারো সেকশনে যাই। হঠাৎ করেই আমার ঠান্ডা লেগে যায়।
সর্দি আর হাঁচি হতে থাকে। কোন কিছুই ভালো লাগছিল না। চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু হয় ঠান্ডার জন্য।

এরপর আমি আমাদের কোম্পানির মেডিকেলে যাই। ডাক্তারকে বলি এবং তিনি দুটো ওষুধের নাম লিখে দেয়। সেই ওষুধ তার কাছে ছিল না। অবস্থা খুবই খারাপ হতে থাকে আমার। তাই বাধ্য হয়ে গেট পাশ নিয়ে বাইরে বাজারে গিয়ে ওষুধ আনতে হয়।

ওষুধ এনে খেয়ে নেই। তারপর একটু আরাম লাগা শুরু হয়। এরপর দেখি বায়ার এসেছে। তাই আমি সেখানে চলে যাই। এভাবে আমার সকালটা কেটে যায়।

দুপুর ওবিকেল

আমি তাদের সাথে কাজ করতে থাকি। তারা বিভিন্ন রকম প্রোডাক্টের ছবি তুলতেছে এবং গুণগত মান দেখতেছে। আমি তাদের কাজে একটু সাহায্য করি। তাদের সাথে কাজ করতে করতেই দুপুরের খাবারের সময় হয়ে যায়।

এরপর আমি বড় ভাইকে বলে দুপুরের খাবারের জন্য চলে আসি। এরপর হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করি। দুপুরের খাবারে ছিল শুটকি মাছ,ভাত ও মাছ তরকারি।

রুমে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই। আমি আমার স্ত্রীর সাথে ফোনে কিছুক্ষণ সময় কাটাই। এর মধ্যেই দুইটা বেজে যায়। তাই তাড়াতাড়ি করে আবারো ডিউটিতে চলে যাই।

IMG_20240513_171457395.jpg

তারপর আমি সোজা সেকশনে চলে যাই।সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করি। বর্তমান সেকশনে কাজের চাপ খুবই কম। তাই আমারও কাজ কম। ওদিকে বায়ারদের সাথে দুইজন বড় ভাই এবং বস ছিল। তারা সাথে থেকে কাজ করে আর কাজ শেষ হয় তিনটার দিকে।

এরপর কাজ শেষ হলে সেখানে থাকা মাইক্রোওভেন স্যাম্পল এবং অন্যান্য জিনিসপত্র যেগুলো আগে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেগুলো আনার জন্য আমি আর জাহিদ ভাই গাড়ি নিয়ে চলে যাই।

আমি গাড়িতে করে মাইক্রোওভেন ল্যাবে পৌঁছে দেই। এরপর আবার সেখানে গিয়ে দুজনে মিলে স্যাম্পল গুলো নিয়ে এসে আমাদের রুমে সাজিয়ে রাখি।

এইসব কাজ করতে করতেই ডিউটি টাইম শেষ হয়ে যায়। এরপর বায়ারকে উপহার দেওয়ার জন্য একটি ডিনার সেট রেডি করি। এরপর সেটি গেটে দিয়ে পাঞ্চ করে আমি বের হয়ে যাই।

IMG_20240513_165234254.jpg

IMG_20240513_174729118.jpg

এরপর জাহিদ ভাই সহ হোটেলে গিয়ে হালকা নাস্তা করে নেই।এরপর সোজা রুমে চলে আসি এবং ফ্রেশ হয়ে নেই। এরপর ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি আমার স্ত্রীর মেসেজ এসেছে। তার সাথে অনেকক্ষণ কথা বলি। এভাবে আমার দুপুরও বিকেল বেলা টা কেটে যায়।

সন্ধ্যা ও রাত

তার সাথে কথা বলতে বলতেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। এরপর কথা বলা শেষ করে গোসল সেরে নেই। এরপর কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়। আমি ছাতা মাথায় দিয়ে খেতে যাই।

খাওয়া-দাওয়া শেষ করি। রাতের খাবার হিসেবে ছিল পুঁইশাক আর শুটকি মাছ। এরপর রুমে চলে আসি। তারপর আমার স্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই ফোনে। তার সাথে আমার কথা বলতে অনেক ভালোই লাগে।

এরপর বাড়িতে ফোন দিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলি। এরপর পোস্ট লিখতে বসে পড়ি। এভাবে আমার সময় কেটে যায়।

এই ছিল আমার আজকের সারাদিনের কার্যক্রম। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

Sort:  
 last month 

এলার্ম দিতে ভুলে যাওয়ার কারনে আমার ঘুম থেকে দেরি হওয়ার ঘটনা অনেক আছে। আজ আপনারও এলার্ম দিতে মনে ছিলো না তবে তাতে তেমন কোনো সমস্যা হয় নি। চাকরি মানেই পরাধীনতা, অফিস পৌঁছাতে একটু দেরি হলেই ভয়ে থাকতে হয় যে কিছু বলবে কিনা। কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও কাছের মানুষটির সাথে সময় দিতে ভোলেননি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last month 

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

Loading...
 last month 

আমরা অ্যালার্ম দেই মূলত অফিসে বা অন্য কোথাও সঠিক টাইমে যাওয়ার জন্য কিন্তু ওইটা দিতে যদি ভুলে যায় তাহলে একটু ঝামেলা হয় ঠিক সময় আমরা সঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারি না। চাকরি মানে অন্যের হাতে বন্দি তারা যা বলবে তাদের কথামতো চলতে হবে। বায়ারদের সাথে প্রথম কাজ করার জন্য আপনাকে স্বাগতম। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন

 last month 

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.028
BTC 64385.89
ETH 3510.26
USDT 1.00
SBD 2.54