আত্ম কর্মসংস্থান
হ্যালো, প্রিয় স্টিমিয়ান বন্ধুগণ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
Edited by Canva apps
উপরে টাইটেল দেখেই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আমি আজকে কি নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি? তাহলে শুরু করা যাক।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক। তবে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করার মন-মানসিকতা থাকে না। সবাই যদি আত্ম কর্মসংস্থান তৈরি করতো, তাহলে আমাদের এই দেশ আরো অনেক উন্নত হতো।
কর্মসংস্থান তৈরি করার প্রবণতা বেশি থাকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে। তারা একটি বিষয় নিয়ে ভালোভাবে পড়াশোনা করে। আবার সেই বিষয়ে বেসিক ধারণা লাভ করে। তাই তারা সহজেই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।
আত্মকর্মসংস্থান কি? |
---|
কোন ব্যক্তি কোন প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট বেতনের বিনিময়ে চাকরি না করে স্বীয় যোগ্যতা ও দক্ষতার বলে সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। পলিটেকনিক এর ছাত্রছাত্রীরা নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর পড়াশোনা করে। ফলে তারা সেই বিষয়ে ভালোভাবে ধারণা লাভ করে এবং দক্ষতা অর্জন করে।
আবার বর্তমান দেখা যায় বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক বেশ কয়েকটি যুব উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এইসব কেন্দ্রে যে কোন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এগুলো থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে যেকোনো ব্যক্তি আত্ম কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারে।
এসবের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হল মানসিকতা ও আগ্রহ। উদ্যোগী মনোভাব না থাকলে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তোলা যায় না।
আত্ম কর্মসংস্থানের উপযোগী ক্ষেত্রসমূহ |
---|
রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং রিপেয়ারিং কারখানা স্থাপন করা।
ওয়েল্ডিং বা ঢালাই কারখানা স্থাপন
রেডিও, টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি মেরামত প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা।
ব্যক্তি মালিকানায় বাড়ি তৈরির কাজ তদারকি করা।
বৈদ্যুতিক পাম্প ও মোটর মেরামত কারখানা স্থাপন করা।
গরু, ছাগল ইত্যাদির খামার তৈরি করা।
বাড়িতে সেলাই মেশিন চালানো।
বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন।
অনলাইনে যে কোন কিছুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা। যেমন: পোশাক বিক্রি,খাবার বিক্রি, বিভিন্ন ধরনের শোপিস বিক্রি, সিরামিকের আকর্ষণীয় ইমোজি মগ বিক্রি ইত্যাদি।
পুকুর বর্গা নিয়ে মাছ চাষ করা।
কৃষি উদ্যোক্তা হওয়া যায়।
এছাড়া অনেক আরো অনেক ধরনের আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র রয়েছে। সেগুলোতে ও প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়।
আত্ম কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য প্রথমের দিকে হয়তোবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আসতে পারে। তবে সেগুলো সমাধান করার মতো মানসিকতা তৈরি করে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হবে।
আত্ম কর্মসংস্থান গড়ে তোলে নিজে স্বাবলম্বী হোন। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখুন। সুন্দর হোক আপনার জীবন।
আপনি বর্তমান সময় সাপেক্ষে বিবেচনা করে একটি সুন্দর পোস্ট করেছেন। আত্মা কর্মসংস্থান বলতে নিজে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে । বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ সময় সাপেক্ষে। কারণ বাংলাদেশের যত সময় যাচ্ছে বেকারত্বের সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আর আপনি যুক্তিসঙ্গত একটি কথা বলেছেন ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সবসময় উদ্যোক্ত হয়ে থাকেন। আমি নিজেও একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ,,ইনশাল্লাহ আমি নিজেই নিজের একটা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ফেলব। এই বিষয় নিয়ে আমি অনেক পরিকল্পনা করে রেখেছি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বর্তমান সময়ের সাপেক্ষে পোস্ট করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।