২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আল্লাহর রহমতে আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আল্লাহর রহমতে আমি অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আজ ২৬ শে মার্চ ২০২৩। মহান স্বাধীনতা দিবস। সবাইকে মহান স্বাধীনতা দিবস এবং পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তারাবির নামাজ শেষ করে এসে বসে পড়লাম পোস্ট লিখতে। আপনারা টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমি আজকে কি নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে বন্ধুরা শুরু করা যাক।
২৬ শে মার্চের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানেই ১৯৭১ সালে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের জন্য দোয়া করা হয়। আমাদের কলেজেও আজকে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
আমরা কলেজের হোস্টেলে থাকি তাই সকাল সাতটার সময় স্যারেরা এসে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আমরা সবাই কলেজ ড্রেস পরে কলেজে চলে যাই।
কলেজে গিয়ে দেখতে পাই অনেক স্টুডেন্ট এসেছে। সবাই কলেজের ইউনিফর্ম পড়া। শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার জন্য অনেকেই ফুল নিয়ে আসে। ফুলের তোড়া তৈরি করা হয়।
এরপর আমরা শহীদ মিনারে শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ফুলের তোড়া দেই। একে একে প্রত্যেকেই এসে শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে ফুল দিতে থাকে। এরপর ফুল দেওয়া শেষ হলো।
এরপর হবে দোয়া এবং আলোচনা সভা। তাই সকল ছাত্র-ছাত্রী এবং আমাদের স্যার ম্যাডাম হলরুমে চলে আসে। এরপর আমরা সকলেই চেয়ারে বসে পড়ি এবং স্যারেরা সামনে স্টেজে বসে পড়ে।
এরপর এক এক করে স্যারেরা স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং কিভাবে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি তা বলতে থাকে। স্বাধীনতা দিবসে আমাদের কি করা উচিত এবং কি করা উচিত নয় তার সবকিছুই স্যারেরা তাদের আলোচনায় বলল।
এরপর আলোচনা শেষ হলে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালে যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এরপর দোয়া মাহফিল শেষ হয়ে যায়। আমরা আবার রুমে চলে আসি।
কিভাবে আমাদের দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে? |
---|
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের শাসনের হাত থেকে রক্ষা পায় এই বাংলা। এরপর তৈরি হয় দুটি দেশ পাকিস্তান এবং ভারত। পাকিস্তান আবার দুটি রাজ্য গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান।
তখনকার পূর্ব পাকিস্তান আমাদের এখনকার বাংলাদেশ। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ভাষা ছিল বাংলা এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষের ভাষা ছিল উর্দু। পশ্চিম পাকিস্তান সংখ্যা লঘিষ্ঠ ছিল এবং পূর্ব পাকিস্তান ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ।
পশ্চিম পাকিস্তান তাদের ক্ষমতার জোরে পূর্ব পাকিস্তানের মাতৃভাষা বাংলা থেকে উর্দুতে পরিণত করতে চেয়েছিল। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের দামাল ছেলেরা তা মেনে নিতে রাজি ছিল না। তারা আন্দোলনে ফেটে পড়ে।
এরপর ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের পুলিশ বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের আন্দোলনকারী দামাল ছেলেদের বুকে গুলি চালায়। এতে শহীদ হয় সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিক সহ আরো নাম না জানা অনেকেই।
এরই মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মাতৃভাষা বাংলা স্বীকৃতি পায়। তবুও পশ্চিম পাকিস্তানের হাতেই ক্ষমতা ছিল। তারা পুরো পাকিস্তানের মানুষের সাথে জুলুম, নির্যাতন, শোষণ শুরু করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্তানের দামাল ছেলেরা আবারও জেগে ওঠে। তারা আন্দোলনে নেমে পড়ে। এভাবেই দীর্ঘদিন আন্দোলন চলতেই থাকে। কিন্তু কোন লাভ হয় না।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষকে জাগিয়ে তোলে। বঙ্গবন্ধুর সেই রক্ত গরম করা ভাষণে বাংলার মানুষ জেগে ওঠে।
এরপর ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ কাল রাতে পাক হানাদার বাহিনী বাংলার মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে মারতে শুরু করে। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
দীর্ঘ নয় মাস রক্ত খয়ী যুদ্ধের পর অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের এই বাংলা পূর্ণাঙ্গভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ।
১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এরপর থেকেই প্রতিবছরেই ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে সারা বাংলাদেশে পালিত হয়।
আজকের লেখায় পর্যন্তই। স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে খুবই অল্প কিছু লিখলাম। এর আরো অনেক ইতিহাস রয়েছে। অন্য কোনদিন অন্য কোন পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে স্বাধীনতা দিবসের পুরো ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করব। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Symphony,Z15 |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @shariful12 |
আপনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। আসলেই আজকে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লাখ মা বোনের রক্তের বিনিময়ে।তাই সকল শহীদ ও মা বোনের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা। তাই দেখা যায় যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই দিনে শহীদদের মনে করার জন্য ফুলের তোড়া দেওয়া হয়। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছাব্বিশে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আপনাদের কলেজে দেখছি বেশ ভালোই একটা আয়োজন করেছেন।
আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন তার সাথে ইফতারের আয়োজন করেছেন বিষয়টি দেখে বেশ ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।