একের ভিতর সব (মোবাইল ফোন)
ঘুম থেকে উঠে খাওয়া দাওয়া করেই চিন্তা ভাবনা করতে থাকি যে আজকে কি নিয়ে পোস্ট লিখব। পরক্ষণেই মনে হল আমরা যে মোবাইল ফোন চালাই সে সম্পর্কেই তো লেখা যায়। তাই দেরি না করে বসে পড়লাম পোস্ট লিখতে।
হ্যালো বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। উপরের টাইটেল এবং উপরের লেখাটুকু পরেই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমি আজকে কোন বিষয়ে পোস্ট লিখব। তাই আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের মাধ্যমে আমাদের জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে। এর মাধ্যমে সব কিছু আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। আগে আমাদের যেটা করতে অনেক সময় লাগতো সেটা এখন কম সময়ের মধ্যেই ভালোভাবে করা যায়।
কোন কিছু আবিষ্কারের যেমন একটি ভাল দেখে রয়েছে তেমনি এর কিছু খারাপ দিকে রয়েছে। সহজেই সব কাজ করা যায় বলে মানুষ এখন অলস হয়ে গেছে। আর এর ভালো খারাপ দিকটা মানুষের মন মানসিকতার উপর বেশি নির্ভর করে
মোবাইলের ভালো দিক |
---|
১।প্রথমত এর মাধ্যমে আমাদের অবসর সময় টা অনেক ভালো কাটে।
২।দেশ বিদেশের সব খবরা খবর অতি সহজেই পাওয়া যায়।
৩।মোবাইল ফোন এখন বিনোদনের অনেক বড় মাধ্যম।
৪।এই মোবাইল ফোন আছে বলেই আমরা এই প্লাটফর্মে কাজ করতে পারছি।
৫।ঘরে বসেই দূর দূরান্তের মানুষের সাথে কথা বলা যায়।
৬।ঘরে বসেই ভিডিও কলের মাধ্যমে সবাইকে দেখা যায়।
৭।ঘরে বসেই যেকোনো পত্রিকা পড়া যায়।
৮।লেখাপড়া সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য অতি সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে জানা যায়।
৯।যেকোনো শব্দ রেকর্ডিং করা যায়।
১০।যেকোনো দৃশ্যের ছবি তোলা যায়।
১১।মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো লেনদেন করা যায়।
১২। মনের ভাব প্রকাশ করে যে কাউকে এই মেসেজ করা যায়।
১৩। মোবাইলের মাধ্যমে এখন বই পড়া যায়।
১৪। নাটক, সিনেমা, গান ইত্যাদি দেখা যায়।
১৫। মোবাইলের মাধ্যমে এখন আউটসোর্সিং করে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়।
১৬। মোবাইলের মাধ্যমে গেম খেলেও অবসর সময় কাটানো যায়।
১৭। বর্তমান সময়ের সব খবরা খবর পাওয়ার বড় মাধ্যম হলো ফেসবুক আর মোবাইলের মাধ্যমেই ফেসবুক চালানো যায়।
এর ভালো দিক বলে শেষ করার মত নয়। তবে এর অনেক খারাপ দিক ও রয়েছে।
১। প্রথমেই বলতে হয় মোবাইল ফোন কারো কারো জীবনে নেশার মতো কাজ করে।
২। অনলাইন জুয়া বর্তমানে এই মোবাইলের মাধ্যমে খেলা হয়।যেটা আমাদের সমাজকে এখন গ্রাস করে খাচ্ছে।
৩। বর্তমানে কেউ কেউ মোবাইলের উপর এমন আসক্ত হচ্ছে তার ফলে তার লেখাপড়া অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
৪। মোবাইলের মাধ্যমেই অতি সহজেই যে কেউ খারাপ খারাপ ভিডিও দেখতে পারে। যেটা অনেক বড় একটি খারাপ কাজ।
৫। বর্তমান free fire, pubg ইত্যাদি গেম এর সাথে অনেকেই পুরোপুরি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।
৬। বর্তমানে বইয়ের প্রতি আসক্ত না হয়ে সবাই মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এতে মেধা শূন্য সমাজ তৈরি হচ্ছে।
৭। মোবাইলের মাধ্যমে সব কিছু ধারণ করা যায়। তাই বর্তমানে ব্ল্যাকমেল এর মত জঘন্য অপরাধ বেশি হচ্ছে।
৮। এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কারণে হারিয়ে গেছে বন্ধুদের সাথে আড্ডা,সবাই মিলে একসাথে টিভি দেখা, রেডিও শোনা, কাগজের পত্রিকা পড়া, সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা।
৯। বর্তমান মানুষ মোবাইলের মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার জন্য যা তা কাজ করছে। যেটা মানুষকে নিম্নমানসিকতা তৈরি করতে সাহায্য করে।
সবশেষে বলতে হয় যে কোন জিনিসেরই ভালো এবং খারাপ দিক থাকে। আমরা কোনটা বেছে নিচ্ছি এটা নির্ভর করে আমাদের মানসিকতা এবং বিবেকের উপর। আমরা চাইলেই এই মোবাইলের মাধ্যমে অনেক ভালো কিছু করতে পারি। আমরা সব সময় এর ভালো দিকটা নেওয়ার চেষ্টা করব।
ঘুম থেকে উঠেই কি নিয়ে লিখবেন চিন্তায় পড়ে গেলেন। হঠাৎ করেই মাথায় আসলো মোবাইল ফোন নিয়ে লেখা যাক।আপনি ঠিক বলেছেন একের ভেতর অনেক কিছু। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনগুলো দিয়ে অনেক বিনোদন পত্রিকা পড়াশোনা। তার সাথে অনেক কাজ আমরা সম্পন্ন করতে পারি।
তবে আপনি এর খারাপ কিছু দিক আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। একদমই ঠিক বলেছেন স্মার্টফোনের মধ্যে যেমন, আমাদের উপকারিতা রয়েছে। ঠিক তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। যে কোন জিনিসের ক্ষেত্রেই ভাল দিক ও পাওয়া যায়। আবার খারাপ দিক ও পাওয়া যায়।আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট,আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মোবাইল আমরা নিয়মিত ব্যবহার করি,তাই মোবাইলের ভালো ও খারাপ উভয় দিকই আমরা অল্প সল্প করে জানি।
কিন্তু, আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে একেকটা পয়েন্ট খুজে খুজে উল্লেখ করেছেন আমাদের মাঝে।
তাই অসংখ্য ধন্যবাদ পোষ্টটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।