বরই ফলের গুনাগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা
হ্যালো বন্ধুরা।আশা করি সবাই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি। আজকে আমি একটি ভিন্নধর্মী পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আজকে আমি বরই ফলের গুনাগুন এবং এটি মানুষের শরীরের জন্য কতটুকু উপকারী তা নিয়ে আলোচনা করব।
বরই অনেক সুস্বাদু একটি ফল। এটি দুই রকমের হয়ে থাকে। টক ও মিষ্টি। এটি শীতকালীন ফল। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ziziphus Zizyphus. এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি খামার।
বরই আকারে অনেক ছোট একটি ফল। এটি আকারে ২.৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। কাঁচা অবস্থায় এর রং সবুজ হয়ে থাকে। কিন্তু এটি পাকলে হলুদ হয় এবং ক্রমান্বয়ে লাল বর্ণ ধারণ করে। আকারে ছোট হলেও এর উপকারিতা গুণ অনেক বেশি।
১০০ গ্রাম বরই থেকে মানুষের শরীরের ভিটামিন সি এর চাহিদার ৭৭ শতাংশ পূর্ণ হয়। তাহলে বুঝাই যাচ্ছে এটি মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল।
ভিটামিন সি ছাড়াও এর মধ্যে খনিজ পদার্থ থাকে। অল্প পরিমাণ ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে। আরো থাকে ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, ফসফরাস। যা মানুষের শরীর গঠনের জন্য এবং সুস্থ রাখার জন্য অনেক উপকারী।
গ্রাম অঞ্চলের বেশিরভাগ বাড়িতেই বরই গাছ থাকে। এই বড়ই গাছগুলোতে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। তাই এই বরই অনেক বিশুদ্ধ থাকে এবং যথাযথ পুষ্টি গুণ সম্পন্ন হয়।
বরইয়ে অধিক পরিমাণ ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি ইনফেকশন জনিত রোগ যেমন টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বার ঘা, ঠোঁটের চামড়া ওঠা রোগ দূর করে।
বরইকে এন্টি ক্যান্সার হিসেবে গণ্য করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার কোষ, টিউমার কোষ এবং লিউকেমিয়া কোষ এর সাথে লড়াই করার অসাধারণ শক্তি। এই ক্ষতিকারক কোষগুলো ধ্বংস করে মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখে।
এটি যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এটি খাওয়ার ফলে রক্ত বিশুদ্ধ হয়ে যায়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী ফল। এই ফলটি ডায়রিয়া,ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি রোগ নিরাময়ের উৎকৃষ্ট উপাদান।
বরই একটি লোভনীয় ফল। এটি কাউকে খেতে দেখলে নিজের খেতে ইচ্ছে করে। সবাই এই উপকারী ফলটি খাব। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং দেহ সুন্দর হবে। সহজে কোন রোগে আক্রান্ত হবেন না।
আজকে এই পর্যন্তই। যারা ধৈর্য সহকারে আমার এই পোস্টটি পড়েছেন, তাদেরকে জানাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা। খোদা হাফেজ।
খুবই উপকারী একটি ফল। আমরা প্রতিনিয়ত এই বড়ই গুলো খেয়ে থাকি কিন্তু অনেকেই আমরা এর সঠিক গুনাগুন জানিনা। এই পোস্টের মাধ্যমে সঠিক গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারলাম।
আমরা অনেকেই টকের প্রতি অনেক দুর্বল। এই সমস্ত খাবারগুলো সামনে পড়লে কেন জানি নিজেদের কন্ট্রোল করা কঠিন হয়ে পড়ে।
এটা অনেক বাস্তব যে গ্রাম অঞ্চলে আসলেই রাসায়নিক মুক্ত বড়ই গুলো পাওয়া যায়।
আসলে বরই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার এটা আমি জানতাম। কিন্তু বরই এর মধ্যে যে এতগুলো ভিটামিন এবং আমাদের শরীরের উপকারিতা অনেকগুলো জিনিস রয়েছে। সেটা আমি জানতাম না আপনার পোস্ট পড়ে সেটা জানতে পারলাম।
তুই ঠিকই বলেছেন বরই খুবই লোভনীয় একটা খাবার। যেটা অন্য কেউ খেতে দেখলে আপনা আপনি মুখে জল চলে আসে। যেটা আমার ক্ষেত্রে হয় আর কি। আপনার কাছ থেকে কেমন হয় সেটা তো আর আমি জানিনা। তবে আমার কাছে বরই লবন মরিচ মাখিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে বরই এর উপকারিতা, আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। অনেক কিছু জানতে পারলাম ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
আমারও কাউকে বরই খেতে দেখলে মুখে পানি চলে আসে। আমি একজনকে বরই খেতে দেখেছি। এরপর আমারও খেতে মন চায়।তাই গাছ থেকে পারি এবং খাই। আর এসবের মধ্য থেকেই এই পোস্টটি লেখার আইডিয়া চলে আসে।
Curated by - @yousafharoonkhan
Thank you
ভাই আমার পড়া সেরা তথ্যমূলক পোস্টগুলোর মধ্যে আপনার এই পোস্টটি একটা ভাই।
বরইয়ের যে এত গুণাগুণ সেটা আগে জানতাম না বা কখনো কল্পনাও করিনি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে বরইয়ের গুনাগুণ সম্পর্কে জানতে পারলাম সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
তবে বরইয়ের সাইজ যে ২.৩সেমি হবে সেটি বোধহয় একটু মিসটেক হয়েছে।কারণ আপেল কুল নামক এক ধরণের বরই আছে সেগুলো মিনিমাম ৩-৪ ইঞ্চি হয়ে থাকে।
অবশেষে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর তথ্যমূলক একটা কন্টেন্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনি আমার পোস্টটি পড়েছেন। তবে আমি কিন্তু এখানে গ্রামাঞ্চলের যেসব ছোট ছোট বরই হয় সে গুলোর আলোচনা করেছি।
ওহ্ আমি বুঝতে পারিনি ভাই।
প্রথমে জানাবো অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে বরই এর গুনাগুন ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
এত দিন যাবত আমি বরই খেয়েছি কিন্তু বড়ই এর গুনাগুন জানতাম না আজ জেনে ভালো লাগছে যে বড়ই এর ভেতর ক্যান্সার কোষ, টিউমার কোষ এবং লিউকেমিয়া কোষ ইত্যাদি এই ক্ষতিকারক কোষগুলো ধ্বংস করে মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখে।
ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকবেন আপনার কাছে ইচ্ছা পোষক করছি আমাদের মাঝে বিভিন্ন রকমের ফলের গুনাগুন ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।