বাসর রাতে বিড়াল মারা-প্রবাদ বাক্য
হ্যালো আমার প্রিয় স্টিমিয়ান বন্ধুগণ। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে একদমই ভিন্ন রকম একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব। বাসর রাতে বিড়াল মারা এই প্রবাদ বাক্যটি আপনারা হয়তোবা অনেকেই শুনেছেন। এটির অর্থ ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে এর সঠিক অর্থটি আমি আপনাদের মাঝে আজকের পোষ্টের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করবো। তাহলে বন্ধুরা শুরু করা যাক।
বাসর ঘরে বিড়াল মারা বলতে যে বিড়াল ধরে মারতে হবে তা কিন্তু না। এটা এক প্রকার প্রতিকী অর্থে ব্যবহৃত হয়। বিয়ের সময় বর কনে দুজনকেই বলা হয় বাসর ঘরে বিড়াল মারার কথা। যারা বলে তারা কিন্তু শুধুমাত্র একটি দিক বিবেচনা করেই এই কথাটা বলে থাকে।
তবে এর অর্থ শুধুমাত্র একটি দিকের উপরই নির্ভর নয়। আমাদের দেশে বেশিরভাগই এরেঞ্জ ম্যারেজ হয়ে থাকে। পরিবার থেকে আলাপ করে বিয়ে দিয়ে দেয়। প্রায় ৮০% বিয়ে এইভাবে হয়ে থাকে।
বিয়ের আলাপ করার পরে এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যেই বেশিরভাগ বিয়ে হয়ে থাকে। এরমধ্যে ছেলে-মেয়ের মধ্যে বেশি একটা কথা হয়না। তারা থাকে পুরোই অপরিচিত।
তাদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা সম্পর্কে তারা কিন্তু জানে না। আপনিও তার ভালো লাগা, মন্দ লাগা সম্পর্কে কিছু জানেন না। তবুও তাদের বিয়ে হয়ে গেল। তাই বিয়ে হওয়ার পরে বাসর রাতে তাদের দুজনকেই বলা হয় বিড়াল মারার কথা।
এখানে বিড়াল মারা বলতে বোঝাচ্ছে যে দুজন দুজনের মাঝে ভালো বোঝাপড়া সৃষ্টি করা। আপনি কি খেতে পছন্দ করেন, আপনার ভালোলাগা, আপনার শখ সব কিছু সম্পর্কেই বলতে হবে। তারপর কার সাথে কি রকম আচরণ করবে, কে কি রকম চরিত্রের মানুষ সবকিছুই জানিয়ে দিতে হবে।
আবার তার থেকেও তার ভালো লাগা মন্দ লাগা সবকিছু জেনে নিতে হবে। এর ফলে দুজন দুজনের সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে পারবে। আর পরবর্তীতে চলার সময় কোনরকম সমস্যা সৃষ্টি হবে না।
এটাই হলো বাসর রাতে বিড়াল মারার মূল অর্থ। এসব শুধু সেই রাতেই করতে হবে। কেননা পরবর্তীতে সেই রকম আর মন মানসিকতা সৃষ্টি হবে না। তাই সেই রাতেই দুজন দুজনের সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে পরবর্তী দিনগুলোর জন্য মাইন্ড সেটআপ তৈরি করতে পারবে।
আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই। সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
বন্ধু আমিও বিড়াল মারতে চাই।