টেংরা মাছের রেসিপি এবংগুনাগুন নিয়ে আলোচনা
হ্যালো বন্ধুরা। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে একটি ব্যতিক্রমধর্মী পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।
আজকে আলোচনা করবো টেংরা মাছের গুণাবলী এবং রেসিপি সম্পর্কে। এই টেংরা মাছ খাল,বিল, নদী, নালা, ডোবা, পুকুরে পাওয়া যায়। এই মাছ ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
এর গায়ে কোন আইস থাকে না। এর পিঠের অংশে কালো এবং পেটের দিকে হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। এর মাথা একটু শক্ত হয়। এর মাথার দুই পাশে দুইটি বিষাক্ত কাটা থাকে এবং পিঠের উপরেও কাটা থাকে। এর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।
টেংরা মাছের রেসিপি |
---|
উপকরণ:
- টেংরা মাছ ২৫০ গ্রাম।
- পেঁয়াজ দুই পিস।
- মরিচ সাত থেকে আটটি।
- লবণ স্বাদমতো।
- তেল ৫০ গ্রাম।
- জিরার গুড়া এক চামচ।
- প্রয়োজন মত পানি।
রান্নার পদ্ধতি:
প্রথমেই মাছ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এরপর পেঁয়াজ মরিচ পিষে নিতে হবে।
এরপর চুলায় আগুন দিয়ে তার উপর কড়াই বসিয়ে দিতে হবে।
কড়াই এর মধ্যে মাছ, পিয়াজ, মরিচ, তেল, লবণ দিতে হবে।
এরপর ভালোভাবে হাতা দিয়ে নেড়ে চেয়ে দিতে হবে।
এরপর এর মধ্যে অল্প একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা তুলে এর মধ্যে এক চামচ মসলা দিতে হবে।
যেহেতু আমরা ঝোল করবো না সেহেতু আগেই অল্প একটু পানি দিয়ে সিদ্ধ করার জন্য দিয়েছি।
এরপর কিছুক্ষণ রান্না করার পরে মাছ যখন পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে যায় এবং কষে যায় তখন নামিয়ে ফেলি।
এরই মাধ্যমে টেংরা মাছ রান্না সম্পন্ন হয়।
টেংরা মাছের গুনাগুন |
---|
এই মাছটি অনেক ধরনের গুণ সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ মাছের মধ্যে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন এ বিদ্যমান থাকে। মানবদেহে ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। তাই এ মাছ খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হয়ে যায়।
বিশেষ করে বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী মহিলা, প্রসূতি মায়েদের ক্যালসিয়ামের চাহিদা বেশি থাকে।এই মাছ তাদের জন্য খুবই উপকারী। এই মাছ দাঁত ও হাড় গঠনের সাহায্য করে।
এই মাছে অসম্পৃক্ত চর্বি থাকে যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এই মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে যা রাতকানা,অন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়াও দৈনন্দিন অনেক শারীরিক সমস্যা দূর করতে সক্ষম।
শিশুদের রাতকানা রোগ ঠেকাতে এই মাছ খাওয়ানো উচিত। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মাছ খাওয়ানো উচিত। তাছাড়া হৃদ রোগী,স্ট্রোকের রোগীদের জন্য টেংরা মাছ খুবই উপকারী।
আজকে এ পর্যন্তই। তবে যাবার আগে একটি কথা বলে যাই। ওপরে যে টেংরা মাছের রেসিপি উপস্থাপন করেছি সেগুলো কিন্তু আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শুনে শুনে লিখেছি।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না। খোদা হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Symphony,Z15 |
Camera | 13+2 MP Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @shariful12 |
টেংরা মাছ অনেক টেষ্টি খেতে খবুই ভালো লাগে আমার প্রিয় দেশি মাছ টেংরা ৷ এদের কাটা আছে ভাই একবার হাতে লাগলে অনেক ব্যাথা করে ৷ তারপর আপনার টেংরা মাছের রেসিপি টা দেখে অনেক ভলো লাগলো ৷ আপনি সব ধরনের উপকরণ দিয়ে রেসিপি টা তৈরী করেছেন ৷
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷
আসলে টেংরা মাছটা আমার খুব ফেভারিট একটা মাছ। আমাদের এদিকে তেমন একটা পাওয়া যায় না। যদিও বাজারে কখনো দেখি সামনে পড়া মাত্রই কিনে নিয়ে আসি।
আপনি যে রেসিপিটা শেয়ার করেছেন সেভাবেই সুন্দর করে রান্না করি, এবং সবাই মিলে বেশ মজা করেই খাই।
আপনি টেংরা মাছের গুনাগুন সম্পর্কেও আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। বিষয়টা দেখে খুবই ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য, ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এরকম দেশি মাছ দেখলে এমনিতেই জিহ্বে জল আসে..! ধন্যবাদ ভাইয়া, লোভনীয় স্বাদের এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
টেংরা মাছের ভালো রেসিপি না হলেও আমার কাছে সেরা এই মাছ। এই মাছটি এতটাই প্রিয় খাবার আমার কাছে যে যেমনে তেমনে রান্না করলেই আমার হয়ে যাবে।
যাইহোক আপনি সুন্দর ভাবে এই মাছের রেসিপি ও গুনাগুন বর্ননা করেছেন, খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে ভালো থাকবেন।
আপনাকে ধন্যবাদ