Better Life With Steem||The Diary Game||10 May 2024
হ্যালো বন্ধুরা। আশা করি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। চলে আসলাম আবারো নতুন একটি ডায়েরি গেম নিয়ে।
সকালবেলা |
---|
আজকে সকালে এলার্মের শব্দের আগেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। মোবাইলে সময় দেখি তখন ছয়টা চল্লিশ মিনিট বাজে। বিছানায় তখনো শুয়েই থাকলাম। চিন্তা করলাম যে এলার্ম যখন বাজবে তখনই বিছানা থেকে উঠবো।
সাতটার সময় এলার্ম বেড়ে উঠলো। এলাম বন্ধ করে তখনও শুয়েই রইলাম। কেমন যেন আলসেমি ধরে গেছে। শুয়ে থাকতে থাকতেই সাড়ে সাতটা বাজে। এরপর তাড়াতাড়ি করে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
শুয়ে থাকতে দেরি হয়ে গেছে তাই আর গোসল করলাম না আজকে। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে ডিউটিতে চলে গেলাম। এরপর গিয়ে দেখি অফিসে সবাই এসে গেছে। সেখানে কিছুক্ষণ বসে থেকে প্রতিদিনের মতো শপথ বাক্য পাঠ করা হলো।
তারপর সবাই সবার সেকশনে চলে গেল। আর আমি সোজা গেলাম ক্যান্টিনে নাস্তা করার জন্য। অনেক ক্ষুধা লেগেছে তাই তাড়াতাড়ি গেলাম। সকালে নাস্তা করলাম পরোটা আর বুটের ডাল দিয়ে।
এরপর সেকশনে চলে আসলাম। কিছুক্ষণ পর এক বড় ভাই এসে বলল যে চলো নাস্তা করে আসি। বললাম আমি নাস্তা করেছি। তিনি বলল যে চলো এমনি ঘুরে আসি। এরপর তিনি নাস্তা করলো আর আমি শুধু চা খেলাম। তিনি একটা কোমল পানীয় নিল। দুজনে মিলে সেটাও খেলাম। এরপর আমি সেকশনে চলে আসি।
কিছুক্ষণ সেখানে ঘোরাঘুরি করলাম। এরপর বড় ভাইয়ের ফোন আসলো যে আমাকে তাড়াতাড়ি কিউসি রুমে যেতে হবে। গিয়ে দেখলাম যে কিছু প্রোডাক্টের স্যাম্পল পাস করাই আনতে হবে বালা স্যারের কাছ থেকে।
স্যারের কাছে গিয়ে সবগুলো দেখালাম। তিনি বলল যে নতুন করে ডিকেলস লাগিয়ে ফায়ারিং করতে। এরপর আমি সেই প্রোডাক্ট গুলোর মধ্যে ডিকেলস লাগিয়ে নেওয়ার জন্য ডেকোরেশন সেকশনে আসি।
এসে দেখি সেখানে ওই ডিকেলস নাই। এরপর আমি ডিকেলস সেকশন থেকে ওই ডিকেলস নিয়ে আসি। এরপর একজন ভালো অভিজ্ঞ সম্পন্ন মহিলাকে সেগুলো লাগিয়ে দিতে বলি। তিনি সুন্দরভাবে সেগুলো লাগিয়ে দেন।
এরপর সেগুলো ফায়ারিং এ দেওয়ার জন্য কিলন এর কাছে যাই। গিয়ে দেখি, যে টেম্পারেচারে এই প্রোডাক্টগুলো ফায়ারিং করতে হবে, তার চেয়ে কম টেম্পারেচার চলছে। তাই আমি সেখানকার সুপারভাইজার কে প্রোডাক্টগুলো দিয়ে আসি। পরে তিনি বেশি টেম্পারেচারে ফায়ারিং করে রাখবে।
অনেক ব্যস্ততার মাঝেই আমার সকাল বেলা টা কেটে যায়।
দুপুর ও বিকেল বেলা |
---|
দুপুর ১২ টা। তখন ও আমি সেকশনেই আছি। সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। এরপর কিউসি রুমে চলে আসলাম। আজকে শুক্রবার তাই সাড়ে বারোটায় লাঞ্চ ব্রেক হবে। রুমে কিছুক্ষণ থেকে বাইরে চলে আসলাম। এরপর সোজা হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম।
দুপুরের খাবার হিসেবে ছিল ভাতের সাথে মুরগির গিলা কলিজা ভুনা। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রুমে চলে আসি। এরপর তাড়াতাড়ি করে গোসল সেরে নেই। নামাজে যেতে হবে। তাই গোসল শেষে পাঞ্জাবি পড়ে মসজিদে চলে গেলাম।
আমার রুমের পাশেই হল মসজিদ। মসজিদে গিয়ে হুজুরের বয়ান শুনলাম, ভালই লাগলো। এরপর নামাজ শেষ করে আবারো রুমে আসলাম। দুইটার সময় আবারও ডিউটিতে যেতে হবে। তাই আমি তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে ডিউটিতে চলে গেলাম।
গিয়ে দেখি আমাদের কিউসি টিমের কেউ এখনো আসেনি। আমি কিছুক্ষণ রুমে বসে থাকতেই তারা সবাই চলে আসলো। এরপর আমি সেকশনে চলে গেলাম। এরপর গিয়ে দেখি যে লোকাল প্রোডাক্ট চলতেছে।
সেগুলোর বেশি একটা চেক দেওয়া লাগে না। তাই আমি হালকা পাতলা ভাবে দেখে সেকশনেই বসে থাকলাম। মাঝে মাঝে উঠে একটু ঘোরাঘুরি করে দেখি আর বসে থাকি।
এভাবেই বিকেল চারটা বেজে যায়। আমি কিউসি রুমে চলে আসি রিপোর্ট লেখার জন্য। রিপোর্ট লিখতে লিখতেই ডিউটি টাইম শেষ হয়ে যায়। এরপর আমি বসের কাছে সিগনেচার করে নিয়ে রিপোর্ট ফাইল রেখে ডিউটি থেকে বের হয়ে যাই।
এরপর সোজা রুমে চলে আসি। ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপর শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতে থাকি। এভাবেই বিকেল বেলাটা কেটে যায়।
সন্ধ্যা ও রাত |
---|
সবাই ডিউটিতে আর আমি একা একাই রুমে শুয়ে আছি। কিছুই ভালো লাগছে না। একা একা লাগছে। এরপর আমার সেই স্পেশাল মানুষকে ফোন দেই এবং তার সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটাই।
কথা বলা শেষে বাইরে কিছুক্ষণ বসে থাকি। বাইরে অনেক বাতাস হচ্ছিল। সেই সময় বাইরে বসে থাকতে অনেক ভালই লাগছিল। রাতের খাবারের সময় হয়ে যায়। আমি খাবার খেতে হোটেলে চলে যাই।
গিয়ে দেখি আজকে অনেক সুন্দর খাবার রান্না করেছে। ভাতের সাথে ছিল গরুর মাংস। যেটা আমার অনেক প্রিয় খাবার। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকে একটু বেশিই ভাত খেয়েছি।
খাওয়া শেষে রুমে চলে আসি। এই সময়ই আমার রুমমেট আর জাকারিয়া চলে আসে। এরপর আমি তাদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে, পোস্ট লিখতে বসে পড়ি।
এভাবেই আমার আজকের দিনটি অতিবাহিত হয়ে যায়। সবার প্রত্যেক দিনটি অনেক সুন্দর এবং আনন্দময় হোক। আল্লাহ হাফেজ।
মাঝে মাঝে আমরা অনেক বেশি অলসতা অনুভব করি এবং সেদিন বিছানা থেকে উঠতে ইচ্ছা করে না। আজ আপনার উঠতে দেরি হয়েছে এজন্য গোসল না করেই অফিসে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে সকালের নাস্তা শেষ করলেন। বাসায় এসে প্রিয় মানুষটার সাথে কথা বললে নিশ্চয়ই সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় আপনার। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে যাই বলিস,
মুরগির গিলা কলিজা দিয়ে আহা কি যে মজা; খাওয়ার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে তো আজকাল। এদিকে সকালের খাবার হিসেবে ক্যান্টিনে পরোটা বুটের ডাল খাওয়া দেওয়া শেষ করতে না করতেই সেকশন থেকে আবারও নিয়ে গেল ক্যান্টিনে।
সেখানে গিয়ে আবারো চা খাওয়া হলো খাওয়া শেষে আবারো কোমল পানীয় ঠান্ডা খাইলি 🤤। খাও বেশি করে খাও এখন তোরই সময়।
খাওয়া-দাওয়া এইতো জীবন। খাওয়া-দাওয়া আর কাজ করা।