শব ই বরাতের মিলাদ
বর্তমান আরবী শব ই বরাত মাস চলছে। এই মাসে আমাদের গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়িতেই রুটি পিঠা বানানোর ধূম পড়ে যায়। আজকে আমাদের বাড়িতেও রুটি পিঠা বানানো হচ্ছে। সেই মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
রুটি বানানোর আটা দরকার। তাই প্রথমে চাল ভিজিয়ে নেই। এরপর ভেজানো হলে কিছুক্ষণ পর চাল থেকে পানি নিঙরিয়ে নেই। এরপর ব্যাগে ভরাই। এরপর আটা করার জন্য মেইল এ যাই।
অবশেষে আটা করা সম্পূর্ণ হয় এবং আমি বাড়ি চলে আসি আটা নিয়ে। এরপর সবাই রুটি বানানোর কাজে লেগে পড়ে। রুটি বানানোর আগে আঠা দিয়ে মন্ড তৈরি করে নিতে হয়। এরপর মন্ড বানানো হয়ে গেল।
কয়েকজন মিলে গোল হয়ে বসে পড়ল রুটি বানানোর সরঞ্জাম নিয়ে। এরপর মন্ডটি নিয়ে আসা হলো। এরপর সবাই সেখান থেকে একটু একটু করে মন্ড নিচ্ছিল এবং রুটি বানানো শুরু করে দিল।
আর আমি তাদের কাজের তদারকি করতেছি। আমি তো আর রুটি বানাতে পারি না। সবাই রুটি বানাচ্ছিল আর খোস গল্পে মেতে উঠেছিল। আমিও তাদের পাশে চেয়ারে বসে গল্প শুনছিলাম।
আর অন্যদিকে আরেকজন রুটি ভাজার কাজে ব্যস্ত ছিল। একজনে রুটি ভেজে পেরে উঠছিল না।তাই আরো একজন রুটি ভাজার কাছে নিয়োজিত হয়। আর এদিকে আমি একটা করে রুটি আনছি আর খাচ্ছি আর তাদের গল্প শুনছি।
এভাবেই রুটি বানানোর কাজ এগিয়ে যেতে থাকে। আর এদিকে মাগরিবের আযান দিয়ে দেয়। আমি বাজারে গিয়ে হালুয়া বানানোর উপকরণ নিয়ে আসি। হালুয়া দিয়ে রুটি খেতে খুবই মজা লাগে।
এদিকে একজন হালুয়া বানানো শুরু করে। এরই মধ্যে এশা আযান হয়ে যায়। তারপর নামাজ শেষে মসজিদ থেকে হুজুর এবং সব মুসল্লি চলে আসে মিলাদ পড়ানোর জন্য।মিলাদ পরানো শুরু করে দেয়। এরই মধ্যে হালুয়া বানানো সম্পূর্ণ হয়।
এরপর আল্লাহর কাছে সবার জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে সবাইকে রুটি এবং হালুয়া দেওয়া হয়। এরপর সবাই চলে যায়। এরপর আমরা যারা আছি সবাই খেতে বসি। খাওয়া শেষে আমরা আমাদের আশেপাশের বাড়িতে রুটি ও হালুয়া দিয়ে আসি।
এই অনুষ্ঠানটি অনেক আনন্দের ছিল।আজ আর নয়। পরবর্তী পোস্টে আমার কথা হবে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আসলেই আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এই অনুষ্ঠানগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং আমরা এই অনুষ্ঠানগুলোকে খুবই মন দিয়ে পালন করে থাকি।
রুটি বানানোর দৃশ্যগুলো যদিও আমার প্রত্যেক দিনের কাজ। কিন্তু তারপরেও আপনার ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
এক কথায় সবাই মিলে কাজ করার মজাটাই অন্যরকম।সবাই মিলে কাজ করলে যেমন কাজটা খুব তাড়াতাড়ি হয়। ঠিক তেমনি কাজের প্রতি মনোযোগ ও বাড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
খুবই ভালো লাগলো আপনাদের রুটি বানানোর আয়োজন দেখে। বেশ মজা করেছেন রুটি বানানোর সময়। সত্যিই এরকম সময় আমরা মিস করি আগের সময়ে অনেক ভাল ছিল। খুব মজা করতাম কিন্তু বর্তমান সেই গুলা নাই।
যাইহোক বড় কথা হল আপনি এখন শবেবরাত কই পাইলেন। শবেবরাত তো এখনো 10 দিন বাকি । আমার মনে হয় শবে বরাত নয়, শবে মেরাজের পালন করেছেন আপনারা। মনে হয় বুঝতে ভুল হয়েছে অথবা লিখতে ভুল হয়েছিল। যাই হোক না কেন না রুটি বানানোর আয়োজন টা খুবই ভালো লাগছে। তো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
শবে বরাত তো শুরু হয়ে গেছে আপনি হয়তো বা জানেন না।
🤣🤣, ভাই শবে বরাত মানে বরকতময় রাত। আর সেটা একটাই রাত। শাবান মাসের ১৫ তারিখে। আর আজকে শাবান মাসের ৬ তারিখ।
আপনি শবে মে'রাজের রাত পালন করেছেন। আর শবে বরাত আগামী ইংরেজি মার্চ মাসের ৭ তারিখ দিবাগত-রাত। ৮ তারিখ দিন।
একটু ভালো করে কারো থেকে জেনে নিবেন। এবং তারিখ জেনে নিবেন দয়াকরে।
Curated by - @radjasalman
আমাদের এলাকাতেও শবই বরাতের সময় বাড়িডে বাড়িতে রুটি পিঠা ও হালুয়া বানানোর ধুম পড়ে যায়।
রুটি বানারোর পরে বিকেল বেলা সেগুলো নিয়ো সময়জে গিয়ে সবাইয়ের বাড়ি থেকে পিঠা এনে মিশিয়ে সেগুলো বিতরণ করা হয়।
তবে এখন আর এই রীতিগুলো অনুসরণ করা হয় না।খুব মনে পড়ে ছেলেবেলার সেই শবই বরাতের রীতিগুলো।
ঠিক বলেছেন ভাই এই রীতিটা আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে।