Better Life With Steem|| The Diary Game|| 03 June 2024
প্রিয় স্টিমিয়ান বন্ধুগণ। আশা করছি সকলেই অনেক ভালঝ আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আমার পুরো দিনের কার্যক্রম নিয়ে আবারও হাজির হলাম।
আজকে আমি সকাল সাতটা বিশে ঘুম থেকে জেগে উঠি। এরপর বিছানা থেকে উঠে ব্রাশটা হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে যাই। এরপর ব্রাশ করা শেষ হলে আমি গোসল সেরে নেই। গোসল শেষে আমি ডিউটিতে যাওয়ার জন্য রেডি হই।
৭ঃ৫০ মিনিটে আমি রুম থেকে বের হই। এরপর আমার রুমমেট , জাহিদ ভাই আর আমি ,তিনজনে মিলে কোম্পানির উদ্দেশ্যে রওনা দেই হেঁটে হেঁটে। আজকের সকালের আকাশটা অনেক সুন্দর ছিল আর একটু একটু রোদো উঠেছে।
এরপর আমরা কোম্পানিতে ঢুকে পাঞ্চ করে নেই। এরপর সোজা কিউসি রুমে চলে যাই। সেখানে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর প্রতিদিনের মতো শপথ বাক্য পাঠ করে সবাই যার যার সেকশনে চলে যায়।
সেকশনে গিয়ে দেখি যে অল্প কয়েকজন লোক কাজ করছে। পরে শুনতে পেলাম যে কাজ কম থাকায় কিছু লোককে ছুটি দিয়ে দিয়েছে। যে কজন লোক আছে তারাই অল্প অল্প করে কাজ করছে।
এরপর আমি প্রোডাক্ট গুলো চেক দিয়ে দেখি যে সব ঠিকঠাক আছে কিনা। দেখলাম যে সব ঠিকঠাক আছে। সেখানে আরো কিছুক্ষণ থেকে নয়টা বিশের দিকে আমি সকালের নাস্তা করার জন্য ক্যান্টিনে যাই।
ক্যান্টিনে গিয়ে আমি খিচুড়ি নেই। এরপর সেগুলো খাই। খাওয়া শেষে আমি আবারো সেকশনে চলে আসি। এরপর একটু করে প্রোডাক্ট চেক দেই আর একটু পরে বসে থাকি।
এরমধ্যেই বউ আমাকে ফোন দেয়। তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি। কথা বলা শেষে আবারো প্রোডাক্ট চেক দিতে থাকি। আমাদের কোম্পানিতে একটু সমস্যা চলছে, তাই কাজ একটু কম। তবে এই সমস্যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ।
তখন আবারো আগের মত কাজ শুরু হবে। বারোটার দিকে দেখতে পাই আকাশে মেঘ। আর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হল বৃষ্টি। অনেক জোরে জোরে বৃষ্টি পড়ছে। সেকশনে এসে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর দুপুরের খাবারের সময় হয়ে যায়।
কিন্তু তখনও বাইরে বৃষ্টি পড়তেছে। সকালে আকাশ ভালো থাকার কারণে আমরা কেউ ছাতা নিয়ে আসিনি। এখন কিভাবে বাইরে বের হব সেটাই চিন্তা করতে থাকি। একটা বেজে পাঁচ মিনিট, বৃষ্টি তখন একটু কমে গেল।
ওই অবস্থায় বের হলাম। এরপর হোটেলে গিয়ে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। দুপুরে মাছ তরকারি দিয়ে ভাত খেয়েছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হোটেল থেকে বের হব, এমন অবস্থায় খুব জোরে বৃষ্টি আসলো।
তাই হোটেলে বসে রইলাম। আর বাইরে দেখতে পাচ্ছি বৃষ্টিতে অনেকেই ভিজে ভিজে বেড়াচ্ছে। ডিউটি না থাকলে আমিও ভিজতাম। ব্রেস্ট টাইম প্রায় শেষের দিকে তবুও বৃষ্টি কমছে না।
দেখতে পাচ্ছি অনেকেই ছাতা মাথায় দিয়ে ডিউটিতে যাচ্ছে। একটু পরেই দেখতে পেলাম ছাতা মাথায় দিয়ে আমার রুমমেট আসতেছে ডিউটিতে যাওয়ার জন্য। এরপর আমি তার সাথে ঢুকে যেতে থাকি।
কিন্তু বৃষ্টি যেমন ছিল তেমন বাতাস ও ছিল। তাই ছাতা মাথায় দিয়ে বৃষ্টির পানি থেকে শরীরকে বাঁচানো যাচ্ছে না। প্রায় অর্ধেক শরীর ভিজে গেছে, এই অবস্থায় কোম্পানির ভিতরে ঢুকে পড়লাম। এরপর কিছুক্ষণ বসে ফ্যানের মধ্যে শুকিয়ে নিলাম।
তারপর আবারও সেকশনে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। সেকশনে ছিলাম চারটা পর্যন্ত। এরপর রিপোর্ট লেখার জন্য রুমে চলে আসি। অর্ধেক রিপোর্ট লেখা হতেই বস এসে বলতেছে যে একটি এক্সপোর্ট আইটেমের ইন্সপেকশন করতে হবে।
তাই তার কথামতো আরো দুইজন ভাই সহ বাইরে থেকে গাড়িতে করে কার্টুন নিয়ে আসলাম রুমে। এরপর ইন্সপেকশন শুরু করে দিলাম। এই কাজ করতে করতেই পাঁচটা বেজে যায়। এরপর কাজ শেষ হয়ে গেলে আমরা ডিউটি থেকে বের হই।
তখন আর বাইরে বৃষ্টি ছিল না। এরপর আমি বাসায় চলে আসি জাহিদ ভাই সহ। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নেই। এরপর মোবাইলটা হাতে নিয়ে শুয়ে পড়ি। সন্ধ্যার দিকে জাকারিয়ার রুমে গিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দেই।
এরপর সাড়ে আটটার দিকে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য হোটেলে যাই। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারও রুমে চলে আসি। এরপর মোবাইলটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ টিপাটিপি করার পর পোস্ট লিখতে বসে পড়ি। এভাবে আমার আজকের পুরো দিনটি অতিবাহিত হয়ে যায়।
আজকে এ পর্যন্তই।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
জাহিদ ভাই কি অন্য দিকে কোনো রমনীর দিকে তাকিয়ে আছে😀, একটু মজা করলাম কিছু মনে করবেন না। প্রতিদিনের মতো ক্যান্টিনে খিচুড়ি খেয়েছিলেন। সত্যি বলতে কাপটা অনেক সুন্দর লাগছে। সারাদিন কর্মব্যস্ততায় থাকার পর রাতে সকলে মিলে আড্ডা দিলে মনটা ফ্রেশ হতে অনেক খানি সাহায্য করে। ভালো থাকবেন।
আপনার যে বিষয়টি আমাকে প্রতিদিন মুগ্ধ কিরে সেটি হচ্ছে আপনাদের তৈরি করা প্রডাক্টগুলো।চোখ ধাধানো ডিজাইন আর নাইস কালার কম্বিনেশনে তৈরি আপনার প্রডাক্টগুলো।১২ টার পর বৃষ্টি আসলে আপনারা আটকে যান।এরপর আপনার রুমমেটের ছাতায় ঢুকে ডিউটিতে পৌছাতে পেরেছিলেন।রাত ৮টার দিক খাওয়া করে পোস্ট লিখার কাজ করেন।ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।