ডিম নিয়ে আলোচনা (দ্বিতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক অনেক ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
কাল থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু। তাই আজকে তারাবির নামাজ পড়ে এসে হ্যাংআউটে জয়েন হয়েছিলাম। হ্যাংআউট শেষ করে আপনাদের মাঝে পোস্ট লিখতে বসে পড়লাম। গত পোস্টে আমি পোল্ট্রি মুরগির ডিম নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজকের পর্বে আমি হাঁসের ডিম নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক।
Edited by Canva apps
ডিম একটি আদর্শ খাবার। ডিমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ বিদ্যমান আছে। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি আমাদের শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করে।
হাঁস গ্রাম এলাকার প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই পালন করা হয়। প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ির মায়েরা হাঁস পালন করে। তার থেকে প্রাপ্ত ডিম খায় এবং বাজারে বিক্রি করে। এতে তাদের আর্থিক একটু সহযোগিতা হয়।
হাঁস এখন বাণিজ্যিকভাবেও চাষ করা হয়। যা অনেক পুষ্টিমান খাবার খায় এবং তার থেকে প্রাপ্ত ডিমগুলো অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়ে থাকে। আবার গ্রাম পর্যায়ে যে হাসগুলো পালন করা হয় সেগুলো ছেড়ে দেয়া থাকে। এই হাঁসগুলো বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার কেঁচো, শামুক ইত্যাদি খায়। আর এই হাঁসগুলো থেকে প্রাপ্ত ডিমগুলো অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ হয়ে থাকে।
হাঁসের ডিমে পুষ্টি উপাদান |
---|
হাঁসের ডিম আকারে অন্যান্য ডিমের তুলনায় বড় হয়। তাই এর পুষ্টিগুণ এর পরিমাণ বেশি হয়। হাসের ডিমের মধ্যে আমিষের পরিমাণ বেশি থাকে।১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমের মধ্যে ১৮৫ কিলো ক্যালরি খাদ্য শক্তি থাকে।
এছাড়াও হাঁসের ডিমের মধ্যে ভিটামিন এ, থিয়ামিন, নিয়াসিন, রাইবোফ্লোবিন, ভিটামিন বি৬,ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, রেটিনল থাকে। এইসব পুষ্টি উপাদান গুলো অন্যান্য ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিমে অনেক গুণ বেশি থাকে।
হাঁসের ডিমের উপকারিতা |
---|
হাঁসের ডিমের কুসুম আকারে বড় থাকে তাই এর মধ্যে আমিষের পরিমাণও বেশি থাকে। এটি আমাদের সস্তায় আমিষের চাহিদা পূরণ করে।
হাসের ডিমে থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে।
হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
আমাদের রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা গঠন করে।
ডিএনএ সংশ্লেষণ করে।
স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ত্বকের অবস্থা ঠিক রাখে।
শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে।
হাঁসের ডিমের অপকারিতা |
---|
অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো না। কোন জিনিসের যেমন ভালো দিক আছে তেমনি এর কিছু খারাপ দিক রয়েছে। হাঁসের ডিমের মধ্যে অনেক বেশি কোলেস্টেরল থাকে। তাই যারা উচ্চ রক্ত চাপ এর রোগী আছেন,তাদের এই হাঁসের ডিম না খাওয়াই ভালো। তবে এর কুসুম না খেয়ে সাদা অংশ খেতে পারেন।
আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই। ডিম নিয়ে আমার পরবর্তী পোস্ট পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনাদের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আর আমার এই পোস্টটি কেমন হলো কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।আল্লাহ হাফেজ।
বাহ ভালোই আপনি হাসের ডিমের পুষ্টিগুন হাঁসের ডিমের উপকারিতা আলোচনা করেছেন তা পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং হাসের ডিম কাদের খাওয়া উচিত এবং কাদের কাদের খাওয়া উচিত নয় এই কথা উল্লেখ করেছেন এবং আপনি শেষে বলেছেন অতিরিক্ত কোন জিনিসই ভালো নয় আসলে ঠিক বলেছেন ।যেমন কথায় আছে অতিভোজন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং অতি কম ভোজন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর তাই আমাদের যে কোন জিনিসই হোক না কেন স্বাভাবিকভাবে খাওয়া উচিত। তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট করে সুন্দর ভাবে বুঝে দেওয়ার জন্য । ভালো থাকবেন
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আরে বাহ আপনি দেখছি হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বেশ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আমরা যারা এই হাসের ডিম সম্পর্কে এতটা অবগত না বা হাসির ডিমের উপকারিতা অনেকেই জানেন না তারা কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে খুব সহজেই হাঁসের ডিম সম্পর্কে বুঝতে পারবে এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা উপকারী পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
হাঁসের ডিম অনেক উপকারিতা একটি খাদ্য যেটা শরীরের অনেক ঘাটতি পূরণ করে থাকে আপনি আমাদের সামনে হাঁসের ডিম নিয়ে যে পোস্টটি লিখেছেন সেটি আমাদের অনেক কাজে লাগবে এবং আমার কাছে অনেক পছন্দ হয়েছে আপনার পোস্টটি পড়ে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু এতো সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য। তোমার থেকে ডিম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
তোমাকেও ধন্যবাদ বন্ধু এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।